সোশ্যাল মিডিয়ায় শিক্ষকদের স্মরণ
আজ ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবস’। প্রতি বছর ৫ অক্টোবর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি পালিত হয়। দিবসটিকে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রিয় শিক্ষকদের স্মরণ করেছেন অনেকেই। কেউ কেউ শিক্ষকদের শুভেচ্ছা জানিয়ে স্টাটাস দিয়েছেন। কেউ আবার শিক্ষকদের অধিকার নিয়ে দাবিও তুলেছেন।
শিক্ষক ও লেখক রকিবুল হাসান লিখেছেন, ‘কোনো কোনো শিক্ষক জীবনে আশীর্বাদ। কোনো কোনো শিক্ষক জীবনে অভিশাপ। শিক্ষকতা সত্যিকারের আলোতে ভরে উঠুক। সকল শিক্ষকের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।’
শিক্ষক শামিমা নাসরিন লিখেছেন, ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবস। শুভেচ্ছা জানাই শিক্ষকদের। যাদের থেকে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা লাভ করেছি। তাদের সাথে সেইসব মানুষকেও শিক্ষক দিবসের শুভেচ্ছা জানাই, যারা আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরেও শিক্ষা দিয়েছেন। শিক্ষকগণই একমাত্র ব্যক্তি, যারা অন্যের সন্তানের সাফল্য দেখে নিজে গর্ববোধ করেন। সকল শিক্ষককে শিক্ষক দিবসের শুভেচ্ছা এবং ভালোবাসা।’
সাংবাদিক জাহিদ হাসান লিখেছেন, ‘সেই ছোটবেলার মক্তবের শিক্ষক, প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে যত শিক্ষক পড়িয়েছেন। শাসন করেছেন, যত্ন নিয়েছেন, ভালোবেসেছেন সব শিক্ষাগুরু, মহান শিক্ষকদের কাছে আমৃত্যু কৃতজ্ঞ। শিক্ষকদের দোয়া, সহযোগিতা ও পরামর্শ ছাড়া এ জীবনে কিছুই করা সম্ভব হতো না। এটাই আমার বিশ্বাস ও নীতি। আজ শিক্ষক দিবসে সকল শিক্ষকের প্রতি নত মস্তিষ্কে শ্রদ্ধা। সকল বিতর্ক, সংকট, প্রতিবন্ধকতা কিংবা যত অপবাদই দেওয়া হোক। সব তর্কের ঊর্ধ্বে সমাজে এখনো আলোকবর্তিকা হচ্ছেন শিক্ষকগণ। শিক্ষকরাই হচ্ছেন প্রকৃত সমাজ ও রাষ্ট্র সংস্কারক। প্রিয় সব গুরুজনেরা বেঁচে থাকুক সম্মান ও শ্রদ্ধায়।’
বিসিএস শিক্ষাক্যাডার রবিউল আলম লুইপা লিখেছেন, ‘শিক্ষা ক্যাডারকে লাস্ট চয়েস বানিয়ে, মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষককে সেকেন্ড ক্লাস বা থার্ড ক্লাস ব্লক পোস্ট বানিয়ে যারা শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে মজা নিচ্ছেন, শিক্ষকদের উচিত শিক্ষা দিচ্ছেন, তাদের শিক্ষক দিবসের শুভেচ্ছা। এখন পর্যন্ত শিক্ষক দিবস প্রকৃত শিক্ষকদের জন্য নয়।’
কবি ও ঔপন্যাসিক শফিক রিয়ান লিখেছেন, ‘আজ বিশ্ব শিক্ষক দিবস। পৃথিবীর সব শিক্ষককে জানাই শিক্ষক দিবসের শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা। ‘কতটুকু হেঁটে গেলে রোজ,/ ভানু তার তেজ দেয় ঢেলে?/ সাফল্য ধরা দেয় কবে,/ কতটুকু ভালোবাসা পেলে?’ শিক্ষাজীবনে সেরা শিক্ষকদের সাহচর্যের কথা বলতে গেলে আমিই বোধহয় সবচেয়ে ভাগ্যবান। চলার পথে পেয়েছি পথ চলার দিকনির্দেশনা, ভুলের বিপরীতে পেয়েছি শুদ্ধতার নির্দেশ, বেঠিকের বিপরীতে পেয়েছি নিখুঁতের পরামর্শ। এরাই আমার শিক্ষাগুরু, আমার চলার পথের পাথেয়। এই মানুষগুলোর প্রতি আজন্ম শ্রদ্ধা নিবেদন করে গেলেও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা সম্ভব হবে না। চলার পথে তারাই ছিলেন অনুকরণীয় আদর্শ। ব্যর্থতার জঞ্জালে ভরা এই জীবনে সফলতা দেখা দিয়েছে কদাচিত। কিন্তু তবুও কোনো সাফল্যই আমাকে খুব একটা প্রফুল্লতা দিতে পারেনি। সফল হয়েছি, খুশি হয়েছি, চুপচাপ থেকেছি। এই ছিল আমার সাফল্যের চক্র। কিন্তু এই যে স্যারদের মতো মানুষদের দুয়েক লাইনের এমন উৎসাহ বাণী আমাকে অভিভূত করেছে, আনন্দিত করেছে, তৃপ্ত করেছে। স্যার, আপনাদের প্রতি শ্রদ্ধা রইলো। ভালোবাসা জানবেন। আশীর্বাদপ্রার্থী।’
এসইউ/এএসএম