ভুয়া শিক্ষকেই চলছে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
দেশের দক্ষিণ উপকূলীয় অঞ্চলের বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার পৌনে এক লাখ শিশুর জন্য রয়েছে ৪০২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এ উপজেলাতেই রয়েছে জেলার সর্বাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানের জন্য সরকারের পর্যাপ্ত বরাদ্দ থেকে প্রতিনিয়ত চলছে কর্তা ব্যক্তিদের তহবিল তছরুপ। খাতা-কলমে নাম সর্বস্ব বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেও তারা হাতিয়ে নিচ্ছে লাখো টাকা। শিশুদের বিনা পয়সার বই বিক্রি থেকে শুরু করে উপবৃত্তির টাকা পর্যন্ত আত্মসাৎ হচ্ছে। সব মিলিয়ে দুর্নীতির মহোৎসব চলছে এ উপজেলায়। ১০ দিন ধরে পুরো উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষায় দুর্নীতির অনুসন্ধানে চিরুনি অভিযান চালিয়েছেন আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক শাহেদ শফিক। হাতিয়া থেকে ফিরে এ নিয়ে তার ৮ পর্বের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের আজ থাকছে দ্বিতীয় পর্ব।
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চল বয়ারচর, নলেরচর ও নঙ্গলিয়ারচরসহ উত্তরাঞ্চলে জেগে ওঠা অন্তত ৭টি চর ছিল গহীন জঙ্গল। সরকার সৃজিত ম্যানগ্রোভ বন কেটে সেখানে বসতি গড়েছে মানুষ। একসময় নিজেদের প্রয়োজনেই স্থানীয়দের অনুদানে শিশুদের জন্য স্থাপিত হয় বেশ কিছু বিদ্যালয়। এ জনপদেরই কিছু স্বল্পশিক্ষিত মানুষ প্রায় বিনাবেতনে শিশুদের শিক্ষা দিয়ে আসছেন। অথচ এই মানুষগুলোই এখন বঞ্চিত হচ্ছেন সরকারি কর্তা ব্যক্তিদের কলমের খোঁচায়।
যুগ যুগ ধরে শ্রম দিয়ে আসা এসব শিক্ষককে বাদ দিয়ে রাতারাতি নতুন শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে জাতীয়করণের জন্য মন্ত্রণালয়ে ফাইল পাঠানো হচ্ছে। বিনিময়ে চলছে লাখো টাকার ঘুষ বাণিজ্য। উপজেলা শিক্ষা অফিস এসব অনিয়মের কথা স্বীকার করলেও এর জন্য স্কুল ম্যানেজিং কমিটি ও শিক্ষকদের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দায় এড়িয়ে যাচ্ছে।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, জাতীয়করণের তালিকায় থাকা বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলের ঠিকানায় ব্যবহৃত অনেক বিদ্যালয়ের কোনো অস্তিত্বই আসলে নেই। তবু শিক্ষা অফিসের ফাইলে রয়েছে এসব বিদ্যালয়ের নাম, রয়েছে শিক্ষকের তালিকাও। শুধু অস্তিত্বহীন বিদ্যালয় বা ভুয়া শিক্ষকই নয়, সাজানো হয়েছে ভুয়া শিক্ষার্থীও। এর প্রমাণ রয়েছে জাগো নিউজের কাছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জনতা বাজার বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয় ২০০৩ সালে। ২০০৪ সালের ১৬ আগস্ট সহকারী শিক্ষক হিসেবে আনুষ্ঠানিক নিয়োগ পান মুক্তা বেগম। এ সময় একই পদে সেলিম উদ্দিন নামে একজনকেও নিয়োগ দেয়া হয়। কিন্তু তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ে আসছেন না।
দ্বীপ উপজেলার মূল ভূ-খণ্ডে অবস্থিত ‘দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থা’ নামে একটি এনজিওতে তমরুদ্দিন বেকের বাজার ব্রাঞ্চ ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত। ২০০৯ সালের ১২ নভেম্বর মুক্তা বেগমকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে পদোন্নতি দেয় ম্যানেজিং কমিটি।
সম্প্রতি তৃতীয় পর্যায়ে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের জন্য হাতিয়া উপজেলা থেকে ৩৮টি বিদ্যালয়ের চূড়ান্ত তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে উপজেলা শিক্ষা অফিস। ওই তালিকায় মুক্তা বেগমকে বাদ দিয়ে সেলিম উদ্দিনকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে দেখানো হয়েছে।
শুধু তাই নয়, প্রধান শিক্ষক থেকে মুক্তা বেগমকে সরিয়ে দিতে বিদ্যালয়ের আলমিরা ভেঙে সবকাগজপত্র চুরি করে নিয়ে যায় প্রতারণার সঙ্গে জড়িত চক্রটি। অনেক মূল্যবান কাগজপত্র চুরি হলেও তার কাছে অধিকাংশের নমুনা কপি রয়েছে।
এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলছে, ২০০৩ সাল থেকে মুক্তা বেগমকে শিক্ষক হিসেবে তারা দেখছে। তিনিই বিদ্যালয়টি চালান। সেলিম উদ্দিন নামে কাউকে তারা চেনে না। কোনো দিন দেখেনিও।
