কাল সারারাত ছিল গুজবের রাত
বাংলাদেশে এখন সোশ্যাল মিডিয়া মানে গুজব—এমনটাই মনে করেন অনেকে। এই গুজবের ছড়াছড়ি নতুন কিছু নয়। চার দেওয়ালের মাঝে বসে যে কোনো কিছুই লেখা যায়। সেটি মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হোক বা না হোক। তেমনই একটি রাত গেল চোখের সামনে দিয়েই। ধেয়ে আসা গুজবের ধাক্কায় সয়লাব হয়ে গেল দেশ।
গুজব সম্পর্কে হাসান সিকদার নামে একজন তার আইডিতে লিখেছেন, ‘ফেসবুকে গুজবের প্রতিযোগিতা চলছে... গুজব ছড়িয়ে আতঙ্কিত করার চেষ্টা চলছে...।’
এস আলী দুর্জয় লিখেছেন, ‘রাতভর গুজবে সয়লাব ফেসবুক।’ আহমেদ জুয়েল লিখেছেন, ‘বিপুল গুজবের একটা রাত কেটে সকাল হলো।’ আল কাছির লিখেছেন, ‘যারা কাপুরুষ, কুলাঙ্গার গুজব তাদের হাতিয়ার।’
এ ছাড়া জহির উদ্দিন তুহিনও লিখেছেন, ‘রাতের ফেসবুক যেন এক গুজবের শহর।’ আব্দুল্লাহ আল জোবায়ের লিখেছেন, ‘এত গুজব আর ভালো লাগে না...।’
রায়হান আহমেদ তামিম লিখেছেন, ‘গুজবে কান দেবেন না। সবকিছু ঠিকঠাক আছে। ভোর হলে এক নতুন দিন দেখতে পাবে বাংলাদেশ। নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়ুন। শুভরাত্রি।’
গোলাম মোরশেদ সীমান্ত লিখেছেন, ‘একটা দেশের রাষ্ট্রব্যবস্থায় যখন Conspiracy theory (ষড়যন্ত্র তত্ত্ব) অধিক পরিমাণে বেড়ে যায়, তখন গুজব রটানো সহজ হয়।’
আফরিন জাহান লিখেছেন, ‘সাংবাদিক হয়েও গুজবের ধান্ধায় পড়ে যাচ্ছি। তাহলে যারা সাধারণ পাবলিক; তারা যে কী গুজবের ঘোরে আছেন, সেটা বুঝতে পারছি। সবার আগে এসব গুজব ঠেকানো দরকার।’
এসব গুজবে অনেক বিষয় তুলে ধরা হলেও যাচাই-বাছাই করে হয়তো কোনো সত্যতাই পাওয়া যাবে না। আবার অসংখ্য গুজবের মাঝে একটি সত্য তথ্যকেও মানুষ গুজব ভাবতে পারে। সেই রাখাল আর বাঘের গল্পের মতো।
এসইউ/জেআইএম