ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিশেষ প্রতিবেদন

মোবাইল ট্র্যাকিংয়ে সরকারি কলেজের শিক্ষকরা

প্রকাশিত: ১১:৩৯ এএম, ১৬ মার্চ ২০১৭

ক্লাসে হাজিরা নিশ্চিত করতে মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের আওতায় আনা হচ্ছে সরকারি কলেজের শিক্ষকদের। ক্লাস ফাঁকি এবং শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে এপ্রিল থেকে পরীক্ষামূলকভাবে এ কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)।

এ কার্যক্রমের আওতায় সরকারিভাবে প্রত্যেক শিক্ষককে মোবাইল সিম দেয়া হবে। সিমের মাধ্যমে জিপিআরএস পদ্ধতিতে শিক্ষকদের অবস্থান নিশ্চিত করবেন মাউশি কর্মকর্তারা।
 
মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. এসএম ওয়াহিদুজ্জামান এ বিষয়ে জাগো নিউজকে বলেন, ‘কলেজ চলাকালে শিক্ষকরা ঠিকমতো কর্মস্থলে উপস্থিত থাকেন না- এমন অভিযোগ আছে। আবার অনেক শিক্ষক রয়েছেন যারা সপ্তাহে দু-তিনদিনের বেশি কর্মস্থলে যান না। পাঠদানে অনীহার কারণে সরকারি কলেজগুলোতে শিক্ষার গুণগতমান নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।’
 
ফলে প্রতি বছরই পাবলিক পরীক্ষায় তুলনামূলক খারাপ ফল করছে এসব কলেজ। শিক্ষকদের হাজিরা নিশ্চিত এবং শিক্ষার মানোন্নয়নে এ ডিজিটাল মনিটরিংয়ের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

মাউশি মহাপরিচালক আরও বলেন, এরই মধ্যে বিষয়টি নিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান টেলিটক ও বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর বাংলালিংকের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। সব শিক্ষককে মোবাইল সিমকার্ড দেয়া হবে। জিপিআরএস পদ্ধতিতে মাউশিতে বসেই শিক্ষকদের অবস্থান নিশ্চিত করতে পারব আমরা।
 
অভিযোগ রয়েছে, সরকারি কলেজের অধ্যক্ষরা প্রশাসনিক কাজে বেশিরভাগ সময় কলেজে অনুপস্থিত থাকেন। এ সুযোগে ক্লাস ফাঁকি দেন শিক্ষকরা। অনেকে আবার পছন্দের কলেজ, মাউশি, শিক্ষাবোর্ডসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন প্রকল্পে পদায়নের জন্য তদবিরে ব্যস্ত থাকেন। কেউ কেউ আবার বসতবাড়ি থেকে কর্মস্থল দূরে থাকায় সপ্তাহে দু-তিনদিনের বেশি কলেজে যান না।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ক্লাস ফাঁকি দিয়ে তদবিরের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ভিড় করায় চরম ক্ষুব্ধ শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। কয়েক দফা নির্দেশনা জারি করেও শিক্ষকদের তদবির ঠেকাতে পারেননি তিনি। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে অনুষ্ঠিত সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পাঠদান নিশ্চিত করতে হবে। সবাইকে জবাবদিহির মধ্যে আনতে হবে।  

অধ্যক্ষদের উদ্দেশ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষকদের কাজ কলেজে শিক্ষা দেয়া। কিন্তু অনেকেই আসেন অফিসার হতে। তা না হলে ঢাকায় পোস্টিং চান। এ ধরনের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার বার্তা শিক্ষকদের পৌঁছে দেবেন আপনারা।’

মাউশি সূত্র জানায়, শিক্ষকদের ডিজিটাল হাজিরা নিশ্চিত করতে জানুয়ারি থেকে মাউশির আঞ্চলিক কার্যালয়ের মাধ্যমে দেশের ৩২৯টি কলেজের প্রায় ১৫ হাজার শিক্ষকের যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করা হয়। একই সঙ্গে অধিদফতরের মহাপরিচালক কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, খুলনা, সিলেট, ঢাকা ও বরিশাল অঞ্চলের পরিচালক এবং অধ্যক্ষদের সঙ্গে পৃথক মতবিনিময় করেন।

মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, ‘সবাইকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। এপ্রিল থেকে পরীক্ষামূলকভাবে কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, রংপুর ও খুলনা অঞ্চলের শিক্ষকদের নজরদারি কার্যক্রম শুরু হবে। কলেজ পরিদর্শককেও নজরদারির আওতায় আনা হবে।’
 
এমএমএ/এমএআর/আরআইপি

আরও পড়ুন