ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিশেষ প্রতিবেদন

বেবিচকের আয় বাড়ছে

প্রকাশিত: ০৭:৪০ এএম, ০৬ নভেম্বর ২০১৬

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) রাজস্ব আয় বেড়েছে বেড়েছে ১০৯ কোটি ২৬ লাখ টাকা। যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ বেশি। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে সংস্থাটির আয় ছিল ১ হাজার ২২০ কোটি ৮০ লাখ টাকা। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে তা বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৩৩০ কোটি ৬ লাখ টাকা।

আগের বছরের তুলনায় রাজস্ব আয় বৃদ্ধি প্রসঙ্গে বেবিচকের সদস্য (অর্থ) মিজানুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, অতীতের যেকোন সময়ের তুলনায় আয় সন্তোষজনক, কাজের পরিধি বাড়ায় স্বাভাবিকভাবেই আয়ের ক্ষেত্রও বেড়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন খাত থেকে পাওনা আদায়ে কর্তৃপক্ষের কঠোর অবস্থানও রাজস্ব বৃদ্ধির আরো একটি কারণ।

বেবিচকের অর্থ বিভাগ থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে সংস্থার মোট রাজস্ব আয়ের বিপরীতে ব্যয় হয়েছে ৬৩২ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। এছাড়া সরকারকে লভ্যাংশ প্রদান বাবদ ব্যয় হয়েছে ১০৫ কোটি টাকা। ওই অর্থবছরে সব ব্যয়ের পর সংস্থাটির উদ্বৃত্তের পরিমাণ ৫৯২ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।

২০১৪-১৫ অর্থবছরে বেবিচকের মোট রাজস্ব আয়ের বিপরীতে রাজস্ব ব্যয় ছিল ৪৮১ কোটি ১৩ লাখ টাকা। এছাড়া সরকারকে লভ্যাংশ প্রদান বাবদ ব্যয় হয় ৫৫ কোটি টাকা। সব ব্যয়ের পর ওই অর্থবছর বেবিচকের উদ্বৃত্ত ছিল ৬৮৪ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।

জানা গেছে, ২০১২-১৩ অর্থবছরে বেবিচকের রাজস্ব আয় ছিল ৭৮৩ কোটি ২৪ লাখ টাকা, যা ২০১৩-১৪ অর্থবছরে বেড়ে হয় ১ হাজার ২৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে বেবিচকের মোট রাজস্ব আয়ের বিপরীতে রাজস্ব ব্যয় হয় ৪২৭ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। এছাড়া মূলধন ব্যয় ছিল ৪৬২ কোটি ৭৭ লাখ, সরকারকে লভ্যাংশ বাবদ দেয়া হয় ৫০ কোটি ও ঋণ পরিশোধে ব্যয় হয় ৪৩ কোটি ৬৯ লাখ টাকা।

এসব ব্যয়ের পর ২০১৩-১৪ অর্থবছর সংস্থাটির উদ্বৃত্ত ছিল ৫৯৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা, যা আগের অর্থবছরের উদ্বৃত্তের চেয়ে ১৫৩ কোটি ২৩ লাখ টাকা বেশি। ২০১২-১৩ অর্থবছরে বেবিচকের উদ্বৃত্তের পরিমাণ ছিল ৪৪৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।

উল্লেখ্য, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোয় কার্যক্রম পরিচালনা করা দেশি-বিদেশি এয়ারলাইনস থেকে পাওয়া ফ্লাইটের অ্যারোনটিক্যাল, উড়োজাহাজের ল্যান্ডিং ও পার্কিংসহ অন্যান্য চার্জ বেবিচকের রাজস্ব আয়ের অন্যতম উৎস।

সংস্থাটি দেশি-বিদেশি বিভিন্ন এয়ারলাইনসকে ফ্লাইট পরিচালনা করার জন্য অ্যারোনটিক্যাল ও নন-অ্যারোনটিক্যাল চার্জ প্রয়োগ করে থাকে। নন-অ্যারোনটিক্যাল চার্জের মধ্যে আছে— ল্যান্ডিং, পার্কিং, রুট নেভিগেশন, সিকিউরিটি ও বোর্ডিং ব্রিজ চার্জ।

পাশাপাশি বাংলাদেশের আকাশসীমা ব্যবহার করে চলাচলকারী ফ্লাইটগুলোর এয়ারনেভিগেশন ও ওভারফ্লাইং খাত থেকেও আয় করে থাকে বেবিচক। সংস্থাটি আয় করে বিমানবন্দরের বিভিন্ন অবকাঠামো ভাড়া দিয়েও। এ অর্থ দিয়েই বিমানবন্দর মেরামত, রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়ন কার্যক্রম চালানো হয়।

আরএম/এমএমজেড/আরআইপি