ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিশেষ প্রতিবেদন

দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ ওষুধ কারখানা হচ্ছে গোপালগঞ্জে

প্রকাশিত: ০৭:২৫ এএম, ২৯ জুলাই ২০১৬

বঙ্গবন্ধুর জন্মস্থান গোপালগঞ্জের ঘোনাপাড়ায় স্থাপিত হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ ওষুধ উৎপাদনকারী শিল্প প্রতিষ্ঠান।

দেশের একমাত্র সরকারি ওষুধ উৎপাদনকারী এসেনসিয়াল ড্রাগ কোম্পানি লিমিটেডের (ইডিসিএল) উদ্যোগে ১০ একর জমির ওপর ৬শ কোটি টাকা ব্যয়ে বৃহৎ এ শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপনের প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যক্রম দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। এটি পুরোদমে চালু হলে প্রায় ৮শ লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

ইডিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) অধ্যাপক ডা. এহসানুল কবির জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপকালে জানান, ইতোমধ্যেই প্রকল্পের শতকরা ৭০ ভাগ ভৌত অবকাঠামোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ২০১৭ সালের নভেম্বর অথবা ডিসেম্বর মাস নাগাদ ওষুধ শিল্প প্রতিষ্ঠানটির উদ্বোধন সম্ভব হবে বলে তিনি দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।


EDCL

ইডিসিএল (শেষ পর্ব)

তিনি আরো জানান, গুণগত মানসম্পন্ন ওষুধ উৎপাদনের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নির্দেশিত সিজিএমপি (কারেন্ট গুড ম্যানুফ্যাকচারিং প্রাকটিস) অনুসরণ করে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ এ ওষুধ শিল্প প্রতিষ্ঠানটি স্থাপন করা হচ্ছে। ভৌত অবকাঠামো নির্মাণের পর আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে গুণগত মানসম্পন্ন ওষুধ উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ক্রয় ও স্থাপন করা হবে।

এ শিল্প প্রতিষ্ঠানে কী ধরনের ওষুধ উৎপাদন হবে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সিজিএমপি অনুসরণ করে এ প্রতিষ্ঠানে জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী (পিল ও ইনজেকশন), বিভিন্ন ধরনের ইনট্রাভেনাস (আইভি) ফ্লুইড ও  পেনিসিলিন অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদিত হবে।

প্রথম বছরেই ১৫০ কোটি টাকার জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী, ৪০ কোটি টাকার আইভি ফ্লুইড ও ৫০ কোটি টাকার পেনিসিলিন উৎপাদন করা হবে। পর্যায়ক্রমে উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। ফলে বর্তমানে এ ধরনের ওষুধ আমদানিতে যে পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা খরচ হতো তার অনেকটাই সাশ্রয় হবে।

EDCL

ইডিসিএল এমডি আরো জানান, সরকারিভাবে বর্তমানে গোপালগঞ্জের পাশাপাশি বগুড়াতেও ‘সেফালোস্পোরিন’ অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ ইনজেকশন তৈরির লক্ষ্যে একটি পৃথক কারখানা স্থাপনের কার্যক্রম চলছে। এটি সরকারি একটি আন্তর্জাতিক মানের অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ উৎপাদন প্রতিষ্ঠান হবে। প্রতিষ্ঠানটিতে ২ শতাধিক লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

উল্লেখ্য, ১৯৬২ সালে প্রথম যাত্রা শুরু করে ইডিসিল। তখন এটি কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে জিপিএল (গর্ভমেন্ট ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড) নামে পরিচিত ছিল। পরবর্তীতে ১৯৭৯ সালে ফার্মাসিউটিক্যালস প্রোডাকশন ইউনিট (পিপিইউ) নামকরণ হয়।

১৯৮৩ সালে দেশীয় ওষুধের চাহিদা মেটাতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ইডিসিএল নামে যাত্রা শুরু হয়। ১৯৯৪ সালের কোম্পানি অ্যাক্ট অনুসারে ইডিসিএলকে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে রুপান্তর করা হয়।

এমইউ/এমএমজেড/পিআর

আরও পড়ুন