মানবেতর জীবন ট্যানারি শ্রমিকদের
আবাসন ও চিকিৎসা, স্কুল, খেলার মাঠ এবং ট্রেড ইউনিয়ন কার্যালয় স্থাপনের সুবিধা না পাওয়ায় সাভারের হেমায়েতপুর চামড়া শিল্প নগরীর শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। দাবি পূরণ করা না হলে কঠোর কর্মসূচিতে যাওয়ার কথা ভাবছেন বলে জানান ট্যানারি শ্রমিক ইউনিয়নের সেক্রেটারি করিম মিয়া।
এ্যাপেক্স ট্যানারির করিম মিয়া বলেন, গত একবছর ধরে হেমায়তপুর চামড়া শিল্পে বিভিন্ন ট্যানারিতে প্রায় পাঁচ হাজার শ্রমিক স্থানান্তর হয়েছে। অথচ এখনো আমাদের জীবন-যাপনের মান উন্নয়নে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের বসবাস ও চিকিৎসা সেবা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ছেলেমেয়েদের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খেলারমাঠ ও ইউনিয়ন কার্যালয়ের কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি।
বিষয়টি নিয়ে তারা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করেও কোনো সুফল পাচ্ছেন না অভিযোগ করে তিনি বলেন, এ কারণে সাভারে ট্যানারি স্থানান্তরে মালিকদের আগ্রহ থাকলেও শ্রমিকরা নিরুৎসাহিত হয়ে পড়ছেন। তাই এ শিল্প নগরীর উদ্দেশ্য সফল করতে ট্যানারির প্রায় ৫০ হাজার শ্রমিকের দাবি বাস্তবায়ন করতে হবে। পাশাপাশি চুক্তিভুক্ত শ্রমিকদের স্থায়ী করারও আহ্বান জানান তিনি।
সাভার মার্চেন্ট ট্যানারির শ্রমিক নেতা নুরুল হক বলেন, হেমায়েতপুরে আসায় তাদের সব ধরনের ব্যয় বেড়ে গেছে। এ কারণে প্রতিদিন কারখানার অর্ধশত শ্রমিককে চার ঘণ্টা বেশি কাজ করতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, এখানে আমরা স্থায়ীভাবে কাজ করতে চাইলেও আমাদের সে সুযোগ দেয়া হচ্ছে না। দ্রুত আমাদের দাবি-দাওয়া পূরণ করতে হবে। নইলে কাজ ছেড়ে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করা ছাড়া আর কোনো পথ থাকবে না।
উল্লেখ্য, রাজধানীর পরিবেশ দূষণমুক্ত রাখতে হাজারীবাগের ট্যানারি কারখানাগুলো স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। গত ১২ মার্চ আগামী এক মাসের মধ্যে ১৫৫টি ট্যানারিকে সাভার চামড়া শিল্প এলাকায় কারখানা স্থানান্তরের নির্দেশ দেন। নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যেই ইতোমধ্যে সাভারে ৪৪টি ট্যানারি কারখানা তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। বাকিগুলোর নির্মাণ কাজ চলছে।
এমএইচএম/এনএফ/এআরএস/পিআর