বাংলাদেশের ইতিহাসে নাসিক নির্বাচন হবে নিরপেক্ষতার মডেল
শামীম ওসমান। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের (সিদ্ধিরগঞ্জ-ফতুল্লা) সংসদ সদস্য। আগামীকাল (২২ ডিসেম্বর) নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে মুখোমুখি হন জাগো নিউজের। দীর্ঘ আলোচনায় তুলে ধরেন নির্বাচনের নানা বিশ্লেষণ। বলেন, নির্বাচন নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ হবে এবং দলের প্রতীক নৌকা-ই বিজয়ী হবে।
জাগো নিউজ : রাত পোহালেই নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। কেমন দেখছেন নির্বাচন পরিস্থিতি?
শামীম ওসমান : নানা কারণেই নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন দেশবাসীর কাছে গুরুত্ব পাচ্ছে। আগেরটিও নির্বাচন কমিশনের শেষ নির্বাচন ছিল। এটিও তাই। নির্বাচন নিয়ে অনেক থিউরি আবিষ্কার হচ্ছে। আর এ কারণেই এ নির্বাচন নিয়ে সবার মাথাব্যথা বলে মনে করি।
নির্বাচন সুষ্ঠু করতে প্রধানমন্ত্রীর কঠোর নির্দেশ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কথার প্রতিফলন আগামীকাল ঘটবে বলে আমার বিশ্বাস। সরকার নির্বাচন কমিশনকে সর্বোচ্চ সহায়তা করছে। যে কারণে বাংলাদেশের ইতিহাসে এ নির্বাচন নিরপেক্ষতার মডেল হবে।
প্রধানমন্ত্রীর কঠোর ঘোষণা রয়েছে, যাতে কোনো দলীয় নেতাকর্মী নির্বাচনটি বিতর্কিত করতে না পারে। কেউ যদি বিতর্কিত করার চেষ্টা করে তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জাগো নিউজ : এই ভরসা আপনি কোথায় পান? স্থানীয় নির্বাচনে তো ব্যাপক অনিয়ম হলো?
শামীম ওসমান : ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে আমি নিজেও সন্তুষ্ট না। তবে তৃণমূল পর্যায়ের এমন নির্বাচনে অনেক কিছুই নিয়ন্ত্রণে থাকে না। প্রচুর প্রার্থী থাকে। বিদ্রোহী প্রার্থী থাকে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গেও স্থানীয় পর্যায়ের এমন নির্বাচনে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটে।
কিন্তু তাই বলে আগেরটা থেকে শিক্ষা নিয়ে পরেরটায় ভালো করব না, তা তো নয়।
জাগো নিউজ : ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অনিয়ম ঠেকাতেও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ছিল। এখানে কাজে দেবে?
শামীম ওসমান : দলের মধ্যে শৃঙ্খলা রয়েছে। আমি ঘরে বসে আছি। দলের কেউ নির্বাচনে আচরণবিধি ভঙ্গ করেনি। দলের সাংগঠনিক শক্তি এখানে অনেক বেশি। আমরা চাইলে এখানে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা এভাবে প্রচার চালাতে পারতেন না।
নির্বাচনী বিধির কারণে বিএনপির সবাই এসে এখানে প্রচার চালাতে পারছেন। আমরা কিন্তু ঘরে বসে কাজ করছি।
জাগো নিউজ : দলের মধ্যকার সংকট নিয়ে কী বলবেন?
শামীম ওসমান : এখানে দলের মধ্যে দুই ধরনের সংকট রয়েছে। প্রথমত মেয়র প্রার্থী নিয়ে। দ্বিতীয়ত কাউন্সিলর নিয়ে।
অনেকেই অনেক সংবাদ পরিবেশ করছেন। আমি জাগো নিউজের মধ্য দিয়ে বিষয়টি দেশবাসীর কাছে তুলে ধরতে চাই।
কিছুদিন আগে ‘প্রথম আলো’ আমাকে নিয়ে একটি সংবাদ প্রকাশ করল। প্রথম আলো হঠাৎ করে কেন নৌকার প্রতি দরদ দেখাতে শুরু করল, তা বুঝে আসছে না। গণফোরাম কেন নৌকার প্রতি দরদ দেখাচ্ছে, তাও বুঝতে পারছি না।
প্রথম আলো পত্রিকা কখনোই নৌকাকে সমর্থন করার কথা নয়। যদি নৌকাকেই সমর্থন করে তাহলে এমন বক্তব্য কেন ছাপানো হলো, যাতে নৌকার প্রার্থীর ক্ষতি হয়।
জাগো নিউজ : এ নিয়ে আপনার বিশ্লেষণ কী?
