মারা গেছে নির্যাতিত শিশুটি, নেটদুনিয়ায় ক্ষোভ

মাগুরায় যৌন নির্যাতনের শিকার শিশুটি মারা গেছে। ১৩ মার্চ দুপুর ১টায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে শিশুটি। এই খবর মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ লক্ষ্য করা যায়। নেটিজেনরা অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
সাইফুল ইসলাম সাইফ লিখেছেন, ‘আল্লাহ বাচ্চাটাকে জান্নাতবাসী করুক। সাথে সাথে অন্যায়ের সঠিক বিচার করা হোক। শুনলেও কটু মনে হয়। তারপরও আপন বোন জামাই ও তার মুরুব্বি তালই একসাথে বিকৃত যৌনাচার করতে পারাটা সন্দিহান আমি। দিনশেষে মেয়েটিই ভিক্টিম। সঠিক তদন্ত আশা করি। কারণ ভিক্টিম মেয়েটির বোনকে সন্দেহের মনে হয়েছে। সঠিক তদন্ত ও বিচার একান্ত কাম্য।’
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বায়জিদ হোসেন সাদ লিখেছেন, ‘মেয়েটি আর নেই! দেশের আরও একটি কলঙ্কিত অধ্যায়।’
তাহমিনা শিল্পী লিখেছেন, ‘মারা গেলো, মেয়েটি। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। হিংস্র হায়েনা তোমাকে বাঁচতে দিলো না। তোমাকে নিয়ে কেউ কেউ নোংরা রাজনৈতিক খেলা খেললো। পৃথিবীর নরক রূপটা তুমি দেখে গেলে। তোমার যন্ত্রণা অভিশাপে রূপ নিক, ওদের পুড়িয়ে দিক। সুপ্রিয় আইনপ্রয়োগকারী, আর কবে বিচার করবেন আপনারা?’
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
সাদিক খান লিখেছেন, ‘অন্তত ধর্ষিতা হবার ভয় সাথে নিয়ে মেয়েটাকে আর বাঁচতে হলো না বাংলাদেশে। মরেও বেঁচে গেলো মেয়েটি।’
মো. আবু সালেহ মুসা লিখেছেন, ‘সবশেষে জীবনের কাছে হার মানতে হলো শিশুটিকে। যারা অনলাইনে বহুবার শিশুটিকে মেরে ফেলেছিলেন, তারা খুশি তো?’
বিজ্ঞাপন
শব্দনীল লিখেছেন, ‘মাগুরার সেই মেয়েটি আর বেঁচে নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। অথচ ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনকে বানচাল করা হলো। কারা করলো? কেন করলো? কাদের স্বার্থে করলো? এরা কারা?’
আলমগীর মাসুদ লিখেছেন, ‘অতঃপর জীবনের সঙ্গে এক সপ্তাহ লড়াই করে শিশুটি মারা গেলো কিছুক্ষণ আগে! ধর্ষকের জয় হলো। ৮ বছর বয়সী এই মেয়ের জন্য একদিন উপোস ছিলাম। দুইদিন ছিলাম আহত। এখন তার মৃত্যু সংবাদে চোখ আমার টলমল করছে। মনে হচ্ছে—আমার বাচ্চাটা চিরনিদ্রায় গেছে।’
এসইউ/এএসএম
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন