ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিশেষ প্রতিবেদন

৫০ হাজার টাকায় আটকে আছে ঠাকুরগাঁওয়ের আল-আমিনের ভর্তি

প্রকাশিত: ০২:৩২ পিএম, ১২ মার্চ ২০১৭

বাবা এলাকার বিভিন্ন মানুষের বাড়িতে দিনমজুরি করেন। মা এলাকার রাস্তায় মাটি ভরাটের কাজ করেন। এমন একটি পরিবারে জন্ম নিয়েও থেমে নেই তাদের তিন সন্তান। বড় মেয়ে দিনাজপুর সরকারি কলেজে অনার্স চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী। মেজ মেয়ে এলাকার একটি কলেজে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ছে।

মেধার দিক থেকে দুই বোন ছাড়িয়ে ছোট ছেলে আল-আমিন এবার রাজশাহী ক্যাডেট কলেজে সপ্তম শ্রেণিতে চান্স পেয়েছে। সারাদেশের মেধা তালিকায় ২৮৭১ নম্বরে নন-ক্যাডেট হিসেবে তার অবস্থান।

ধনীদের পরিবারে এ খবরটি অতি আনন্দের হলেও এর সামান্য ছোঁয়া লাগেনি আল-আমিনের পরিবারে। কারণ ভর্তির জন্য এককালীন প্রায় ৭০ হাজার টাকা প্রয়োজন। এত বড় অঙ্কের টাকার পরিমাণে হতাশ হয়ে পড়েছেন বাবা দিনমজুর সাকিম আলী ও তার মা।

এর মাঝে সাকিম আলী এলাকার বিভিন্নজনের কাছে সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে ২০ হাজার টাকার মতো ব্যবস্থা করেছেন। আরও ৫০ হাজার টাকা দরকার তার। হাতে সময় আর মাত্র তিনদিন। ১৬ মার্চ ভর্তির শেষ দিন আল-আমিনের। এ বিষয়টি নিয়ে পুরো পরিবার এখন চিন্তিত।

ঘটনাটি ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার ৪ নম্বর ডাঙ্গীপাড়া ইউনিয়নের দামোল গ্রামের।

আল-আমিন জাগো নিউজকে জানায়, সেখানে এককালীন জামানত বাবদ ২৫ হাজার, চার মাসের অগ্রিম বেতন ১৫ হাজার ২০০ ও প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ফান্ড বাবদ ৯ হাজার ৮২০ টাকা দিতে হবে। এছাড়া প্রতি মাসে বেতন ৩৮০০ টাকা।

সে আরও জানায়, পকেটমানি ২ হাজার টাকাসহ আনুষঙ্গিক (সাদা গেঞ্জি ৪টা, আন্ডার ওয়ার ৪টা, সাদা ফুলশার্ট-২টা, ফুল প্যান্ট-২টা, কালো প্যান্ট-২টা, হাফ প্যান্ট-২টা, সাদা পাজামা-পাঞ্জাবি-২ সেট, স্যান্ডেল কালো-১ জোড়া, স্পন্স-১ জোড়া, শয়ন পোশাক-২ সেট, কালো চামড়ার জুতা-২ জোড়া, কালো মোজা-৪ জোড়া, সাটা সু-৩ জোড়া, সাদা মোজা-৪ জোড়া, তালা চাবি ৩টা, জ্যামিতি বক্স ১টা) অনেক কেনাকাটা করে নিয়ে যেতে হবে।

আল-আমিনের বাবা সাকিম আলী জাগো নিউজকে জানান, ছেলেকে ভর্তির জন্য প্রায় ৭০ হাজার টাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে ২০ হাজার জোগাড় করেছি। আরও ৫০ হাজার টাকা দরকার। কেউ যদি আমার ছেলেকে ভর্তি করতে এ টাকা দিয়ে সহযোগিতা করত কৃতজ্ঞ থাকবো তার কাছে।

এ ব্যাপারে উপজেলার ৪ নম্বর ডাঙ্গীপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনি জাগো নিউজকে জানান, পরিবারটি খুবই গরিব। ছেলেটির বাবা অন্যের বাড়িতে কাজ করেন। তারপরও অবাক করা ঘটনা হলো তার সন্তানরা অত্যন্ত মেধাবী। অভাবের মাঝেও সাকিম আলী তার সন্তানদের পড়ালেখা চালিয়ে যাচ্ছেন। এটি অনেক বড় ব্যাপার। তিনিও ছেলেটিকে সাহায্য করতে হৃদয়বানদের সহযোগিতা কামনা করেন।

আল-আমিনকে কেউ সহযোগিতা করতে চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন জাগো নিউজের ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি রবিউল এহসান রিপনের সঙ্গে। মোবাইল : ০১৭১০-২১৫৬২২। এছাড়া সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন আজহার কমফোর্ট কমপ্লেক্স (৫ম তলা), গ-১৩০/এ প্রগতি সরণি, মধ্যবাড্ডা, ঢাকা-১২১২, ফোন: ৮৮ ০২ ৯৮৪২৬৮৯।

এমএএস/আরআইপি