ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিশেষ প্রতিবেদন

ত্রাণের একটা টোকেন কি পাওয়া যাবে?

প্রকাশিত: ১২:৩৭ পিএম, ১৭ আগস্ট ২০১৬

ত্রাণের লম্বা লাইনের বাইরে বটগাছে ঠেস দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। সাদা চুল দাড়ি আর বয়সের ভারে ন্যূব্জ এই বৃদ্ধের নাম নিতাই চন্দ্র দত্ত। বয়স ৮৬। দেরি করে আসায় ত্রাণের টোকেন পাননি। তাই বার বার স্থানীয় চেয়ারম্যান ফরিদ হোসেন বাবুকে খুঁজছিলেন তিনি। যদি তাকে দিয়ে একটা টোকেন কপালে জোটে।     

এ চিত্র বুধবার বিকেল ৩টায় মানিকগঞ্জ ঘিওর উপজেলার বড়টিয়া ইউনিয়নের একটি ত্রাণকেন্দ্রের। প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের সহায়তায় জাগো নিউজের সৌজন্যে সকাল থেকে সেখানে ত্রাণ বিতরণ চলছিল। ভিড় সামলাতে ওয়ার্ডভিত্তিতে আগাম টোকেন দেয়া হয়। তবে খবর না পাওয়ায় নিতাই দত্ত টোকেন সংগ্রহ করতে পারেননি।

Nitai

এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে বৃদ্ধ নিতাই বলেন, এবারের বন্যায় পাঁচদিন ঘরের সামনে বন্যার পানি ছিল। খুব কষ্টে কেটেছে দিনগুলো। দুই ছেলে এক মেয়ের জনক এই বৃদ্ধ জানান, এক সময় দুই ছেলে ও তিনি নিজে রোজগার করতেন। বড় ছেলে বছরৎখানেক আগে ছোট ছোট দুই সন্তান রেখে মারা যায়। নিজেও বয়সের ভারে ন্যূব্জ হওয়ায় রোজগার করতে পারেন না। ত্রাণ বিতরণের কথা শুনলেও আসবেন কি আসবেন না সেই কথা ভাবতেই দেরি হয়ে যায়। সে লজ্জাবনত হয়ে এ প্রতিবেদকের কাছে জানতে চাইলেন একটা টোকেন কি পাওয়া যাবে।

কথা প্রসঙ্গে নিতাই দত্ত জানালেন, এক সময় এ অঞ্চল জমিদারদের এলাকা হিসেবে পরিচিত ছিলো। জমিদাররা এলাকা ছেড়েছে বহু আগে। এখন এ এলাকা অবহেলিত। তার কথায় সায় মেলালেন চেয়ারম্যান বাবু।

Nitai

তিনি বলেন, ইউনিয়নের ২২ গ্রামে ১৬ হাজার বাসিন্দা থাকলেও এলাকাটি ভীষণ অবহেলিত। বন্যা ও নদী ভাঙনের শিকার মানুষগুলোর বেশির ভাগই দুঃখী। প্রাণ-আরএফএলের সহায়তায় জাগো নিউজের এ উদ্যোগ ভীষণ প্রশংসনীয় বলে তিনি  মন্তব্য করেন।

উল্লেখ্য, বুধবার জাগো নিউজের সৌজন্যে এ এলাকার দুই হাজার মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়।   

এমইউ/এএইচ/পিআর

আরও পড়ুন