জাতীয়করণের সুপারিশে নামসর্বস্ব স্কুল
দেশের দক্ষিণ উপকূলীয় অঞ্চলের বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার পৌনে এক লাখ শিশুর জন্য রয়েছে ৪০২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এ উপজেলাতেই রয়েছে জেলার সর্বাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানের জন্য সরকারের পর্যাপ্ত বরাদ্দ থেকে প্রতিনিয়ত চলছে কর্তা ব্যক্তিদের তহবিল তছরুপ। খাতা-কলমে নাম সর্বস্ব বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেও তারা হাতিয়ে নিচ্ছে লাখো টাকা। শিশুদের বিনা পয়সার বই বিক্রি থেকে শুরু করে উপবৃত্তির টাকা পর্যন্ত আত্মসাৎ হচ্ছে। সব মিলিয়ে দুর্নীতির মহোৎসব চলছে এ উপজেলায়। ১০ দিন ধরে পুরো উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষায় দুর্নীতির অনুসন্ধানে চিরুনি অভিযান চালিয়েছেন আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক শাহেদ শফিক। হাতিয়া থেকে ফিরে এ নিয়ে তার ৮ পর্বের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের আজ থাকছে প্রথম পর্ব।
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলের ঠিকানা ব্যবহার করে নাম ও প্যাডসর্বস্ব বেশ কিছু বিদ্যালয় জাতীয়করণের সুপারিশ করেছে উপজেলা শিক্ষা অফিস। জাতীয়করণের কথা বলে দীর্ঘদিন ধরে শ্রম দিয়ে আসা শিক্ষকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে লাখো টাকা। জাগো নিউজের অনুসন্ধানে এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ২০১৪ সালের শুরুর দিকে হাতিয়ার একাধিক চর নিয়ে গঠিত হরণী ও চানন্দী ইউনিয়নের ঠিকানায় ৩৩টি স্কুল জাতীয়করণের জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী বরাবর আবেদন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদৌস। মন্ত্রী ওই বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি স্কুলগুলোর সার্বিক অবস্থার বর্ণনাসহ প্রতিবেদন পেশ করতে নির্দেশনা দেন সচিবকে।
কিন্তু এমপির পাঠানো তালিকায় মন্ত্রী স্বাক্ষর করার মাত্র দু’দিন পর তালিকাটি উপজেলা শিক্ষা অফিসে গিয়ে কখনো ৩৪টি, কখনো ৩৮টি, আবার কখনো ৪৯টিতে পরিণত হয়। বদলে যায় কয়েকটি বিদ্যালয় ও শিক্ষকের নাম। একটি বিদ্যালয়ের নামে সামান্য পরিবর্তন এনে নতুন বিদ্যালয় হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়।
খোঁজে নিয়ে জানা গেছে, এই তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তি দেখিয়ে চাকরি প্রত্যাশীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে লাখো টাকা। উপজেলা শিক্ষা অফিসের সঙ্গে যোগসাজশে একটি চক্র এ কাজ করছে। এ চক্রের সঙ্গে জড়িতদের মধ্যে নাম এসেছে উপজেলার চরাঞ্চলের কয়েকজন বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামধারী এক প্রধান শিক্ষকের।
চক্রটি শিক্ষা অফিসের সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টার অফিসারসহ (উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা) যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্যদের সঙ্গে যোগসাজশ করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর জন্য ফাইল তৈরি করে। এক্ষেত্রে একজন শিক্ষকের স্থলে অন্যজনের নাম, নামসর্বস্ব কিছু বিদ্যালয় ও ওই বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে লাখো টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। সহকারী শিক্ষক পদের জন্য কমপক্ষে ৩ লাখ ও প্রধান শিক্ষক পদে ৫ থেকে ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত নেয়া হয়েছে।
