ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ধর্ম

বনি ইসরাইলকে শ্রেষ্ঠ জাতি ঘোষণার তাৎপর্য

প্রকাশিত: ০৬:২৩ এএম, ১৬ মে ২০১৬

আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমের কিছু আয়াতকে গুরুত্বারোপের জন্য বার বার উল্লেখ করেছেন। তন্মধ্যে এ আয়াতটিও একটি। যা ইতিপূর্বে এ সুরার ৪৭নং আয়াতে উল্লেখিত হয়েছে এবং এর বিশদ আলোচনাও হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বনি ইসরাইলকে স্মরণ করিয়ে দেন যে, সেই নিরক্ষর নবির আনুগত্য কর, যার গুণাবলীসহ নাম ও কার্যাবলীর বিবরণ তোমাদের কিতাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এমনকি তাঁর উম্মতের বিষদ বর্ণনাও তাদের কিতাবে রয়েছে। তা স্মরণ করিয়ে দিতে গিয়ে গুরুত্বারোপস্বরূপ পুনরায় আল্লাহ তাআলা বলেন-

Quran-Inner

হে বনী-ইসরাঈল-সন্তানগণ! তোমাদেরকে আমি যে নিয়ামাত দান করেছিলাম এবং সমগ্র বিশ্বের জাতিদের ওপর তোমাদের যে শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছিলাম, তার কথা স্মরণ কর। (সুরা বাক্বারা : আয়াত ১২২)

আল্লাহ তাআলা এ আয়াত থেকে আরেকটি ধারাবাহিক ভাষণ শুরু করেছেন। হজরত নুহ আলাইহিস সালামের পর বিশ্বজনীন বনি ছিলে হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম। নবুয়তের নিয়ামাত দ্বারা হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালামের বংশধরগণই ধন্য হয়েছিলেন। হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম ছিলেন তাওহিদ বা একত্ববাদের আন্দোলনের ইমাম বা নেতা। এ ধারাবাহিকতা চলতে থাকে তার দুই সন্তান হজরত সারার ঘরে জন্ম নেয়া হজরত ইসহাক, হজরত হাজেরার ঘরে জন্ম নেয়া হজরত ইসমাইল এবং ভাতিজা হজরত লূত আলাইহিস সালামের মাধ্যমে।

হজরত ইসহাকের সন্তান হজরত ইয়াকুবের খেতাবই ছিল ইসরাইল। যারা দুই হাজার বছর যাবত আসমানি হিদায়াতের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি অসংখ্য নিয়ামাত প্রাপ্ত হয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, আল্লাহ তাআলা সমগ্র জাতির মধ্যে বনি ইসরাইলকে শ্রেষ্ঠত্বের বিশেষ মর্যাদা দান করেছিলেন। যার মর্যাদা তারা রক্ষা করতে পারেনি।

তাই আল্লাহ তাআলা নবুয়তের শেষ ধারা হজরত ইসমাইলের বংশে দান করেন। বনি ইসরাইলের ভাগ্য অস্তমিত হয়ে বনি ইসমাইলের ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয়। এ বংশেই জন্ম লাভ করেন সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবি ও রাসুল মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।

এ আয়াতে বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি ঈমান আনতেই নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে তাদের কিতাবে। তারা বিশ্বনবির প্রতি ঈমান না এনে হিংসানলে জ্বলে ওঠে এবং শত্রুতা শুরু করে। এ জন্যই তাদেরকে দেয়া সকল নিয়ামাতের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে আল্লাহ তাআলা তাদের পূর্বপুরুষের নাম সম্বোধন করে তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন করতেই এ আয়াত নাজিল করেন।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে এ আয়াত থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে বিশ্বনবির সুন্নাতের আকুণ্ঠ আনুগত্য ও কুরআনের পূর্ণাঙ্গ অনুসরণ করে পরকালের সফলতা লাভ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/আরআইপি

আরও পড়ুন