সহজে মিলছে না আরাফাত সানির মুক্তি
মামলা পিছু ছাড়ছে না জাতীয় দলের ক্রিকেটার আরাফাত সানির। সানির স্ত্রী দাবিদার নাসরিন সুলতানা তার বিরুদ্ধে পর পর তিনটি জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করেছেন। মামলা তিনটি জামিন অযোগ্য ধারায় হলেও বিচারক সন্তুষ্ট হলে জামিন দিতে পারেন।
তিন মামলার মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে দায়ের করা মামলায় গত ২৪ ডিসেম্বর থেকে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক আরাফাত সানি। প্রথম মামলায় সিএমএম আদালতে তার জামিন নামঞ্জুর হয়। ১৫ ফেব্রুয়ারি সাইবার আদালতে জামিন শুনানির জন্য রয়েছে। এদিন জামিনের আশা করছেন তার আইনজীবী। তবে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাকে কারাগারেই থাকতে হচ্ছে।
ক্রিকেটার আরাফাত সানির আইনজীবী মুরাদ উদ জাম্মান মুরাদ জাগো নিউজকে বলেন, ক্রিকেটার আরাফাত সানির বিরুদ্ধে তিনটি জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করেছেন তার স্ত্রী দাবিদার নাসরিন সুলতানা। বিচারক সন্তুষ্ট হলে মামলায় তাকে জামিন দিতে পারেন। তবে আমরা আশা করছি ১৫ ফেব্রুয়ারি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে মামলায় জামিন পাবো। এরপর আমরা অন্য দুই মামলায় তার জামিন আবেদন করবো। অন্য দুই মামলায়ও আমরা আশা করছি তার জামিন পেয়ে যাবো।
অপরদিকে নাসরিনের আইনজীবী কামাল উদ্দিন আহম্মেদ ও নাছিম জামান রুবি জাগো নিউজকে বলেন, ক্রিকেটার আরাফাত সানির বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের করেছেন নাসরিন। মামলা তিনটি জামিন অযোগ্য ধারায় হলেও বিচারক চাইলে জামিন দিতে পারেন।
তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলা
কথিত স্ত্রী দাবিদার নাসরিন সুলতানার দায়ের করা তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলায় ২২ জানুয়ারি রাজধানীর আমিনবাজার এলাকা থেকে আরাফাত সানিকে গ্রেফতার করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ। একদিনের রিমান্ড শেষে ২৪ জানুয়ারি জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার সিএমএম আদালত। বর্তমানে তিনি কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের শাপলা সেলে রয়েছেন।
তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে, আরাফাত সানির সঙ্গে ওই তরুণীর ২০১৪ সালের ৪ ডিসেম্বর বিয়ে হয়। গত বছরের ১২ জুন আরাফাত সানি দুজনের কিছু ব্যক্তিগত ছবি ও ওই তরুণীর কিছু আপত্তিকর ছবি ফেসবুকের ম্যাসেঞ্জারে পাঠান। ছবি পাঠিয়ে আরাফাত সানি ওই তরুণীকে হুমকি দেন। পরে আবার ২৫ নভেম্বর ওই তরুণীকে আপত্তিকর ছবি পাঠিয়ে হুমকি দেন আরাফাত সানি। এ ঘটনায় ওই তরুণী বাদী হয়ে ৫ জানুয়ারি রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনে একটি মামলা করেন। মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৫ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
যৌতুকের মামলা
২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করার অভিযোগে ২৩ জানুয়ারি ঢাকা সিএমএম আদালতে আরাফাত সানির বিরুদ্ধে দ্বিতীয় মামলা দায়ের করেন নাসরিন সুলতানা। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ৫ এপ্রিলের মধ্যে সানিকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ দিয়েছেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে তৃতীয় মামলা
২০ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য মারধরের অভিযোগে আরাফাত সানির ও তার মায়ের বিরুদ্ধে তৃতীয় মামলা করেন নাসরিন। বুধবার ঢাকা ৪ নং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এস এম রেজানুর রহমানের আদালতে এ মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলায় আরাফাত সানির মা নার্গিস আক্তারকেও আসামি করা হয়েছে। আদালত মামলাটি মোহাম্মদপুর থানাকে এজাহার হিসাবে গণ্য করার নির্দেশ দেন।
জেএ/ওআর/বিএ