শামীম ওসমান : আমার কাছে মনে হচ্ছে, এদের অন্য কোনো উদ্দেশ্য আছে। আমাদের কারো কাঁধে বন্দুক রেখে ওরা গুলি করতে চায়। কিন্তু আমি তো আইভী না, আমি শামীম ওসমান। আমি রাজনীতির অংক ভালো বুঝি।
‘প্রথম আলো’ ১৭ কাউন্সিলরকে নিয়ে সংবাদ পরিবেশন করেছে। একজন মুসলমান হিসেবে আমি ‘প্রথম আলো’ পত্রিকাটি পড়িই না। যেদিন থেকে ওরা আমার নবী মুহম্মদ (সা.) কে নিয়ে ব্যঙ্গ করেছে, সেদিন থেকে টাকা দিয়ে কিনে এ পত্রিকা আমি পড়ি না। ডেইলি স্টার পত্রিকাও তাই।
এদের অন্য উদ্দেশ্য আছে। আজ দৈনিক সমকাল চার কলামে আরেকটি সংবাদ প্রকাশ করেছে। লিখেছে, সব দলেই সমান পরিবারের লোক আছে। থাকবেই তো। আমরা তিন পুরুষ ধরে রাজনীতি করি। এক মায়ের তিন সন্তান আমরা সাংসদ হয়েছি। বাংলাদেশের ইতিহাসে আর এমন নজির নেই।
কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ এবং বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার প্রশ্নে আমরা কোনো আপস করি না। নইলে জাতীয় পার্টির সাংসদ সেলিম ওসমান তো নৌকাকে সমর্থন করার কথা নয়।
সাতদিন আগে আমি আমার লাল পাসপোর্ট সারেন্ডার করেছি। আমি নেত্রীর কাছে আকুল আবেদন করে বলেছিলাম, আমার সাংসদ পদ ফিরে নিয়ে মাঠে নামার সুযোগ দেয়া হোক। নেত্রী সে সুযোগ দিলেন না। নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগ কী আমি তা প্রমাণ করে দিতাম।
বোমা হামলার সময় আহত হয়ে আমি বলেছিলাম, আপনারা শেখ হাসিনাকে বাঁচান। তিনবার প্রস্তাব পেয়েও আমি মন্ত্রী হইনি। শেখ হাসিনার ভালোবাসা পেয়েছি, এর চেয়ে বড় কিছু আর হতে পারে না।
আচরণবিধির সুযোগ নিয়ে বিএনপি স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে মাঠে নেমেছে। নেত্রী আমাকে সুযোগ দিলে আমি স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে নারায়ণগঞ্জের মাঠ থেকে চিরতরে উঠিয়ে দিতাম।
জাগো নিউজ : কিন্ত অনেকেই তো মনে করছেন আপনার এই কর্মকাণ্ড লোক দেখানো? আপনার কর্মকাণ্ড ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে কাজ করছে?
শামীম ওসমান : আমি ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে কাজ করলে নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের কোনো কর্মীই থাকতো না। আমি এখন চাইলেও কেউ থাকবে না। কিন্তু আমার কর্মীরা জানে শামীম ওসমান শেখ হাসিনাকে কত ভালোবাসে। একজন কর্মীও কাউকে বিরক্ত করেনি।
ওবায়দুল কাদের ভাই একটু আগে ফোন করে সব নেতাকর্মীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। ছাত্রলীগ সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকের পকেট থেকে ২০ থেকে ৩০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে নৌকা প্রতীকের প্রচারণায়। প্রতিদিন ঢাকা থেকে নেতারা আসছেন। তাদের পেছনে খরচ করছেন প্রত্যেক জন। সরকারি দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে খাই খাই বেশি থাকে। এখানে তা পাবেন না।
জাগো নিউজ : কিন্তু ছাত্রলীগ, যুবলীগ এখনো আইভীর পক্ষে নামেনি বলে প্রচার রয়েছে?
শামীম ওসমান : সবাই নেমেছে, আইভী নিজেই তা বলেছে। সবাই জানে। অভিযোগ সত্য না।
জাগো নিউজ : তাহলে কেন এই অভিযোগ?
শামীম ওসমান : এখানেই আইভীকে নিয়ে একটি পক্ষ খেলতে চাইছে, যা নির্বাচনী কৌশলের কারণে আইভী বলতে পারছেন না। পাঁচ বছরে যারা আইভীর মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছে, তাদের নামগুলো প্রকাশ করা উচিত বলে আমি মনে করি। রাজকার আবু বকর সিদ্দীকের ছেলে, রাজাকার শাহ আলীর ছেলে আইভীর কৌশলের প্রবক্তা। কেউ সাংবাদিক, কেউ খেলাঘরের মুখোশ পরে আছে।
রফিউর রাব্বি পচা বাম থেকে এসে এখানে বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছেন। সেও ৫ তারিখে আইভীর সঙ্গে মনোনয়নপত্র দাখিল করলো। আবার প্রথম আলোর গোলটেবিলে গিয়ে বললো, এই নির্বাচনে সুষ্ঠু হবে না। নির্বাচন কমিশন ঠুটো জগন্নাথ। এখানেই হচ্ছে আসেল খেলা।
জাগো নিউজ : কী সে খেলা?
