ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিশেষ প্রতিবেদন

জমে উঠেছে ঢাকা বার নির্বাচনের প্রচারণা

প্রকাশিত: ১২:৩০ পিএম, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

এশিয়ার বৃহত্তম আইনজীবী সমিতি `ঢাকা আইনজীবী সমিতি’(বার)এর ২০১৭-২০১৮ কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন ২২ ও ২৩ ফেব্রুয়ারি। এ দু’দিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে ভোট গ্রহণ।

মূলত নির্বাচনে মূল লড়াই হবে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের সাদা প্যানেল এবং বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্যের নীল প্যানেলের মধ্যে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ২০১৭-২০১৮ বর্ষের কার্যকরী পরিষদের জন্য ২৭টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ১২টি সম্পাদকীয় পদ ও ১৫টি কার্যনির্বাহী সদস্য পদ রয়েছে।

নির্বাচনে সাদা প্যানেলে এবার মনোনয়ন পেয়েছেন সভাপতি পদে বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট মো. আয়ুবুর রহমান। অন্যদিকে নীল প্যানেলের মনোনয়ন পেয়েছেন সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট মো. খোরশেদ আলম এবং সাধারণ সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট আজিজুল ইসলাম খান বাচ্চু।

নির্বাচন উপলক্ষে ঢাকা বার এলাকায় উৎসবমুখর অবস্থা বিরাজ করছে। কর্মদিবসে প্রার্থী ও প্যানেলের পক্ষে তাদের সমর্থিত আইনজীবীরা সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে ভোটার আইনজীবীদের কাছে ভোট প্রার্থনা করছেন। ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য প্যানেলের পক্ষে তাদের সমর্থকরা স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করছেন ঢাকা জজকোর্ট এলাকা।

আগের ঐতিহ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, নির্বাচনে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় দুটি প্যানেলের মধ্যে। একটি আওয়ামী লীগ ও তাদের সমমনা সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের সাদা প্যানেল অপরটি বিএনপি ও তাদের সমমনাদের সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের নীল প্যানেল। নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থী ও প্যানেলকে জয়ী করতে আদালত এলাকা ও আইনজীবীদের চেম্বারে ভোট প্রার্থনায় নানামুখী প্রচারণা চালোচ্ছেন সমর্থকরা। প্যানেল ও প্রার্থীদের পক্ষে প্রতিদিন লিফলেট ও কার্ড বিতরণ ছাড়াও মোবাইলে ফোন করে এবং এসএমএস পাঠিয়ে জোর প্রচারণা ও ভোট প্রার্থনা চলছে। কেউ কেউ ফেসবুকেও ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছেন।

প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন প্রার্থীরা। নানা রকম নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিয়ে আইনজীবীদের (ভোটারদের)কাছে ভোট চাচ্ছেন প্রার্থী, কর্মী ও সমর্থকরা। জজকোর্টের বাইরেও সাদা এবং নীল প্যানেলের আইনজীবীরা তাদের প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাইছেন। সুপ্রিম কোর্টের বিভিন্ন আইনজীবীদের কক্ষে তারা প্রচারণা চালাচ্ছেন। সাদা ও নীল উভয় প্যানেলের প্রার্থীরা সমর্থকদের নিয়ে নির্বাচনী র্যা লিসহ বিভিন্ন প্রচারণায় অংশগ্রহণ করছেন। নির্বাচনী মাঠে ব্যস্ত দুই প্যানেলের প্রার্থীরাই জয়ের ব্যাপারে সমান আশাবাদী।

২০১৭-২০১৮ মেয়াদে সম্পাদকীয় পদে সাদা প্যানেলের প্রার্থীরা হলেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট  কাজী শাহিনারা ইয়াসমিন, সহ-সভাপতি পদে  মো. মনজুর আলম মনজু, ট্রেজারার পদে মো. হাসিবুর রহমান দিদার, সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে মোস্তাফিজুর রহমান খান দিপু, সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে মো. কামাল হোসেন পাটুয়ারি, লাইব্রেরি সম্পাদক পদে  মো. মনোয়ারুজ্জামান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট আফরোজা ফারহানা আহমেদ অরেঞ্জ, দফতর সম্পাদক পদে আব্দুর রশিদ, সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে প্রহলাদ চন্দ্র সাহা পলাশ এবং ক্রীড়া(খেলাধুলা) সম্পাদক পদে  সাদিয়া আফরিন শিল্পি্।

সাদা প্যানেলের ১৫টি সদস্য পদে মনোনয়ন পেয়েছেন অ্যাডভোকেট  মাহমুদুল হাসান অমি, মো. আল-আমিন সরকার, মো. খোরশেদ আলম পরভেজ, মো. মোস্তাফিজুর রহমান সুজন, মির্জা মো. জামাল হোসেন, মোহাম্মদ খায়েরুল ইসলাম, মো. মোশারফ হোসেন ভুইয়া মিশু, মো. সাইফুজ্জামান টিপু, মো. আহসান হাবিব, সাবিনা আক্তার দিপা, সাদিয়া আফরোজা, শেখ সাইদুর রহমান সুমন, সজয় চক্রবর্তী, সুমন মিয়া  এবং ওয়ায়েস আহমেদ কায়েস।

অন্যদিকে সম্পাদকীয় পদে নীল প্যানেলের প্রার্থীরা হলেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে মো. রুহুল আমিন, সহ-সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট কাজী মো. আব্দুল বারিক,  ট্রেজারার পদে  মো. লতিফুর রহমান আযাদ, সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে মো. সারয়ার কায়সার(রাহাত),সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে সৈয়দ নজরুল ইসলাম, লাইব্রেরি সম্পাদক পদে  আবুল কালাম আযাদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে  অ্যাডভোকেট শাহনাজ বেগম শিরিন, দফতর সম্পাদক পদে মো. আফানুর রহমান(রুবেল),সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে এমএবিএম খাইরুল ইসলাম(লিটন) এবং ক্রীড়া(খেলাধুলা) সম্পাদক পদে মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম(কাইয়ুম)।

অন্যদিকে সদস্য পদে নীল প্যানেলের ১৫টি সদস্য পদে মনোনয়ন পেয়েছেন অ্যাডভোকেট   আরিফ হোসাইন তালুকদার, মো. আনোয়ার পারভেজ কাঞ্চন,  মো. শহিদুল্লাহ, মো. শাহীন হোসেন, মো. শওকত উল্লাহ, মোহাম্মাদ আবুল কাশেম, মোস্তফা সারওয়ার মুরাদ, মোস্তরী আক্তার নুপুর, মিসেস মিনারা বেগম, মোসা. জেবুননেছা খানম জীবন, পান্না চৌধুরী, শাহনাজ পারভীন, সৈয়দ মোহাম্মাদ আমিনুল হোসাইন পান্নু এবং তামান্না খানম এরিন।

এফএইচ/জেএ/ওআর/জেআইএম