কারাগারে বন্দি ৬শ বিদেশির অর্ধেকই মিয়ানমারের
দেশের বিভিন্ন কারাগারে বিশ্বের ১৬টি দেশের প্রায় ৬শ’ বিদেশি নাগরিক জেলবন্দি রয়েছেন। তাদের মধ্যে কেউ হাজতি, কেউ সাজাপ্রাপ্ত আবার কেউবা মুক্তিপ্রাপ্ত হয়েও জেল খাটছেন। হাজতি, সাজাপ্রাপ্ত ও মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দিদের অর্ধেকেরও বেশী সংখ্যক মিয়ানমারের বাসিন্দা। দ্বিতীয় ও তৃতীয় সর্বোচ্চ বন্দি রয়েছে ভারত ও পাকিস্তানের।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, জেলবন্দি মোট বিদেশি নাগরিকদের মধ্যে ৮৯ জনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা খাটা শেষ হলেও তারা মুক্তি পাচ্ছেন না। মুক্তিপ্রাপ্ত হয়েও জেলবন্দি এমন সর্বোচ্চ ৬৯ জনই ভারতীয় নাগরিক। এছাড়া মিয়ানমার ১৬, পাকিস্তান ২ ও নেপালের ২ জন নাগরিক রয়েছেন।
কারা উপ মহাপরিদর্শক (সদর দফতর) এ কে এম ফজলুল হক গত সপ্তাহে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বিদেশি বন্দিদের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে অবহিত করেন। পাশাপাশি তিনি মুক্তিপ্রাপ্ত আসামিদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করার কথাও বলেন।
কারা অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি বিদেশি নাগরিকের মোট সংখ্যা মোট ৫৮২ জন। এদের মধ্যে ৪৪৫ জন হাজতি, ৪৮ জন দণ্ডপ্রাপ্ত ও মুক্তিপ্রাপ্ত ৮৯ জন রয়েছেন।
জানা গেছে, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন কারাগারে ভারত, মিয়ানমার, পাকিস্তান, পেরু, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, কঙ্গো, নাইজেরিয়া, স্পেন, জার্মানী, চীন, আলজেরিয়া, ক্যামেরুন, ইরান , তানজানিয়া ও নেপালের নাগরিক রয়েছেন। সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে ভারতের ২৮ জন, মিয়ানমারের ১২, পাকিস্তানের ৬ ও তানজানিয়ার ২ জন রয়েছেন।
কারা অধিদফতরের এআইজি প্রিজনস্ (প্রশাসন) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুনের কাছে মুক্তিপ্রাপ্ত হয়েও কেন ৮৯ জন জেলবন্দি রয়েছেন এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জেল কর্তৃপক্ষ আসামিকে কারও না কারও কাছে হস্তান্তর করবে এটাই নিয়ম। বিদেশি নাগরিককে সরাসরি ছেড়ে দেয়ার সুযোগ নেই।
অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে কিংবা অন্য কোন অপরাধে আইন প্রয়োগকারী সদস্যদের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। কারাগারে পাঠানোর পরই কারা কর্তৃপক্ষ বিদেশি নাগরিকের ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করে। সাজা শেষ হওয়ার পরও কারা কর্তৃপক্ষ চিঠি দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে তা অবহিত করে। যে সব দেশের নাগরিক সে সব দেশের যোগাযোগের ওপর বন্দি দ্রুত মুক্তির বিষয়টি নির্ভর করে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এমইউ/এআরএস/আরআইপি