বিশ্বনবিকে আল্লাহ তাআলার সান্ত্বনা প্রদান
বিশ্বমানবতাকে সঠিক পথে সন্ধান দিতে বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আগমনে পর সমগ্র দুনিয়ার ইসলাম বিদ্বেষী শক্তি বিশ্বনবিসহ ইসলাম এবং মুসলমানের ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠে। ইসলামের প্রাথমিক যুগে এ অল্প সংখ্যক মুসলমানকে নিয়ে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এ অগ্রযাত্রায় যাতে মনোবল ভেঙ্গে না পড়ে, সে জন্য আল্লাহ তাআলা ইয়াহুদি-খ্রিস্টান ও মুশরিকদের প্রচণ্ড বিরোধীতা, আক্রমন ও লোভনীয় প্রস্তাবের সময়ও বিশ্বনবিকে সান্ত্বনা দেন। আল্লাহ তাআলা বলেন-
‘ইয়াহুদি-খ্রিস্টানরা কখনোই আপনার প্রতি সন্তুষ্ট হবে না, যতক্ষণ না আপনি তাদের ধর্মাদর্শ অনুসরণ করে চলতে থাকেন। (হে রাসুল!) আপনি সুস্পষ্ট ভাষায় বলে দিন, পথ মাত্র একটিই, যা আল্লাহ তাআলা বাতলে দিয়েছেন। অন্যথায় আপনার নিকট যে জ্ঞান এসেছে, তারপরও যদি আপনি তাদের বাসনা ও ইচ্ছা অনুযায়ী চলতে থাকেন; তাহলে আল্লাহর পাকড়াও থেকে রক্ষাকারী আপনার কোনো সাহায্যকারী বা বন্ধু থাকবে না। (সুরা বাক্বারা : আয়াত ১২০)
এ আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সান্ত্বনা দিয়ে বলেন, আপনি ইসলাম বিদ্বেষীদের যতই মন যুগিয়ে চলুন বা তাদের প্রতি সহমর্মিতা ও সমবেদনা প্রকাশ করুন, তারা কিছুতেই আপনার প্রতি সন্তুষ্ট হবে না।
তাদের অসন্তুষ্টির কারণ হলো হিংসা ও বিদ্বেষ। যার কোনো চিকিৎসা নেই। আল্লাহ তাআলা বিশ্বনবিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি তাদের ইচ্ছা মতো বাইতুল মুকাদ্দাসকে ক্বিবলা মেনে নামাজ আদায় করেছেন। এতে তাদের হিংসা এবং বিদ্বেষ বৃদ্ধি পেয়েছে।
তাদের মনোবাসনা হলো- আপনি তাদের রঙে রঞ্জিত হয়ে যান। তাদের চরিত্রে চরিত্রবান হোন। তবেই তারা আপনাকে সাহায্য-সহযোগিতা করবে। যা কখনো সম্ভব নয়।
সুতরাং এ আয়াতে উম্মাতে মুহাম্মাদির জন্য শিক্ষা হলো- ইয়াহুদি-খ্রিস্টানসহ সকল বাতিল ধর্মের অনুসরণ থেকে বিরত থাকা। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য বিশ্বনবির রিসালাতের দাওয়াত অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করা এবং কুরআন এবং সুন্নাহকে আঁকড়িয়ে ধরা। আল্লাহ তাআলা যা মুসলিম উম্মাহর জন্য প্রদান করেছেন। তবেই বান্দার জন্য আল্লাহ তাআলার সাহায্য সুনিশ্চিত।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম মিল্লাতকে এ আয়াত থেকে স্বান্ত্বনা গ্রহণ করে সকল দুঃখ-দর্দশা ও অসহায়ত্বেও ইসলামের সুশীলত ছায়াতলে ধৈর্য সহকারে আশ্রয় গ্রহণ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এমএস