ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিশেষ প্রতিবেদন

কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে ১৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েনের পরিকল্পনা

প্রকাশিত: ০৪:৫৪ পিএম, ০৮ মার্চ ২০১৭

আসন্ন কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ১৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েনের পরিকল্পনা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এছাড়া আরও ৯ প্লাটুন  বিজিবি রিজার্ভ রাখা হবে। তবে সেখানে সেনাবাহিনী মোতায়েনের কোনো পরিকল্পনা নেই ইসির। সেখানকার পরিস্থিতি সঠিক রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকরী বাহিনীর সঙ্গে আগামীকাল বৃহস্পতিবার বৈঠক করবে ইসি। কমিশন সচিবালয়ে সকাল ১১টায় এই বৈঠক হবে।

ইসি সূত্র জানায়, ওই বৈঠকের জন্য কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী সেখানে ১৭দিন মোট ২৭ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে থাকবেন। আর নির্বাচনের আগে ও পরে ৪দিন ৯ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনী এলাকায় থাকবেন।

সূত্র আরও জানায়, সাধারণ ভোট কেন্দ্রে মোট ২২ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ফোর্স মোতায়েন থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ ভোট কেন্দ্রে থাকবে ২৪ জন আইনশৃঙ্খলার ফোর্স। প্রতিটি সাধারণ ভোট কেন্দ্রে ৭ জন পুলিশ, আনসার অস্ত্রসহ ৩ জন, লাঠিসহ আনসার ১২ জন মোতায়েন করা হবে। গুরুত্বপূর্ণ ভোট কেন্দ্রে ৭ জন পুলিশ, আনসার অস্ত্রসহ ৫ জন, লাঠিসহ আনসার ১২ জন দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়া র‌্যাবও দায়িত্বে থাকবে।

বহিরাগতদের অবস্থান নিষিদ্ধকরণ
নির্বাচন প্রভাবমুক্ত করতে যারা সিটি কর্পোরেশন এলাকার ভোটার নন তাদের ২৭ মার্চ রাত ১২টা পূর্বে উক্ত এলাকা ত্যাগ করতে হবে। নির্বাচনী কার্যক্রমের শেষ না হওয়া পর্যন্ত অন্য এলাকার প্রভাবশালীরা নির্বাচনী এলাকায় অবস্থান করলে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।

আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় সেল
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নির্বাচনের ৩ দিন পূর্বে আইনশৃঙ্খলা সেল স্থাপন করা হবে। সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একজন করে প্রতিনিধি থাকবেন।

যান চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা
২৯ মার্চ দিবাগত রাত ১২টা থেকে ৩০ মার্চ দিবাগত মধ্যে রাত পর্যন্ত কয়েক ধরনের যান চলাচল নিষিদ্ধ থাকবে। এছাড়া ২৮ মার্চ মধ্যে রাত থেকে ৩১ মার্চ সকাল ৬টা পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ থাকবে।

প্রসঙ্গত, এ নির্বাচনে মেযর পদে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ মোট পাঁচজন প্রার্থী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এছাড়া সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৯ ওয়ার্ডে ৪২ জন এবং সাধারণ ২৭টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১৪৫ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

মেয়র পদে আঞ্জুম সুলতানা (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ), মো. মনিরুল হক (বিএনপি), শিরিন আক্তার (জেএসডি), সোয়েবুর রহমান (পিডিপি) ও স্বতন্ত্রপ্রার্থী মো. মামুনুর রশিদ মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

এই সিটিতে মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই শেষ হয়েছে গত ৫ ও ৬ মার্চ, মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষদিন ১৪ মার্চ এবং ভোট হবে আগামী ৩০ মার্চ।

এ সিটিতে মোট ভোটার ২ লাখ ৭ হাজার ৩৮৪ জন। সাধারণ ওয়ার্ড ২৭টি, সংরক্ষিত ওয়ার্ড নয়টি। মোট ভোট কেন্দ্র রয়েছে ১০৩টি।

এইচএস/বিএ

আরও পড়ুন