তারা আরো জানায়, প্রধান শিক্ষক থেকে নাম বাদ পড়ায় মুক্তা বেগম ক্ষোভে-দুঃখে কয়েক দিন বিদ্যালয়ে আসা বন্ধ করেন। তখন শতাধিক শিক্ষার্থী অন্য বিদ্যালয়ে চলে যায়। পরে বিদ্যালয় সভাপতি দ্বীন মুহাম্মদ বিষয়টির সুরাহা করে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে তাকে স্কুলে ফিরিয়ে আনেন।
জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক মুক্তা বেগম বলেন, উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ভবরঞ্জন দাস টাকা খেয়ে অন্য একজনকে প্রধান শিক্ষক বানিয়ে ফাইল মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছেন। উপজেলা শিক্ষা অফিসকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। পরে জেলা প্রশাসককে লিখিতভাবে অভিযোগ করলে তিনি তদন্ত করার নির্দেশ দেন। কিন্তু উপজেলা শিক্ষা অফিস তাও করেনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ভবরঞ্জন দাস জাগো নিউজকে বলেন, ‘সেলিম উদ্দিনের বিষয়টি আমরা জেনেছি। তিনি ভিন্ন একটি এনজিওতে চাকরি করেন। আসলে হাতিয়া এমন একটি জায়গা এখানে যে যার সুবিধা পাওয়ার জন্য বিভিন্ন সময় আমাদের জড়িয়ে বিভিন্ন কথা বলে। এটার সঙ্গে আমি জড়িত না। স্কুল ম্যানেজিং কমিটিই যে কাউকে নিয়োগ দিতে পারে। কমিটির সঙ্গে তাদের দ্বন্দ্বের কারণে তারা আমাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কথা বলে।
ভবরঞ্জন বলেন, ‘আসলে স্কুলগুলো জাতীয়করণ হলে কাউকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে গেজেট প্রকাশ হবে না। তখন সরকারই স্কুলগুলোতে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেবে। শিক্ষকরা না বুঝেই শুধু এ পদটির জন্য গণ্ডগোল করছে।’
একই অবস্থা বাংলা বাজার বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। ২০০৪ সাল থেকে স্কুলটিতে পাঠ দান করে আসছেন আবুল হাশেম। গ্রামের সবাই তাকে হাসেম হুজুর হিসেবে চেনেন। ওই সময় থেকে সহকারী শিক্ষক হিসেবে পাঠদান করে আসছেন শাহেনা আক্তার, নারগিস আক্তার ও রিনা আক্তার।
২০১৫ সালেও তিনি প্রধান শিক্ষক হিসেবে শিক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র ও সনদপত্রে স্বাক্ষর করেছেন। গত ইউপি নির্বাচনে প্রধান শিক্ষক হিসেবে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পান। ২০১৪ সালে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন সিদ্দিকী সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রতিবেদনে তাকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
অথচ তৃতীয় ধাপে জাতীয়করণের তালিকায় বিদ্যালয়টিতে শুধু সহকারী শিক্ষক রিনা আক্তারকে রেখে প্রধান শিক্ষকসহ বাকি তিনজন শিক্ষককে বাদ দিয়ে নতুন করে করে তিন শিক্ষকের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ে পাঠানো উপজেলা শিক্ষা অফিসের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, স্কুলটিতে প্রধান শিক্ষক আবুল হাশেমের পরিবর্তে জসিম উদ্দিন এবং শাহেনা আক্তার ও নারগিস আক্তারকে বাদ দিয়ে শাহীন আরা বেগম ও লাইলা বেগম নামে দু’জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাদের যোগদানও দেখানো হয়েছে ২০০৪ সাল।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাতিয়া সদর ওছখালীর আবহাওয়া অফিস সংলগ্ন খবির উদ্দিনের ছেলে জসিম উদ্দিন। তিনি চট্টগ্রামের একটি কারখানায় চাকরি করতেন। এখন উপজেলা শিক্ষা অফিস ও স্কুল জাতীয়করণের যাচাই-বাছাই কমিটিকে ম্যানেজ করে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নাম অন্তর্ভুক্ত করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, ২০০৩ সাল থেকে বিদ্যালয়টি পরিচালনা করে আসছেন আবুল হাশেম। কিন্তু এ বছর প্রধান শিক্ষক হিসেবে শিক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র নিতে গেলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন তাকে না দিয়ে অন্য একজনকে দিয়ে স্কুলে পাঠান। বিষয়টি স্থানীয়রা ও স্কুলশিক্ষার্থীরা জানতে পারলে ওই ব্যক্তিকে স্কুলে ঢুকতে দেয়নি। পরে শিক্ষার্থীরা বিনা প্রবেশপত্রেই পরীক্ষা দিয়েছে।
