উন্নয়ন দৃশ্যমান হচ্ছে : সাঈদ খোকন
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে সাঈদ খোকনের মেয়াদ দুই বছর পূর্ণ হয়েছে। ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল নির্বাচনের পর ৬ মে শপথ নেন তিনি। মেয়র নির্বাচনের আগে ও পরে নগরবাসীকে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী গত দুই বছর মেয়রের কার্যক্রমে কিছুটা আশার আলো দেখা গেছে। তবে রয়েছে ব্যর্থতাও।
দুই বছর মেয়াদ পূর্তি উপলক্ষে জাগো নিউজের মুখোমুখি হন মেয়র সাঈদ খোকন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন জাগো নিউজের নিজস্ব প্রতিবেদক শাহেদ শফিক। তিন পর্বের সাক্ষাৎকারে আজ শেষ পর্ব।
জাগো নিউজ : নগরবাসীকে সেবা দিতে আপনার নেতৃত্বাধীন দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে ২৪টি বিভাগ রয়েছে। এসব বিভাগের উন্নয়নে কী কী পদক্ষেপ নিয়েছেন?
সাঈদ খোকন : ঢাকার ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ধারণ করে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় এসেছে। সেই লক্ষ্যে কাজ করছি। কর্পোরেশনের প্রতিটি বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্তরিকতার কোনো কমতি নেই। এরপরও অনেক দোষ-ত্রুটি রয়েছে। আমরা এ তিলোত্তমা ঢাকাকে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগাতে কাজ করছি। ঢাকাকে প্রাচ্য-পাশ্চাত্যের আধুনিক নগরীগুলোর আদলে গড়তে চাই। অচিরেই ঢাকা দৃষ্টিনন্দন হবে। ক্রমশই তা দৃশ্যমান হচ্ছে।
জাগো নিউজ : ডিএসসিসি এলাকায় কী কী কার্যক্রম চলমান?
সাঈদ খোকন : প্রকৌশল বিভাগের মাধ্যমে ৩৩৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ছয়টি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ২৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা ব্যয়ে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের নিচে যাত্রাবাড়ী থেকে জয়কালীমন্দির পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা, নর্দমা ও ফুটপাতের উন্নয়ন কাজ, ৫১ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রধান সড়ক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কোল্ড রি-সাইক্লিং প্ল্যান্ট ও ইকুইপমেন্ট সংগ্রহ, ২৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা ব্যয়ে কামরাঙ্গীরচরের ফুটপাত ও নর্দমা নির্মাণসহ রাস্তা পুনর্নির্মাণ কাজ, ২১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ে সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী ও দয়াগঞ্জ এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা, নর্দমা ও ফুটপাতের উন্নয়ন কাজ; ২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে যানবাহন, যন্ত্রপাতি আধুনিকীকরণ ও জনসম্পৃক্ততার মাধ্যমে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শক্তিশালীকরণ, ১৯০ কোটি ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ঢাকা আরবান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট বাস্তবায়ন।
জাগো নিউজ : কর্পোরেশনের আর্থিক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। রাজস্ব আয় দিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেয়া কষ্টকর হয়ে পড়ে। সেক্ষেত্রে উন্নয়ন কাজে সরকারের সহযোগিতা কেমন পাচ্ছেন?