এসব অভিযোগ উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে মন্ত্রণালয় পর্যন্ত গড়িয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে অভিযোগ খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে সংশ্লিষ্টদের। কিন্তু কোনো নির্দেশনাই বাস্তবায়ন করছে না উপজেলা শিক্ষা অফিস।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মন্ত্রীর স্বাক্ষরকৃত এমপির সুপারিশকৃত বিদ্যালয়ের তালিকায় ৩৩টি স্কুলের সঙ্গে রাতারাতি আরো ৫টি নাম যুক্ত হয়ে ৩৮টিতে দাঁড়িয়েছে। উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে চূড়ান্ত করা এই তালিকায় যে নতুন ৫টি স্কুল যুক্ত হয়েছে সেগুলো হলো- মোহাম্মদপুর জাফর ইকবাল বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (পরে স্কুলের নাম থেকে ‘জাফর ইকবাল’ শব্দটি বাদ দেয়া হয়েছে), আদর্শগ্রাম রৈশনারা, জাহাজমারা এ হোসেন, তমরুদ্দি আঠারবেকি ও ফরিদপুর বাজার বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
ফরিদপুর বাজার বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির ফাইলে উপজেলার প্রভাবশালী এক নেতাকে প্রধান শিক্ষক ও তার স্ত্রী এবং দুই আত্মীয়কে সহকারী শিক্ষক হিসেবে দেখানো হয়েছে।
২০১৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর সংসদ সদস্যের দুই পাতার যে ডিও লেটারে শিক্ষামন্ত্রী স্বাক্ষর করেন সেখানে ৩৩টি স্কুলের নাম ছিল। কিন্তু ১৮ ডিসেম্বর মন্ত্রীর স্বাক্ষর করা আরেকটি ডিও লেটারে দেখানো হচ্ছে তালিকায় রয়েছে ৪৯টি বিদ্যালয়ের নাম। এই তালিকা দেখিয়ে প্রতারক চক্র অনেকের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
প্রথম তালিকা ও উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে চূড়ান্ত করা তালিকা দুটি মিলিয়ে দেখা যাচ্ছে, মন্ত্রণালয়ে পাঠানো স্থানীয় সংসদ সদস্যের ওই ডিও (ডিমান্ড অর্ডার) লেটারের ২৬নং ক্রমিকে উত্তর পশ্চিম গাবতলী বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নামে একটি বিদ্যালয় রয়েছে। কিন্তু পরের তালিকায় মূল বিদ্যালয়টি বাদ দিয়ে ‘অমি’ শব্দটি যুক্ত করে ‘উত্তর পশ্চিম গাবতলী অমি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’ নামে একটি স্কুল জাতীয়করণের সুপারিশ করা হয়েছে। অথচ এ বিদ্যালয়ের কোনো অস্তিত্বই নেই।
ভুয়া বিদ্যালয়টির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনে ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর উত্তর পশ্চিম গাবতলি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চারজন শিক্ষক মন্ত্রীর কাছে চিঠি লেখেন।
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক আব্দুল হান্নানের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী জাতীয়করণের ঘোষণা দেয়ার পরপরই উপজেলার সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ভবরঞ্জন দাস একজন প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে ওই বিদ্যালয়ের নামে ফাইল চূড়ান্ত করে মন্ত্রণালয়ে পাঠান। মূল বিদ্যালয়ের অন্য তিনজন শিক্ষককেও বাদ দিয়েছেন এই কর্মকর্তা।