শামীম ওসমান : একটি পক্ষ চাইছে বিএনপি এখানে জয়লাভ করলে জাতীয় রাজনীতিতে চাপ সৃষ্টি করতে পারবে। আরেকটি পক্ষ চাইছে, নির্বাচনকে বিতর্কিত করে আন্দোলনের ইস্যু বানাতে।
জাগো নিউজ : এখানে আপনার অবস্থান কী?
শামীম ওসমান : ভোটের মালিক আল্লাহ। জনগণ প্রয়োগ করবে। ভোটে কে আসে আসুক। আমরা চাই কোনোভাবেই এই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে না। এটিই দলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।
এখানে আরেকটি পক্ষ আছে। এই পক্ষ বিশেষ একটি মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছে। ১, ২ ,৩, ১৬ , ১৭ ,১৮, ২১, ২২, ২৪, ২৫ ওয়ার্ডে মিডিয়ার এক ব্যক্তি বিশেষ এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার চেষ্টায় লিপ্ত। তার এমন একটি ফুটেজ দরকার, যার মাধ্যমে প্রমাণ মিলবে যে এই নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচন করা যায় না।
আপনাকে মনে রাখতে হবে বিএনপি নেত্রী কয়দিন আগে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এই নির্বাচন বিতর্কিত হলে আমাদের ক্ষতি আছে আর বিএনপির লাভ আছে।
১/১১-এর পক্ষটিও এখানে সক্রিয়। নাহলে নৌকার পক্ষে তারা প্রধান শিরোনাম করার কথা নয়। আমাকে নিয়ে লেখা হচ্ছে, বিতর্কিত করা হচ্ছে। কিন্তু কেন? আমি কি মাঠে আছি। আমি কী করছি, আমার দলই ভালো জানে।
দৈনিক সমকাল একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আজ। এত বাজে নিউজ আমি আগে কখনো দেখিনি। লিখেছে আমি অমুক অমুক কাউন্সিলর প্রার্থীকে দাঁড় করিয়ে দিয়েছি। বলছে, ৯নং ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বদিউজ্জামান বদুকে দাঁড় করিয়েছে। অথচ ওই নামে সেখানে কোনো প্রার্থীই নাই। এ কারণেই মিডিয়ার প্রতি মানুষের আস্থা কমেছে। এসব কেন? কে কার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে?
জাগো নিউজ : আপনার নিয়ন্ত্রিত সিদ্ধিরগঞ্জ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছেন অনেকেই?
শামীম ওসমান : আমার বিশেষ কোনো জায়গা নেই। আমার ভালোবাসা গোটা নারায়ণগঞ্জবাসীর জন্য। প্রমাণ মিলেছে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে। ইউনিয়ন পরিষদে নৌকার প্রার্থী হতে যাচ্ছিল এক রাজাকার পুত্র। আমি নৌকা দেইনি।
আইভীর ব্যাপারে তো তা করিনি। আইভীর বিপক্ষে অবস্থান নিলে আমাকে চাপ দেয়ার মতো কোনো লোক নেই। কারণ আমি যা করি, সত্যের উপর দাঁড়িয়ে। তার ব্যাপারে আমার কোনো আপত্তি নেই।
জাগো নিউজ : কিন্তু প্রথমে তো আপনার আপত্তি ছিল?
শামীম ওসমান : নেত্রীর কাছে যাওয়ার পর আইভী যা বলেছে, তাতে আমার মন ভরে গেছে। আমরা সমর্থন দিয়েছি। সেখানে কী কথা হয়েছে, তা বলছি না।
জাগো নিউজ : বিএনপির কৌশল কিভাবে দেখছেন?
শামীম ওসমান : কৌশলগত অবস্থানে বিএনপি এগিয়ে বলে আমি মনে করি। আমাদের কৌশলের কিছু ভুল হয়েছে।
জাগো নিউজ : যেমন?
শামীম ওসমান : বিএনপি নেত্রী মেয়র এবং কাউন্সিলরদের জন্য ভোট চেয়েছেন। আমরা কিন্তু কাউন্সিলর ঠিক করতে পারিনি।
জাগো নিউজ : দায় তো আপনারও আছে?