সাঈদ খোকন : প্রধানমন্ত্রী আমাকে যথেষ্ট সহযোগিতা করছেন। বিগত দুই বছরে জিওবি ও নিজস্ব অর্থায়নে ২১৫ দশমিক ৭২ কিলোমিটার রাস্তা এবং ২৩৯ দশমিক ১৯ কিলোমিটার নর্দমা নির্মাণ ও উন্নয়নের কাজ হয়েছে। সড়কের রাস্তায় ১৮ হাজার ৬৮৭টি এলইডি বাতি স্থাপিত হয়েছে। আটটি ফুটওভারব্রিজ নির্মাণ, ছয়টি সুইপার কলোনি এবং তিনটি কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ চলমান। মিরনজল্লা সুইপার কলোনিতে একটি মন্দির নির্মাণ এবং পোস্তগোলার শ্মশানঘাটের আধুনিকায়নের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কর্পোরেশনের রাজস্ব আয় বাড়াতে ঢাকেশ্বরী রোডের পাশের মার্কেট, বঙ্গবাজার, সদরঘাট হকার্স মার্কেট ও সদরঘাট লেডিস মার্কেট নির্মাণ হাতে নেয়া হয়েছে।
জিওবি ও ডিএসসিসি’র যৌথ অর্থায়নে দুই হাজার ৪২৬ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে পাঁচটি উন্নয়ন প্রকল্প বর্তমান অর্থবছরের সংশোধিত এডিপিতে অন্তর্ভুক্ত আছে। এছাড়া মাতুয়াইল স্যানিটারি ল্যান্ডফিল সম্প্রসারণসহ ভূমি উন্নয়ন কাজে ৭২৪ কোটি ৪৯ লাখ টাকার একটি প্রকল্প সম্প্রতি অনুমোদিত হয়েছে। এসব প্রকল্পের মাধ্যমে ১৩৫ দশমিক ৩৪ কিলোমিটার রাস্তা, ২৬ দশমিক ৯০ কিলোমিটার ফুটপাত, ১৪০ দশমিক ২৪ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ, ৬০৯ দশমিক ৭৬ কিলোমিটার ড্রেন পরিষ্কার, ১৮ হাজার ৭১১টি বিদ্যুৎসাশ্রয়ী এলইডি বাতি স্থাপন, নয়টি নতুন ফুটওভারব্রিজ নির্মাণ ও ১৭টি ব্রিজ সংস্কার, ১৯টি পার্ক ও ১২টি খেলার মাঠ উন্নয়ন, ৪৭টি পাবলিক টয়লেট নির্মাণ ও ১৭টির সংস্কার করা হচ্ছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ৫৭টি এসটিএস নির্মাণ, দুটি আধুনিক পশু জবাইখানা নির্মাণ, তিনটি কবরস্থান উন্নয়ন এবং ধূপখোলা খেলার মাঠ আধুনিকায়নসহ একটি নতুন শিশুপার্ক নির্মাণ, দুটি হাসপাতাল সংস্কার ও ১১টি ক্লিনার কলোনির নির্মাণকাজ চলমান। নতুন যুক্ত বাকি চারটি ইউনিয়নের উন্নয়নে ৪৮৫ কোটি ১০ লাখ টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে প্রেরণের প্রক্রিয়া চলমান।
জাগো নিউজ : নগর উন্নয়নে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
সাঈদ খোকন: ৯৭ কোটি ৭০ হাজার টাকার এমপি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ৫৭ দশমিক ৯৪ কিলোমিটার রাস্তা, ৬১ দশমিক ৯ কিলোমিটার নর্দমা ও ১৩ দশমিক ৩১ কিলোমিটার ফুটপাত নির্মাণ প্রকল্প। একনেকে এগুলো অনুমোদনের অপেক্ষায়। নতুন করে সংযুক্ত চারটি ইউনিয়নে ৬৪ দশমিক ৮০ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ, ৩ দশমিক ৬০ কিলোমিটার ফুটপাত নির্মাণ, ২০টি আরসিসি ব্রিজ নির্মাণ, ৪৮ কিলোমিটার নর্দমা নির্মাণ, ১১৬ দশমিক ১৮ কিলোমিটার রাস্তার এলইডি বাতি স্থাপনের প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে প্রেরণের জন্য প্রক্রিয়াধীন। ২৪৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে তিনটি আধুনিক দশ তলা কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ এবং তিনটি কমিউনিটি সেন্টার আধুনিকায়নে প্রকল্প প্রস্তাব প্রক্রিয়াধীন।
এছাড়া ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে বিভিন্ন সড়কে সিসি ক্যামেরা ও কন্ট্রোল সিস্টেম স্থাপন প্রকল্পের ডিপিপি প্রণয়ন প্রক্রিয়াধীন। ১১৩ কোটি ৫১ লাখ টাকা ব্যয়ে ১ দশমিক ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ ১০টি চলন্ত সিঁড়িসহ গুলিস্তান এলাকায় ‘এলিভেটেড ওয়াকওয়ে নির্মাণ প্রকল্প’ ডিজাইন ও নকশা সংশোধনের কাজ চলমান । ১২ হাজার ৪৮৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে প্রধান প্রধান সড়কে ৬০ কিলোমিটার ভূগর্ভস্থ ইউটিলিটি টানেল নির্মাণ প্রকল্প পরিকল্পনাধীন। এক হাজার ৫১৭ কোটি ৫৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ভূগর্ভস্থ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, মেকানাইজড পার্কিং স্থাপন এবং সড়ক মেরামতের আধুনিক যন্ত্রপাতি সংগ্রহ প্রকল্প ডিপিপি পুনর্গঠন প্রক্রিয়া চলমান। ৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৩১ দশমিক ৭৬ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন, ১২২ দশমিক ১৮ কিলোমিটার নর্দমা নির্মাণ, ৫৩ দশমিক ২৪ কিলোমিটার ফুটপাত নির্মাণের জন্য আরও একটি প্রকল্পের ডিপিপি প্রণয়ন কাজ চলছে। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বুড়িগঙ্গা নদীর তীর ও পার্শ্ববর্তী এলাকার উন্নয়ন ও সৌন্দর্য বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের ডিপিপি প্রণয়ন কাজ চলমান।
জাগো নিউজ : নগরীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে নগরবাসীর অভিযোগের অন্ত নেই। এ বিভাগ নিয়ে আপনার পরিকল্পনা কী?
