ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিশেষ প্রতিবেদন

দেশের স্বার্থে দীপন হত্যাকাণ্ডের বিচার চান রাজিয়া

প্রকাশিত: ০৬:০৩ পিএম, ৩০ অক্টোবর ২০১৬

‘যে চলে গেছে তাকে তো আর ফিরে পাবো না। তবে দেশের ও জাতির স্বার্থে এই হত্যা মামলার সঠিক বিচার চাই।’ জাগো নিউজের কাছে এভাবেই আবেগাপ্লুত হয়ে স্বামী হত্যার বিচার চাইলেন জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফয়সল আরেফিন দীপনের স্ত্রী রাজিয়া রহমান। ২০১৫ সালের এই দিনে (৩১ অক্টোবর) তাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের সদস্যরা।

সেদিন বিকেলে রাজধানীর আজিজ সুপার মার্কেটে জাগৃতি প্রকাশনীর অফিসে দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যার পর তার স্ত্রী রাজিয়া রহমান শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
 
দীপনের স্ত্রী জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা দীপনকে হারিয়ে অনেক কষ্টে জীবন কাটাচ্ছি। মা-বাবাও ভেঙে পড়েছেন। তার স্মৃতি নিয়ে আমরা বিভিন্ন কাজ পরিচালনা করছি। দীপনের মতো অন্য কাউকে যেন এভাবে চলে যেতে না হয়, দেশের স্বার্থে এই হত্যা মামলার সঠিক বিচার চাই।’
 
একই দিন একই সময়ে রাজধানীর লালমাটিয়ায় শুদ্ধস্বর প্রকাশনীর কার্যালয়ে আহমেদুর রশীদ টুটুলসহ তিনজনের ওপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। ঘটনার পর মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করেন টুটুল নিজেই। মামলা দুটি তদন্ত করছেন মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
Depon
দীপন হত্যা মামলার বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া ও পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ‘প্রকৃত’ সব আসামিকে শনাক্ত করা হয়েছে। দীপন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরা উভয়ই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। টুটুল হত্যার ঘটনায় দুজন জড়িত থাকার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ঘটনার আরেক আসামি শরীফুল চলতি বছরের জুনে পুলিশের সঙ্গে গুলিবিনিময়ে নিহত হন।
 
টুটুল হত্যাচেষ্টা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির ইন্সপেক্টর বাহাউদ্দিন ফারুকী জাগো নিউজকে বলেন, এ ঘটনায় সুমন হোসেন পাটোয়ারি ও আব্দুস সবুর নামে দুজন আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তারা কারাগারে আটক। মামলাটি খুব গুরুত্ব সহকারে তদন্ত চলছে। অপর আসামিদের শনাক্ত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

এদিকে দীপন হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত এবিটির সংগঠক সেলিম, ইকবাল, মামুন, হাদী-২ কে ধরতে দিই দফা পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে পুলিশ। পুরস্কার ঘোষণার ছয় মাস পরও সেলিম এখনো আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ধরাছোঁয়ার বাইরে।

দীপন হত্যাকাণ্ডের তদন্তের অগ্রগতি বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) ফজলুল হক জাগো নিউজকে বলেন, মামলায় গ্রেফতার মইনুল হাসান শামীম ও আব্দুস সবুর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তারা কারাগারে আটক । মামলাটি খুব গুরুত্ব সহকারে তদন্ত চলছে। বাকি আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনা হবে।

এআর/জেএ/এসএইচএস/ফারুক/এসআইএস

আরও পড়ুন