শামীম ওসমান : আমাদের মূল প্রার্থী আইভী। তিনি চাননি।
জাগো নিউজ : বলা হচ্ছে আপনার প্রার্থী দাঁড়িয়েছে সব জায়গায়?
শামীম ওসমান : হ্যাঁ, সব জায়গাতেই আমার প্রার্থী। এক জায়গাতে তিন জন চার জন করে দাঁড়িয়েছে।
জাগো নিউজ : ঝামেলা তারাই করতে পারে বলে শঙ্কা?
শামীম ওসমান : সেটা কৌশলের ব্যাপার। আইভী সবাইকে নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছে। সব কাউন্সিলরদের পাশে রেখেছে। এটি কোনো নীতি হতে পারে না। তার তো এভাবে প্রচার করার দরকার ছিল না।
জাগো নিউজ : এমন ভ্রান্ত কৌশলে ফলাফল কী হতে পারে?
শামীম ওসমান : যে ব্যবধানে নৌকার বিজয় হওয়ার কথা, সেই ব্যবধানে হয়তো বিজয় হবে না। আমরা বিজয়ী হবো, তবে চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে। কারণ দলীয় কাউন্সিলররা প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ। তবু আমরা ম্যানেজ করে চলছি।
জাগো নিউজ : কতটুকু পারলেন ম্যানেজ করা?
শামীম ওসমান : শতকরা আশি ভাগ পারছি বলে মনে করি। শতভাগ করা সম্ভব হয়নি।
জাগো নিউজ : বাকি অংশ নিয়ে ভয় আছে কি-না?
শামীম ওসমান : না। আমি তা মনে করি না। তবে নৌকার জন্য জীবন দিয়ে কাজ করার যে চেষ্টা, সেখানে ঘাটতি থাকবে কাউন্সিলরদের। এটিই সত্য। যে কাউন্সিলর প্রার্থী তার এলাকায় সে অনেক গুরুত্বপূর্ণ, আমি না।
জাগা নিউজ : এই বিষয়গুলো আইভীর সঙ্গে আলোচনা হয়নি?
শামীম ওসমান : আমার সঙ্গে তার কোনো কথাই হয়নি।
জাগো নিউজ : কিন্তু আইভী তো মিডিয়াতে তৃতীয় শক্তি বলতে আপনাকে বুঝিয়েছেন, যা তার ক্ষতির কারণ হতে পারে?
শামীম ওসমান : এটি তার ব্যাখ্যা। আমি কোনো শক্তিতে বিশ্বাসী নই। আমি মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি। আরেকটি শক্তি মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের। এর বাইরে আর কোনো শক্তির কথা আমার কাছে গুরুত্ব পায় না। আমি বিষয়টিকে রাজনৈতিকভাবে দেখতে চাই। আমি নৌকার চাইতে নিজেকে বড় মনে করি না।
জাগো নিউজ : আগামীকালের নির্বাচন নিয়ে আপনার অভিপ্রায় কী?
শামীম ওসমান : অনেক নাটকের কথা শোনা যাচ্ছে। কোনো নাটক এখানে মঞ্চস্থ হতে দেবো না, যা দিয়ে দেশ অস্থিতিশীল হয়।
জাগো নিউজ : আইভী জিতলে আপনার রাজনীতিতে ভাটা পড়তে পারে বলে অনেকেই মত দিচ্ছেন।
শামীম ওসমান : আইভী তো মেয়র ছিল। আমি তো এমপি নির্বাচিত হয়েছি। সে তো আমার রাজনীতির কোনো অনুঘটক না।
জাগো নিউজ : নৌকার পরাজয় হলে দায় আপনার ওপর বর্তাবে কি-না?
শামীম ওসমান : নৌকা হারবে না। আর হারলে আমার উপর দায় আসবে কেন? হারার কারণ অনুসন্ধান করতে হবে।
আমি দলীয় নেতাকর্মীদের ক্ষোভ শুনছি। চেষ্টা করছি, তাদের সামলানোর জন্য। আমি বলছি, নির্বাচন করছ কার? নৌকার নাকি আইভীর? নৌকা এবং শেখ হাসিনার প্রতি বিশ্বাস থাকলে কাজ করবো। আর আইভীকে গুরুত্ব দিলে কাজ করতে পারবো না।
আইভী তো আমাকে নিয়েই সবচেয়ে বেশি কুৎসা রটিয়েছে। আমি তো হজম করছি। তোমরা করবা না কেন? তবে এও সত্য, আমার বয়স আর অভিজ্ঞতা তো সবার ক্ষেত্রে সমান নয়।
এএসএস/এএস/এসএইচএস/বিএ/আরআইপি