কলকাতার ঘটনায় প্রতিবাদে উত্তাল নেটদুনিয়া
এই মুহূর্তে কলকাতার দিকেই যেন মানুষের দৃষ্টি। সেখানকার একটি প্রথম সারির মেডিকেল কলেজে কতর্ব্যরত অবস্থায় একজন শিক্ষানবিশ তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে গোটা ভারত। উত্তাল এখন সোশ্যাল মিডিয়া।
৩১ বছর বয়সী ওই তরুণীর দেহের ময়নাতদন্তে চরম যৌন লাঞ্ছনার প্রমাণ মিলেছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ গোটা ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। এমন অভিযোগ ওঠার পর সমাজের সর্বস্তরের মানুষ ফুঁসে উঠেছে। তার ছাপ পড়েছে নেটদুনিয়ায়ও।
আন্দোলনের প্রত্যক্ষদর্শী বরুণ দাস লিখেছেন, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস। আর জি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদে রাতের রাস্তা দখলের লড়াইয়ে এই আন্দোলন বহরমপুর টেক্সটাইল মোড়ে জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। প্রথমে রানী বাগানে একটা মিছিলের পেছন পেছন হাঁটা। তারপর সমবায়িকা থেকে ডানদিকে ঘুরে টেক্সটাইল মোড়। নতুন নামকরণ ‘চৌতারা’। টেক্সটাইল মোড় থেকে পুরাতন কোর্ট ওদিকে কত দূর গেছে আন্দাজ করা মুশকিল। পুরো রাস্তা মহিলা, তরুণী, অনেকেরই দখলে।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘স্কয়ার ফিল্ডের একটা অংশ মর্নিং ওয়াকার শেডের পিছন দিক সেখানেও জনসমুদ্র। মিছিল আসছে আর আসছে। পুরুষরা জায়গা ছেড়ে দিচ্ছে মহিলাদের, তারা সামনে যাবে। পিছাতে পিছাতে ঋত্বিক সদন পর্যন্ত পিছিয়ে গেলাম। আরও আসছে। শেষ পর্যন্ত কতদূর যায় রাত্রের এই জনসমুদ্র। প্রচুর পুলিশ, মহিলা পুলিশ, জলপাই জার্সি গায়ে লাঠি হাতে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে প্রচুর পুলিশ রয়েছে। জানি না তারা নিরাপত্তার জন্য না অন্য উদ্দেশ্য। এক বড় আন্দোলনের সাক্ষী থাকলাম।’
দেবাশীষ সরকার লিখেছেন, ‘সরকারি প্রাঙ্গন যখন সুরিক্ষত নয় আর কোথায় পাবে সুরক্ষা! শুধুমাত্র লজ্জাজনক নয়, অনেক বড় গাফিলতি আছে বেসিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার। প্রতিবাদ আরও তীব্র হোক, সরকারকে সঠিক পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করা ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া না পর্যন্ত।’
হাসান মাহমুদ লিখেছেন, ‘কলকাতার একটি প্রথম সারির মেডিকেল কলেজে কতর্ব্যরত অবস্থায় একজন তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে গোটা ভারত। ৩১ বছর বয়সী ওই তরুণীর দেহের ময়নাতদন্তে চরম যৌন লাঞ্ছনার প্রমাণ মিলেছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ গোটা ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল, এই অভিযোগ ওঠার পর সমাজের সর্বস্তরের মানুষ কার্যত ফুঁসে উঠেছে। নিহত তরুণী ছিলেন কলকাতার আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একজন চিকিৎসক। কলকাতার কাছে শহরতলি সোদপুর এলাকার একটি অতি সাধারণ নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে ছিলেন তিনি।’
সুদেষ্ণ চক্রবর্তী দাস লিখেছেন, ‘কিছু বলার মতো ভাষা নেই। আদৌ কি মেয়েদের কোনো নিরাপত্তা আছে? আবার ঘটা করে কিছু দিন পর ইন্ডেপেন্ডেন্স ডে পালন হবে।’
এসইউ/জেআইএম