ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিশেষ প্রতিবেদন

বয়রায় কাহিল ক্রেতা

প্রকাশিত: ০৩:৪৪ পিএম, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬

মেটে গায়ের রং। শান্তশিষ্ট বলে ওকে বয়রা বলেই ডাকে রাখালরা। মুখ ফিরেও চায় বয়রা বলে ডাকলেই। বয়রা এখন গাবতলীর হাঁটে। বয়রায় কাহিল ক্রেতা সাধারণ। পছন্দ হলেও দাম যে সাধ্যের বাইরে! দাম হাঁকানো হয়েছে ২০ লাখ।

বয়রা নামে নেপালি জাতের এ গরু কুষ্টিয়া এলাকা থেকে আনা হয়েছে গাবতলীতে। জন্মের পর থেকে বয়রা নামেই পরিচিতি পায় এ কোরবানির পশুটি।

বৃহস্পতিবার বিকেলে গিয়ে দেখা যায় কোরবানির উদ্দেশ্যে বিক্রি করতে আনা এ গরুর প্রতি ক্রেতা সাধারণ ও উৎসুক জনতার বিস্ময় নজর। কেউ গালে পিঠে চাপড় মেরেও দেখছেন। অনেকেই গরুটির পাশে দাঁড়িয়ে ছবিও তুলছেন। কিন্তু গরু কেনাতে কাহিল অবস্থা যেন ক্রেতা সাধারণের।

Boyra

ক্রেতারা বলছেন, এ গরুর দাম অনেক বেশি। আকর্ষণীয় হলেও সামর্থ্যের বাইরে। হাঁটের অধিকাংশ গরুর দামই বেশি।

মালিক হাজি দিদার হোসেন বলছিলেন, দাম হাঁকানো হয়েছে ২০ লাখ। যারা এখন আসছে সবাই দাম দেখতে আসছে, কিনতে আসেনি। ১০ লাখের উপরে না হলে বিক্রি করা সম্ভব না। লস করে তো বিক্রি করতে পারি না।

গরুর রাখাল মিজান বলেন, গরুর বয়স সাড়ে ৪ বছর। ছোটবেলা থেকে আমিই এর দেখাশুনা করে আসছিলাম। মালিকের নিজের গরুর ফার্ম। এবার ২৭টি গরুর নিয়ে এসেছি। এর মধ্যে এই বয়রার দামই সব চেয়ে বেশি। বাকি গুলো ৫/৭ লাখের মধ্যেই। কিন্তু বয়রার পেছনে খরচ বেশি।

নেপালি এ গরুর প্রতি মনে ধরেছিল আকবর হোসেন নামে এক ব্যবসায়ীর। তিনি বলেন, ‘কি করবো বলেন, সাড়ে ৮ লাখ পর্যন্ত বলেছি, দিলো না।’

জেইউ/এসএইচএস/পিআর