এরপর মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব নুজহাত ইয়াসমিন এক চিঠিতে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তারকে তদন্ত করে প্রতিবেদন পাঠাতে নির্দেশ দেন। কিন্তু প্রতিবেদন দেননি ওই কর্মকর্তা।
জাতীয়করণের সুপারিশে বলা হয়েছে, বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মো. ইকবাল হোসেন, তিনজন সহকারী শিক্ষক সালেহ উদ্দিন, টুম্পা রানী দাস ও রাজিয়া বেগম। বিদ্যালয়টি চরাঞ্চলে অবস্থিত। কিন্তু নির্দিষ্ট স্থান উল্লেখ নেই। স্থানীয়রাও এ বিদ্যালয়টি সম্পর্কে কিছুই জানাতে পারেননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ভবরঞ্জন দাস জাগো নিউজকে বলেন, ‘সবগুলো স্কুলে অনিয়ম হয়নি। কিছু কিছু স্কুলে হয়েছে এটা ঠিক। তবে এর সঙ্গে আমার জড়িত থাকার প্রশ্নই ওঠে না। কারণ, এই নিয়োগগুলো দিয়ে থাকেন সংশ্লিষ্ট স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি। তারা যার নাম দেন আমরা সেটা মন্ত্রণালয়ে পাঠাই। সুনির্দিষ্ট অভিযোগগুলো আমরা খতিয়ে দেখছি। যারা ভুক্তভোগী তারা আপিল করতে পারেন।’
কিন্তু তার কাছে একাধিক আবেদন করেও কোনো প্রতিকার পাননি ভুক্তিভোগী শিক্ষকরা।
একই সঙ্গে মোহাম্মদপুর বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েরও কোনো অস্তিত্ব নেই। বিদ্যালয়টিতে চারজন শিক্ষক দেখানো হয়েছে। এরা হলেন- প্রধান শিক্ষক নুর জাহান বেগম, সহকারী শিক্ষক সেলিনা আক্তার, লাইলাতুন নেছা শিউলি ও কনিকা রানী দাস। এলাকায় গিয়ে এসব নামে কারো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এছাড়া এ বছর তৃতীয় ধাপে জাতীয়করণের জন্য সুপারিশকৃত ৩৮টি বিদ্যালয়ের মধ্যে মাত্র ৩টি ছাড়া একটি বিদ্যালয়ও ২০১২ সালের সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নেয়নি।
যেখানে জাতীয়করণের শর্তেই বলা হচ্ছে, ২০১২ সালের ২৭ মে’র আগে স্থাপিত হতে হবে বিদ্যালয়টি এবং সেটি পাঠদানের অনুমতির জন্য আবেদনকৃত হতে হবে। ওই বছর সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। ২০১২ সালের পর প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয় জাতীয়করণ হওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবে না।
হাতিয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসে সংরক্ষিত তথ্যে দেখা গেছে, ২০১২ সালের দ্বীপের হরনী ইউনিয়ন থেকে ৩০টি বিদ্যালয়ের ৫৩১ শিক্ষার্থী সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে ১০ জন শিক্ষার্থীর কম অংশ নিয়েছে এমন বিদ্যালয় ১৬টি এবং ৫ জন শিক্ষার্থীর কম সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে এমন বিদ্যালয় রয়েছে ৪টি।
২০১২ সালে চানন্দী ইউনিয়ন থেকে একটি বিদ্যালয়েরও সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের কোনো প্রমাণ না থাকলেও এই ইউনিয়নের ২৪টি বিদ্যালয় তৃতীয় ধাপে জাতীয়করণের জন্য সুপারিশ করেছে উপজেলা শিক্ষা অফিস।
বিদ্যালয়গুলো হচ্ছে- ফরিদপুর বাজার, মুজিব বাজার, হাসিনা বাজান, রেহানা বাজার, জয় বাজার, রসুলপুর, মাদ্রাসা বাজার, হেমায়েতপুর, বাতানখালী, আল আমিন বাজার, দরবেশ বাজার, শান্তিপুর বাজার, শাবনাজ বাজার, সাহেবানী বাজার, পশ্চিম আদর্শগ্রাম, জনতা বাজার, আদর্শগ্রাম দাসপাড়া, চরবাশার, আজিম নগর থানার হাট, চানন্দী বাজার, রহমতপুর, নুরজাহান, নলেরচর ভূমিহীন বাজার ও বাংলাবাজার বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