সাঈদ খোকন : দায়িত্ব নেয়ার পর ২০১৬ সাল ‘পরিচ্ছন্নতার বছর’ ঘোষণা করেছি। এ দফতরে পাঁচ হাজার ৩০০ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োজিত। প্রতিদিন প্রায় ২৫০টি বর্জ্যবাহী গাড়ি বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত। ল্যান্ডফিলে তিনটি হুইল ডোজার, তিনটি এক্সকাভেটর, তিনটি বুলডোজার বর্জ্য অপসারণ ও কম্প্যাকশন কাজে ব্যবহার হচ্ছে। বর্জ্য সংরক্ষণ ও পরিবহনের জন্য এ বছর ১২২টি নতুন কন্টেইনার এবং এক হাজার হাতগাড়ি সংগ্রহ করা হয়েছে। সড়কে পাঁচ হাজার ৭০০টি ওয়েস্টবিন স্থাপন করা হয়েছে। পিসিএসপি হিসেবে এনজিও সিবিও’র প্রায় ৬০০টি ভ্যান এবং তিন হাজার কর্মী বর্জ্য সংগ্রহ করছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে এসটিএস নির্মাণের কাজ চলছে। ইতোমধ্যে ১৯টির নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়েছে।
জাগো নিউজ : বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পরিচ্ছন্নকর্মীসহ অন্যান্য বিষয়ে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
সাঈদ খোকন : পরিচ্ছন্নকর্মীদের জন্য গণকটুলী ক্লিনার কলোনিতে ছয়টি বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ হাতে নেয়া হয়েছে। এছাড়া ক্লিনারদের জন্য ১৩টি দশ তলা ভবনের এক হাজার ১৪৮টি ফ্ল্যাট নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। ৭২৪ কোটি ৪৯ লাখ টাকা ব্যয়ে মাতুয়াইল স্যানিটারি ল্যান্ডফিল সম্প্রসারণসহ ভূমি উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। পরিবেশ অধিদফতরের উদ্যোগে বর্জ্য হতে জৈব সার তৈরির একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বর্জ্য হতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রায় ২০টি প্রকল্প প্রস্তাব পাওয়া গেছে।
সম্পত্তি বিভাগ
হকার সমস্যা সমাধানে সাপ্তাহিক পাঁচটি হলিডে মার্কেট চালু করা হয়েছে। গুলিস্তান ও আশপাশের এলাকায় সড়ক থেকে হকার উচ্ছেদ করা হয়েছে। গুলিস্তান ও নিউমার্কেট এলাকায় তিন হাজার ৪৪০ জন প্রকৃত হকারের তালিকা করা হয়েছে। অন্যান্য এলাকায় তালিকার কাজ চলছে। হকারদের আইডি কার্ডসহ দেশে-বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
২০ বছরের অধিক পুরনো গণপরিবহন এবং অনভিজ্ঞ চালকদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত এক হাজার ১৪৪টি মামলা, ২৬ লাখ এক হাজার ৫০ টাকা জরিমানা, ৭২ জনকে সাজা এবং ৬৫টি যানবাহন ডাম্পিং করা হয়েছে। পুরান ঢাকা থেকে কেমিক্যাল গোডাউন উচ্ছেদ শুরু হয়েছে। এছাড়া বাস টার্মিনালের বেদখল হওয়া জমি উদ্ধার করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগ
ডিএসসিসির দুটি হাসপাতাল ও একটি মাতৃসদনে সেবা দেয়া হচ্ছে। গত দুই বছরে মহানগর জেনারেল হাসপাতালের মাধ্যমে বহির্বিভাগে প্রায় দুই লাখ ১৩ হাজার ৭৩৮ জন এবং আন্তঃবিভাগে ৩৬ হাজার ৫০৫ জন, জরুরি বিভাগে ১১ হাজার ১৬ জনকে চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়েছে। মহানগর শিশু হাসপাতাল এক লাখ ৬৩ হাজার ৩৮৭ জনকে এবং নাজিরাবাজার মাতৃসদনের মাধ্যমে ৩০ হাজার ৪৯৫ জনকে সেবা দেয়া হয়েছে। ঢাকা মহানগর শিশু হাসপাতালে প্রসূতি মায়েদের জন্য লেবার ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে। টিকাদান কর্মসূচির আওতায় কয়েক লাখ শিশুকে টিকা দেয়া হয়েছে। ২৮টি নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং পাঁচটি নগর মাতৃসদনের মাধ্যমে ২০ লাখ ৯৮ হাজার ১২৯ জনকে স্বাস্থ্যসেবা দেয়া হয়েছে।
