১৮০ বছরের ইতিহাসের সমাপ্তি ২৮ জুলাই
‘২৮ জুলাই হবে তাদের কারো কারো শেষ রাত্রিযাপন। সেদিন দিবাগত রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হবে বন্দি স্থানান্তর প্রক্রিয়া। ঢাকার বাইরে থেকে দুই ডজনেরও বেশি অতিরিক্ত প্রিজনভ্যান নিয়ে আসা হবে। পর্যায়ক্রমে দুদিনে ছয় সহস্রাধিক কয়েদি ও হাজতিকে কেরানীগঞ্জের নতুন কারাগারে স্থানান্তর প্রক্রিয়া শেষ হবে।’
ঠিক এভাবেই ১৮০ বছরের পুরনো ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার স্থানান্তর প্রক্রিয়া ও সামগ্রিক প্রস্তুতি সম্পর্কে বর্ণনা দিলেন কারা অধিদফতরের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা।
জানা গেছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে আগামী ২৯ ও ৩০ জুলাই ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে সব বন্দিকে কেরানীগঞ্জের নতুন কারাগারে স্থানান্তর করা হবে। ফলে ২৮ জুলাই হবে কোনো কোনো বন্দির শেষ রাত্রিযাপন।
নতুন কারাগারে বন্দি স্থানান্তরের জোর প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। গত ১০ দিনেরও বেশি সময় ধরে পুরনো ফাইল ও আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রাকে নতুন কারাগারে পাঠানো হচ্ছে বলে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া গেছে।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কয়েদি ও হাজতিসহ ছয় সহস্রাধিক বন্দি রয়েছেন। তন্মধ্যে দুই ডজনেরও বেশি শীর্ষ সন্ত্রাসী, জঙ্গি, যুদ্ধাপরাধী, হত্যা, ডাকাতি মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিও রয়েছেন।
কীভাবে এত বিপুলসংখ্যক বন্দিকে নিরাপদে নাজিমউদ্দিন রোড থেকে কেরানীগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হবে এ নিয়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহের কমতি নেই।
কারা সূত্রে জানা গেছে, ২৯ জুলাই ভোরের আলো অর্থাৎ সূর্যোদয়ের আগে থেকেই পূর্বপরিকল্পনা অনুসারে নির্দিষ্ট সংখ্যক কয়েদি ও হাজতি গণনা শেষে ধাপে ধাপে প্রিজনভ্যানে তোলা হবে। জেলগেট থেকে বন্দি নিয়ে যাওয়ার প্রধান নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে পুলিশ প্রশাসন।
যেসব রাস্তা দিয়ে প্রিজনভ্যান যাবে সেসব রাস্তায় তাদের সহায়তা করবে র্যাব ও বিজিবি। তবে কোন দিন কোন বন্দিকে নতুন কারাগারে নেয়া হবে, তা কেউ নিশ্চিত করে জানাতে পারেননি।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কেরানীগঞ্জের নতুন কারাগারে স্থানান্তরের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে কারা অধিদফতরের সহকারী মহাকারা পরিদর্শক (প্রশাসন) জাগো নিউজকে বলেন, সুষ্ঠুভাবে নির্বিঘ্নে বন্দিদের নতুন কারাগারে স্থানান্তরের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে।
এমএইউ/বিএ/এমএস