জমে উঠেছে ইসলামপুরের কাপড়ের বাজার
ঈদকে সামনে রেখে সারাদেশের পাইকারি ব্যবসায়ীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে কাপড়ের অন্যতম পাইকারি বাজার ঢাকার ইসলামপুর।
তৈরি পোশাকের পাইকারি বাজার হিসেবে খ্যাত রাজধানীর পুরান ঢাকার ইসলামপুর। ঈদের আগেই জমে উঠে দেশের সর্ববৃহৎ এই পাইকারি বাজার। আর তাই বেচাকেনার চাপে দম ফেলার সময় পাচ্ছেন না এখানকার হাজারো বস্ত্র ব্যবসায়ী।
রমজানের তৃতীয় দিন বৃহস্পতিবার শাপলা বস্ত্রবিতান, সূর্যমুখী বস্ত্রালয়, বিসমিল্লাহ ক্লথ, হাই চয়েজ, হোল সেল বিডি, লাভলি শাড়ি বিতান শো রুমসহ বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা যায়, সালোয়ার-কামিজ, শাড়ি, কাপড় থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের থান ও গজ কাপড় পাইকারি দরে কিনছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা দোকানিরা। আর এখানকার বিক্রেতারাও বছরের সবচেয়ে বেশি ব্যস্ত সময় পার করছেন এখন।
বিভিন্ন রকমের থ্রি পিচ, শাড়ি, পাইকারদের দেখানো, কাপড়ের গজ মাপা, খাতায় পরিমাণ তোলা, টাকা গোনা, মালবোঝাই করে কাভার্ডভ্যান, রিকশা, ভ্যান ভর্তি মালামাল, ঠেলাগাড়ি করে কুরিয়ার বা পার্সেলের সেন্টারে যাওয়া, রাজধানীসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছানোর জন্য বুকিং করার দৃশ্য এখন এখানে নিত্য দিনের ঘটনা। যা বছরের অন্য সময় এত বেশি দেখা যায় না।
ইসলামপুরে পাইকারি বিক্রয়কেন্দ্র হোল সেল বিডির চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার সানাউল্লাহ বলেন, সারাদেশ থেকে পাইকাররা আসা শুরু করেছেন আরো আগেই। এবার ব্যবসা মোটামুটি ভালোই হচ্ছে। ঈদকে সামনে রেখে শবে বরাতের পর থেকে মূলত ইসলামপুরে বেচাকেনা শুরু হয়। এটা চলবে আগামী ১০ থেকে ১২ রমজান পর্যন্ত।
অনলাইন ভিত্তিক রঙ্গিলা শপের জন্য শাড়ি-থ্রিপিচ পাইকারি কিনতে ইসরাত জাহান সুমি তার বোন শারমিন আক্তারকে সঙ্গে নিয়ে ইসলামপুর এসেছেন। তারা জানান, ঈদকে সামনে রেখেই মোকাম করতে আসা। অন্য সময়ের তুলনায় এখন এখানে বেচাকেনায় অনেক ভিড়।
সুমি অভিযোগ করে বলেন, কিছুদিন আগেই যে ড্রেসগুলো কিনে নিয়ে গেছি এখন সেই একই ড্রেস ৩০০-৪০০ টাকা বেশি দিয়ে কিনতে হচ্ছে। ঈদকে সামনে রেখে এখানকার দোকানিরা দাম কিছুটা বাড়িয়ে দিয়েছে।
তবে এখানকার ব্যবসায়ীরা বলছেন, রাজধানীর অন্যন্য বিপণি বিতানগুলোর তুলনায় এখানকার পণ্যের দাম কম। আর এ জন্যই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পাইকারি ও খুচরা ক্রেতায় জমজমাট থাকে ইসলামপুর বাজার।
এএস/এসকেডি/একে/পিআর