মশক নিয়ন্ত্রণে পূর্বের যেকোনো সময়ের চেয়ে এ সময়ে অধিক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। গত দুই বছরে দুই লাখ ১৫ হাজার লিটার এডালটিসাইড, পাঁচ হাজার ৩৫০ লিটার লার্ভিসাইড এবং ৯০ হাজার ৮৪৮ লিটার ম্যালেরিয়া ওয়েল-বি ছিটানো হয়েছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ব্যাপক প্রচারণা চালানো হয়েছে।
আইসিটি সেল
আইসিটি সেলের মাধ্যমে ফাঁকি রোধে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে ডিজিটাল এটেনডেন্স চালু করা হয়েছে। ইন্সট্যান্ট ম্যাসেঞ্জার ব্যবহার শুরু হয়েছে। প্রায় পাঁচ হাজার ২১৬ জন পরিচ্ছন্নকর্মীর লোকেশন ট্র্যাকিং করা হচ্ছে। নগরবাসীর অনলাইন অভিযোগ গ্রহণ, ই-টেন্ডারিং, নগর ভবনে সিসি ক্যামেরা, ফ্রি ওয়াই-ফাই জোন, শীর্ষ দফতরে অভ্যন্তরীণ নেটওয়ার্ক ব্যাকবোন তৈরির মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু, বিনামূল্যে কর্পোরেট সিম প্রদান, নগর ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন, ভিডিও কনফারেন্সিং সিস্টেম চালু করা হয়েছে।
রাজস্ব বিভাগ
অন-লাইনে হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়, ট্রেড লাইসেন্স প্রদানে ডাটাবেজের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। প্রধান প্রধান সড়কের ফুটপাত সংলগ্ন দেয়াল চুনকাম করা হয়েছে। সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য সড়কে বৃক্ষ রোপণ এবং এর গোড়ায় রঙ করা হয়েছে। এছাড়া ১২টি মার্কেট নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।
আইন বিভাগ
গত দুই বছরে সিটি কর্পোরেশন সংশ্লিষ্ট ৩৮৬টি মামলা হয়েছে। এ সময় ২৩৭টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। যার মধ্যে ১৫২টি পক্ষে এবং ৮৫টি সিটি কর্পোরেশনের বিপক্ষে নিষ্পত্তি হয়েছে।
সমাজকল্যাণ ও সংস্কৃতি বিভাগ
৪৫নং ওয়ার্ডে অত্যাধুনিক সুবিধা সম্বলিত ছয় তলাবিশিষ্ট মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন সেন্টার নির্মাণ সমাপ্ত হয়েছে। বিভিন্ন সামাজিক ও মানবিক কাজে ছয় কোটি টাকা আর্থিক অনুদান দেয়া হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদাপূর্ণ সংবর্ধনা দেয়াসহ বিভিন্ন জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবস পালন করা হয়েছে।
বস্তি উন্নয়ন বিভাগ
এ বিভাগের মাধ্যমে পাঁচটি বহুমুখী দারিদ্র্য বিমোচন কেন্দ্র নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে মানিকনগরে দুই কাঠা জমির ওপর তিন তলাবিশিষ্ট একটি দারিদ্র্য বিমোচন কেন্দ্র ও একটি আধুনিক পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করা হয়েছে।
দুই বছরে অনেক প্রকল্প হাতে নিয়েছি। কিছু কিছু বাস্তবায়ন হয়েছে, কিছু হচ্ছে। নগরীর সার্বিক উন্নয়নের চিত্র দৃশ্যমান হচ্ছে। আগামীতে নগরীর চিত্র বদলে যাবে। নগরবাসীকে আর দুর্ভোগ পোহাতে হবে না।
এমএসএস/এমএআর/এমএস