অর্ডার দিলেই পৌঁছে যাবে ‘হাড়িভাঙা’ আম
অর্ডার দিলেই আপনার ঠিকানায় ‘হাড়িভাঙা’ আম পৌঁছে যাবে। এজন্য আপনাকেই সব ব্যবস্থা করতে হবে। অগ্রিম টাকা এবং পরিবহন খরচও প্রদান করতে হবে। এক্ষেত্রে লেনদেন হতে পারে ব্যাংক অথবা বিকাশের মাধ্যমে। তবে এখানে অনলাইনের কোনো ছোঁয়া নেই। সরাসরি ফোনে নিশ্চিত করতে হবে। তবেই আপনার ঠিকানায় পৌঁছে যাবে রসালো এ আম। তাও আবার সম্পূর্ণ কেমিক্যালমুক্ত ও গ্যারান্টিযুক্ত।
বুধবার জাগো নিউজের ফোন সাক্ষাৎকারে যুক্ত হয়ে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার দয়ার দান খ্যাত ‘হাড়িভাঙা’ আমের জনক সালাম সরকার এসব তথ্য দেন।
তিনি জানান, ২৪ জুন থেকে পরিপক্ক আমটি গাছ থেকে নামানো হবে। এরপর শুরু হবে বাজার জাত। চলবে আগস্টের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত। কেউ যদি এই আম নিতে চান তাহলে ফোনে আমাকে নিশ্চিত করতে হবে। কমপক্ষে ১০ মণ আম নিলেই পাঠানো সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।
সালাম সরকার বলেন, গত একমাস ধরে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বাজারে বেশি দামে ‘হাড়িভাঙা’ আম ছেড়েছে। তবে এগুলো অপরিপক্ক এবং কার্বাইড দিয়ে পাকানো। এই আমগুলোর বেশির ভাগই ফরমালিন মিশ্রিত। এই আম পাকার মূল মৌসুম হলো জুনের ২০ তারিখের পর।
তিনি বলেন, এবার ১২ একর জমিতে আমের আবাদ (চাষ) হয়েছে। আশা করছি দেড় হাজার মণ আম পাবো গাছ থেকে। আমার আম শতভাগ কেমিক্যাল মুক্ত।
আমটির জনক জানালেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ যদি আমের রাজধানী হয়ে থাকে। তাহলে ‘হাড়িভাঙা’ আমের রাজধানীও রংপুরের মিঠাপুকুর। এখন যে হারে আম চাষ শুরু হয়েছে এ এলাকায়, আশা করছি আগামী ৫ বছরের মধ্যে আমরা শুধু ‘হাড়িভাঙ্গা’ আম দিয়েই চাঁপাইনবাবগঞ্জকে ছাড়িয়ে যাবো। সেই সঙ্গে বিদেশেও এর অবস্থান মজবুত করবো।
প্রথম দিকে প্রতিমণ আম দেড় হাজার টাকায় বিক্রি হলেও শেষমেষ এর দাম পৌঁছায় ১০ হাজার থেকে ১২ হাজারে।
সালাম সরকার জানালেন, ‘হাড়িভাঙা’ আম নিয়ে অনেক প্রচার হয়ে গণমাধ্যমগুলোতে। এজন্য সাংবাদিকদের ধন্যবাদ। কারণ তাদের কারণেই আজ হাড়িভাঙা দেশব্যাপী খ্যাতি পেয়েছে। এজন্য বেশ কিছু পুরস্কারও পেয়েছি আমি।
তিনি বলেন, কেউ যদি এই আম নেয়ার জন্য রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় আসতে চায় তাহলে, মিঠাপুকুর শহরে থেকে ৩ কিলোমিটার পশ্চিমে জায়গীর হাটে আসতে হবে। সেখান থেকে ৭ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে আখিরার হাট আসলেই পেয়ে যাবেন আমাকে।
এমএএস/এসএইচএস/এমএস