নলেরচর ভূমিহীন বাজার বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবস্থাও একই। এ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মেরিনা আক্তার। এ বছর তাকে শিক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র না দিয়ে অন্য একজনকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে প্রবেশপত্র দেয়ার চেষ্টা করলে তিনি জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ করেন। জেলা প্রশাসক বিষয়টি দেখার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) নির্দেশ দেন। ইউএনও শিক্ষা কর্মকর্তাকে ডেকে তাকে প্রবেশপত্র দেয়ার নির্দেশ দিলেও তিনি দিতে রাজি হননি। পরে চারদিন এই শিক্ষককে ঘুরিয়ে প্রবেশপত্র দেন।
একই চরের আজিমনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর থেকে স্কুল কমিটির পক্ষ থেকে নিয়োগ পেয়ে পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে গেছেন বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য নুর নাহার বেগম ও রাশেদ উদ্দিনসহ ৪ জন। কিন্তু তাদের নাম বাদ দিয়ে অন্বেষা দাস নামে একজনকে প্রধান শিক্ষক বানিয়ে ফাইল চূড়ান্ত করা হয়েছে।
কিন্তু বেসরকারি বিদ্যালয় জাতীয়করণের ঘোষণা আসার পর উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ভবরঞ্জন দাস তাদের নাম বাদ দিয়ে ভুয়া ম্যানেজিং কমিটি সাজিয়ে নতুন শিক্ষক নিয়োগ দেন। প্রত্যেক শিক্ষকের কাছ থেকে থেকে ৩ থেকে ৫ লাখ টাকা করে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
বিষয়টি নিয়ে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হারুন-অর-রশিদের কাছে অভিযোগ গেলে তিনি তদন্ত করে নুর নাহার বেগমের নাম স্থাপন করে ফাইল পুনঃপ্রেরণ করার নির্দেশ দেন। তৎকালীন শিক্ষা কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা ভবরঞ্জন দাস সে নির্দেশ মানেননি।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন বলেন, স্কুল ম্যানেজিং কমিটির কারণেই জটিলতা হচ্ছে। কাউকে নিয়োগ বা বাদ তারাই দিচ্ছেন। ম্যানেজিং কমিটিতে যদি রাত দিন ২৪ ঘণ্টা সমন্বয় থাকে তাহলে কাউকে বাদ দেয়ার ক্ষমতা কারো নেই।
এসব বিষয়ে তদারকির দায়িত্ব উপজেলা শিক্ষা অফিসের আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে এই কর্মকর্তা বলেন, দায়িত্ব অবশ্যই আছে। এই অনিয়ম আমার সময়ে হয়নি। এরপরেও যদি কেউ অভিযোগ নিয়ে আসে আমি খতিয়ে দেখবো।
আলীবাজার বিদ্যালয়ের অবস্থাও একই। এ বিদ্যালয়টির শুরু থেকেই প্রধান শিক্ষক হিসেবে ছিলেন- বর্তমান চরঈশ্বর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম আবাদ ও তার স্ত্রী সালমা আক্তার লাকি।
তিনি জানান, স্থানীয় একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি সেসময় তার কাছ থেকে জোরপূর্ব রিজাইন লেটার (অব্যাহতি পত্র) নিয়ে নেন। এছাড়া স্বপন উদ্দিন নামেও একজন শিক্ষক দীর্ঘ আট বছর ধরে বিদ্যালয়টিতে ক্লাস নিয়েছিলেন। এদের কারো নাম এখন বিদ্যালয়ের ফাইলে নেই।
এই বিদ্যালয়গুলো ছাড়াও আরো অন্তত ১০টি বিদ্যালয়ের কর্মরত শিক্ষকদের বাদ দিয়ে সেখানে নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, দরবেশ বাজার হাজী গ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শাহিনুর আক্তারের নাম বাদ দিয়ে ফাহিমা আক্তারের নাম অন্তর্ভুক্ত করে ফাইল চূড়ান্ত করা হয়েছে।
আদর্শ গ্রাম রওশন আরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মরিয়ম নেছা চাকরি করেন চানন্দী ইউনিয়নের গিয়াস উদ্দিন মাস্টার বাড়ীর আনন্দ স্কুলে। অন্য একজন চাকরি করেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। পশ্চিম আদর্শগ্রাম বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক যতন কুমার মজুমদারও চাকরি করেন অন্য একটি বিদ্যালয়ে।
শাবনাজ করিম বাজার বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সাহেবানি বাজার বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আয়েশা সিদ্দিকা ও মুহাম্মদ আমিরুল ইসলাম অন্যত্র চাকরি করেন। মুজিবনগর বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবেদিনও চাকরি করেন অন্য জায়গায়।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন বলেন, আমার কাছে লিখিত অভিযোগ আসতে হবে। লিখিত না আসলে আমি তো কিছুই করতে পারবো না। লিখিত আসলে আমি তদন্ত করে দেখবো আসলে সে কি মূল স্কুলে আছে না কি অন্য কোথাও গিয়ে কাজ করছে।
এমএসএস/এনএফ/এমএস