গেইল ছক্কা মারলেই এক হাজার
সাম্প্রতিক সময়ে ক্রিকেট-দুনিয়ার অন্যতম আলোচিত ক্রিকেটার ক্রিস গেইল। পুরো নাম ক্রিস্টোফার হেনরি গেইল। যার কাজই হলো ছক্কা মেরে মাঠ গরম করা। কিন্তু তার ছক্কায় শুধু মাঠই গরম নয়, রাজধানীর পাড়া-মহল্লাও গরম হচ্ছে। তার এক ছক্কায় কেউ পাচ্ছে হাজার টাকা। কেউবা হচ্ছে নিঃস্ব। এ জুয়ার আড্ডার নামে চলছে আনন্দ।
গত রোববার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) খেলায় রংপুর রাইডার্সের মুখোমুখি হয় চিটাগাং ভাইকিংস। অর্থাৎ দুই ক্রিকেট তারকা লড়াই, চিটাগাংয়ের হয়ে মাঠে নামেন ক্রিস গেইল আর রংপুর রাইডার্সের পক্ষে শহীদ আফ্রিদি।
রংপুর রাইডার্সের হয়ে সোহাগ গাজীর শেষ ওভার। শেষ দুই বলে টানা দুটি ছক্কা। পরে আফ্রিদির ওভার। প্রতিপক্ষ বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান গেইল। মুগদার সনির শোরুমের বাইরে দাঁড়িয়ে বিপিএল দেখছে ২৫ জনের মতো দর্শক। একজন বলে উঠলো এবার পচবে আফ্রিদি। উল্টো জবাব আরেকজনের, ‘আউট হবে গেইল’।
শুরু হলো তর্ক-বিতর্ক। তখনই আফজাল হোসেন নামের এক মুদির ব্যবসায়ী বলে উঠলেন, ‘ছয় মারলে এক হাজার। আসো হয়ে যাক বাজি।’ অলি হোসেন গাড়ি চালক বললেন, আউট হলে এক দিবা আর ছয় মারলে আমি দিবো।’ হয়ে গেলে বাজি। দানব গেইলের টানা দুই ছক্কা। ছয় বলে জোড়ে চিৎকার করে ভি-চিহ্ন দেখালো আফজাল হোসেন। জিতে গেলো দুই হাজার টাকা। কিন্তু তার পরের বলেই হতাশা। আউট হয়ে গেলো গেইল। অলির এখন মাথায় হাত। আগে যদি আউট হত টাকা আসতো তার কাছে।
আফজাল হোসেন বলেন, আমি সবসময় গেইলের ভক্ত। গেইল মাঠে নামলেই খেলার উত্তেজনা বাড়ে। মূলত সাকিব আল হাসানের ‘ঢাকা ডায়নামাইটস’র সাপোর্ট করি। কিন্তু গেইল মাঠে নামলেই ছয় আর ছয়। তার খেলা অসাধারণ। তাই গেইলের ভক্ত আমি।
হাজার টাকা জেতার বিষয়ে আফজাল বলেন, টাকা জিতলে ভালোই লাগে। এক হাজার টাকা জিতেছি এখন সবাই মিলে ৫০০ টাকা খাবো। আর এ খেলাকে জুয়া না বলে বাড়তি আনন্দ বলছেন তিনি।
বাজিতে হেরে যাওয়া অলি হোসেন বলেন, ‘আজকে হেরেছি কাল জিতবো। খেলা দেখার সময় পক্ষ-বিপক্ষ না থাকলে কি চলে।’ পাড়া-মহল্লায় দোকানগুলোতে এভাবেই চলছে জুয়ার আসর।
এসআই/এআর/জেএইচ/পিআর