ভিডিও EN
  1. Home/
  2. সোশ্যাল মিডিয়া

‘অবিলম্বে তরুণ চিকিৎসকদের ওপর অত্যাচার বন্ধ করা হোক’

জাগো নিউজ ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৪:৫৮ পিএম, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২

আব্দুন নূর তুষার

কিছুদিন আগে আমি চিকিৎসকদের মানসিক পীড়নের বিষয়ে গবেষণার জন্য একটি কমিটি নিয়ে লিখেছিলাম। এবার একটা উদাহরণ দেই।

যারা সরকারি চাকরি পেয়েছে ও তাদের চাকরির দু-বছর হয়ে গেছে, এমন ডাক্তাররা নিয়ম অনুযায়ী এখন উচ্চশিক্ষার জন্য পরীক্ষা দিতে পারে ও পড়াশোনার জন্য প্রেষণ চাইতে পারে।

৩৯তম বিসিএসে যারা চাকরি পেয়েছে তাদের দু-বছর হয়ে গেছে। কিন্তু এদের অনেককেই কোভিডকালে তাদের যেখানে পদায়ন করা হয়েছিল, সেখানে না রেখে ডিজি অফিসের সিদ্ধান্তে বিভিন্ন কোভিড হাসপাতালে অ্যাটাচ করে দেওয়া হয়েছিল। যদিও তাদের বেতন হয়েছে উপজেলার পদের বিপরীতে।

এটা তো তাদের ইচ্ছায় হয়নি বরং তাদের ঝুঁকি নিয়ে কোভিড হাসপাতালে কাজ করানো হয়েছে।

এখন তাদের অনেকেই মেধাবী বলে বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছে। কিন্তু শুরু হয়েছে নির্যাতন।

তাদের বলা হচ্ছে তারা দু-বছর মাঠে কাজ করেনি। কারণ তারা মাঝখানে কোভিড হাসপাতালে ছিল। তাই তারা উচ্চশিক্ষায় যাওয়ার অনুমতি পাবে না।

কত বড় অমানুষ এই বড় কর্তারা! আর কত অমানবিক! যে ছেলেটি মেধাবী বলে উচ্চশিক্ষায় সুযোগ পেল, তাকে সেখানে যেতে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না এমন এক অজুহাতে যার জন্য সে দায়ী নয়।

কোভিড হাসপাতালে তাদের পাঠানো হলো জবরদস্তি। তারা ঝুঁঁকিতে থাকলো অন্যদের চেয়ে বেশি। কোথায় তাদের এজন্য অগ্রাধিকার দেওয়া হবে, উল্টো তাদের জরিমানা করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে তাদের উচ্চশিক্ষা করতে যেতে দেওয়া হবে না কারণ তারা মাঠে ছিল না।

কোভিডের সময় তারা তো তাদের উপজেলা থেকে ডিউটিতে অ্যাটাচ হয়েছে হাসপাতালে। এটা তো তাদের দোষ না। তাদের স্বেচ্ছায় নেওয়া কোনো প্রিভিলেজও না।

এসব চলবে আর ডেট এক্সপায়ার্ড লোকজন গবেষণা করবেন তরুণ চিকিৎসকদের পীড়ন কেন হয়। অবিলম্বে এসব অত্যাচার বন্ধ করা হোক।

এই ডিজি অফিস তরুণ চিকিৎসকদের নিপীড়ন করার এক টর্চার চেম্বার। এটা একটা স্যাডিস্টদের আখড়া। এই নিয়ম করে মেধাবীদের উচ্চশিক্ষায় যেতে না দেওয়া দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা মেয়াদোত্তীর্ণ বৃদ্ধদের হাতে রেখে দেওয়ার এক অপচেষ্টা মাত্র।

ঠিক একইভাবে আমাকেও নিপীড়ন করেছিল এই অফিস নবীন বয়সে। যার প্রতিকার আমি পাইনি।

(ডা. আব্দুন নূর তুষারের ফেসবুক স্ট্যাটাস)

এমএইচআর/জিকেএস