কুরআন আল্লাহর মহাঅনুগ্রহ
বিশ্বনবির নবুয়ত লাভের পর যখন কুরআন অবতীর্ণ হওয়া শুরু হয়, তখন আহলে কিতাব তথা ইয়াহুদি ও খ্রিস্টান এবং মক্কার তৎকালীন মুশরিকরা মুসলমানের জন্য কুরআন অবতীর্ণ হওয়াকে পছন্দ করেনি। কারণ তারা উভয়েই চেয়েছে তাঁদের মধ্য থেকেই কারো ওপর এ বাণী অবতীর্ণ হোক। কেননা কুরআন মানুষের জন্য আল্লাহর মহাঅনুগ্রহ। কিন্তু আল্লাহ তাআলার ইচ্ছা তিনি নিরক্ষরদের মাঝে তাঁর অনুগ্রহ প্রদান করবেন। আল্লাহ বলেন-
আহলে কিতাব (ইয়াহুদি) বা মুশরিকদের মধ্য থেকে যারা সত্যের দাওয়াত গ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়েছে তারা কখনোই তোমাদের রবের পক্ষ থেকে তোমাদের ওপর কোনো কল্যাণ অবতীর্ণ হোক, তা তারা পছন্দ করে না। কিন্তু আল্লাহ যাকে চান নিজের রহমত দানের জন্য বাছাই করে নেন এবং তিনি বড়ই অনুগ্রহশীল। (সুরা বাক্বারা : আয়াত ১০৫)
এ আয়াতে আল্লাহ তাআলা আহলে কিতাব শব্দ ব্যবহার করে বুঝিয়েছেন ঐ সব ব্যক্তি বিশেষকে যারা মুমিন এবং মুশরিকদের মধ্যবর্তী স্তরের লোক। অর্থাৎ ইয়াহুদি ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়। যাদের প্রতি আসমানী কিতাব তাওরাত ও ইঞ্জিল অবতীর্ণ হয়েছিল।
মুশরিক বলতে ঐ সব লোকদেরকে বুঝিয়েছেন যারা তাওহিদ, রিসালাত, আখিরাত, ফেরেশতা, জিন ইত্যাদিতে বিশ্বাসী নয় বরং কাল্পনিক বিষয়ে যারা বিশ্বাসী ছিল তাদেরকে বুঝানো হয়েছে।
উল্লেখিত কোনো জাতিই মুসলমানদের প্রতি আল্লাহর মহাঅনুগ্রহ কুরআন অবতীর্ণ হোক তা কামনা করতো না। যা আল্লাহ তাআলা এ আয়াতে উল্লেখ করেন।
সর্বোপরি কথা হলো- মহান রাব্বুল আলামিন যাকে ইচ্ছা অনুগ্রহ দান করেন। হজরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি নবুয়ত ও কুরআন প্রদান ছিল আল্লাহর মহাঅনুগ্রহ। তাই এ কুরআনের বিধি-বিধানসমূহ যথাযথ পালন করা মুসলমানে ঈমানের দাবি।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে মহাঅনুগ্রহ কুরআনের পুর্ণাঙ্গ অনুসারী হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এমএস