অন্যদিকে হরনী ইউনিয়ন থেকে ২০১২ সালে ৩০টি স্কুল সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে ১৬টি বিদ্যালয় দ্বিতীয় ধাপে জাতীয়করণ হয়েছে। বাকি ১৪টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ১২টি বিদ্যালয় এ বছরও (২০১৬ সাল) সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। কিন্তু জাতীয়করণের জন্য শর্তপূরণকারী এই ১২টি বিদ্যালয়ের মধ্যে মাত্র ৩টি বিদ্যালয় তৃতীয় ধাপে জাতীয়করণের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।
বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য নিজস্ব মালিকানায় অথবা ভাড়ায় মেট্রোপলিটন এলাকার জন্য আট শতাংশ, পৌরসভা এলাকায় ১২ শতাংশ এবং অন্যান্য এলাকায় ৩০ শতাংশ জমি থাকতে হবে। এ জমিতে কমপক্ষে তিন হাজার বর্গফুটের মধ্যে ছয় কক্ষ বিশিষ্ট ভবন থাকতে হবে। কিন্তু হাতিয়া উপজেলার চরাঞ্চলের বিদ্যালয়গুলোর অধিকাংশেরই জমি ও ভবন সংক্রান্ত কাগজপত্রে অসঙ্গতি রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাতিয়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, আমি এসেছি মাত্র তিন মাস। এসব অনিয়ম আগে থেকেই চলে আসছে। যারা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত তারাই এসব বিষয়ে বেশি বলতে পারবে।
এসব অনিয়ম ও জালিয়াতির জন্য স্কুল শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সমন্বয়হীনতাকেই দুষছেন তিনি। শিক্ষকদের প্রতি ক্ষোভ জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা (শিক্ষকরা) একদিন থাকেন, ১০ দিন থাকেন না। এ কারণে কমিটি বাদ দিয়ে আরেকজনকে ঢুকায়। এখন আপনারা বলেন, আপনি শুরু থেকে আছেন। এটা বিশ্বাসযোগ্য না।
২০১২ সালের প্রাথমিকের এই রেজাল্ট সিটে দেখা যাচ্ছে চানন্দী ইউনিয়নের একটি স্কুলও সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নেয়নি
জানতে চাইলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন সিদ্দিকী জাগো নিউজকে বলেন, ‘অনিয়মের বিষয়টি আমরা শুনেছি। কয়েক জন শিক্ষকও আমার কাছে এসেছেন। কিন্তু উপজেলা যাচাই-বাছাই কমিটি যে তালিকা আমাদের কাছে পাঠায় রেজুলেশনের মাধ্যমে আমরা সেই তালিকাই মন্ত্রণালয়ে পাঠাই। এর সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
তালিকা অনেক বড় হলেও তৃতীয় ধাপে মাত্র ৫টি বিদ্যালয় জাতীয়করণ হতে পারে বলেও জানান তিনি।
এদিকে হাতিয়ার চরে যেসব বিদ্যালয় নদী ভাঙনের কবলে পড়ে সেসব বিদ্যালয় দ্বীপের মূল ভূখণ্ডে স্থানান্তর করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী বিদ্যালয়গুলো এখন জেগে ওঠা এই চরগুলোতে স্থানাস্তর করার কথা। কিন্তু তা না করে নতুন স্কুল স্থাপন করে বাণিজ্য করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রথামিক শিক্ষা কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন সিদ্দিকী জাগো নিউজে বলেন, এটা উপজেলা শিক্ষা কমিটির দায়িত্ব। তারা সুপারিশ করলে অবশ্যই করা যায়। যেহেতু চরাঞ্চলগুলোতে বর্তমানে সরকারি কোনো স্কুল নেই সেহেতু ওই স্কুলগুলো স্থানান্তর করা হলে চরাঞ্চলের শিশুরা উপকৃত হতো।
এমএসএস/এনএফ/আরআইপি