ভিডিও EN
  1. Home/
  2. সোশ্যাল মিডিয়া

কোটা আন্দোলন জামায়াত-শিবিরই করেছে: খোকন

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০১:২০ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কোটা আন্দোলন জামায়াতে ইসলামী ও তাদের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরই করেছে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক উপ প্রেসসচিব আশরাফুল আলম খোকন।

রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) নিজের ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে এই মন্তব্য করেন খোকন।

আশরাফুল আলম খোকন লেখেন, ‘কোটা আন্দোলন জামাত শিবিরই করেছে, অন্য কেউ করেনি। আবারো বলছি জামাত শিবিরই করেছে, অন্যরা শুধু ব্যবহৃত হয়েছে। তারা পরিচয় গোপন করে কৌশলী ছিলো, ব্যবহৃত ব্যক্তিরা গিয়েছে হুজুগে। এবং অরাজনৈতিক আন্দোলন ভেবে জনগন প্রতারিত হয়েছে।’

‘আমাদের প্রতি তাদের অনেক ক্ষোভ জমা ছিল, তাই আর বাছ বিচার করেনি’ উল্লেখ করে খোকন লেখেন, ‘আওয়ামী লীগ দেশের উন্নতির জন্য সব করেছে, চরম শত্রুও স্বীকার করে। কিন্তু মানুষকে অবজ্ঞা করেছি, অবহেলা করেছি। আর, আমাদের পতন ঘটাতে, এই ক্ষোভকে জামাত ব্যবহার করেছে।’

‘আমরা বার বার বলেছি, এটা রাজনৈতিক আন্দোলন, নেতৃত্বে জামাত শিবির, এরা সাধারণ শিক্ষার্থী না। জনগণ বিশ্বাস করেনি। কারণ, আমরা বিশ্বাস যোগ্যতা হারিয়েছি, কথায় কথায় ভিন্নমতের মানুষকে জামাত শিবির ট্যাগ দিয়ে। যখন সত্যিই এসেছে, তখন বিশ্বাস করেনি। ভিন্নমত মানেই যে জামাত শিবির না, তা অনেক রথী মহারথীকেও বুঝাতে পারতাম না।’

জামায়াতে ইসলামী জনগণের পালস বুঝেই কৌশলী হয়েছে উল্লেখ করে খোকন লেখেন, ‘জাতীয় পতাকা মাথায় বেঁধেছে, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ বাজিয়েছে, জাতীয় সংগীত গেয়ে হাউমাউ করে কেঁদেছে। আবার, সফল হয়েই প্রথমে বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল ভেঙেছে, জাতীয় সংগীতের বিরুদ্ধে লেগেছে। যাকে বলে মোনাফেকি।’

সবশেষে শেখ হাসিনার সাবেক উপ প্রেসসচিব লেখেন, ‘ওরা যখন কৌশলে সারাদেশে সংগঠিত হয়েছে, আমরা তখন ক্ষমতার মোহ-দম্ভ-অহংকার আর ক্ষমতা উপভোগে মত্ত ছিলাম। দোষ আমাদেরই, প্রতিপক্ষ সুযোগের ব্যবহার করেছে।’

কোটা আন্দোলন জামায়াত-শিবিরই করেছে: খোকন

কোটা সংস্কারকে কেন্দ্র করে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান। এরপর নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শপথ গ্রহণ করে।

এরই মধ্যে বিভিন্ন দল ও সংগঠন এই আন্দোলনে তাদের ভূমিকার কথা প্রকাশ করেন। সর্বশেষ শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর)দুপুরে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান। সেখানে ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রতিনিধি হিসেবে সাদিক কায়েমকে দেখা যায়। তিনি সেখানে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ না করে এর ব্যাপক সংস্কারের দাবি জানান।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সাদিক কায়েম নিজেকে ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি বলে পরিচয় দেন। পরে ছাত্র রাজনীতি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্টও দেন তিনি। এই ঘোষণার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এক যুগেরও বেশি সময় পর সরব উপস্থিতি জানান দিলো ইসলামী ছাত্রশিবির।

এরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন স্থানে সাদিককে নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। সেই প্রেক্ষিতে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন আশরাফুল আলম খোকন।

এমএমএআর/জেআইএম