ইনশাআল্লাহ বলার ক্ষেত্র
বাংলাদেশের মানুষ সাধারণত ইসলাম প্রিয়। ইসলামের বিধি-বিধান যথাযথ না মানলেও মানুষ ইনশাআল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, শুকরিয়া, ইত্যাদি ইসলামি শব্দ ব্যবহার করে থাকে। এ শব্দগুলো মানুষের কল্যাণমূলক কাজে ব্যবহার হয়ে থাকে। ইনশাআল্লাহ বলার ক্ষেত্র তুলে ধরা হলো-
ইশনাআল্লাহ শব্দের অর্থ হলো ‘যদি আল্লাহ চান।’ অর্থাৎ আল্লাহর ইচ্ছা, যা ভবিষ্যতের প্রতিটি কাজের সঙ্গে সম্পর্কিত। ইনশাআল্লাহ কোথায় বলতে হবে, সে বিষয়টি আল্লাহ তাআলা কুরআনে উল্লেখ করে সুস্পষ্ট বর্ণনা দিয়েছেন। আল্লাহ বলেন-
وَلَا تَقُولَنَّ لِشَيْءٍ إِنِّي فَاعِلٌ ذَلِكَ غَدًا - إِلَّا أَن يَشَاء اللَّهُ
অর্থাৎ ‘আপনি কোন কাজের বিষয়ে বলবেন না যে, সেটি আমি আগামীকাল করবো। ‘আল্লাহ ইচ্ছা করলে’ বলা ব্যতিরেকে।’ (সুরা কাহাফ : আয়াত ২৩-২৪)
অর্থাৎ মানুষ যখন কোনো কাজ করার ইচ্ছা পোষণ করে তখন ইনশাআল্লাহ বলে। অর্থাৎ কোনো কাজ সুন্দর ও উত্তমভাবে যথাযথ আদায়ের ব্যাপারে এক রকম আল্লাহ সাহায্য লাভের জন্য বলা হয়। যেমন ইনশাআল্লাহ আগামীকাল থেকে কাজটা করবো। আল্লাহ যদি না চান হাজারো চেষ্টায় সে কাজ করা সম্ভব হবে না। তাই ভবিষ্যতের কোনো কাজ করতে ইনশাআল্লাহ বলা উত্তম এবং ছাওয়াবের কাজ।
অতীত হয়ে গেছে এমন ক্ষেত্রে ইনশাআল্লাহ বলার দরকার নাই। যেমন কোনো লোক বলল গতকাল রোজা রেখেছি, নামাজ পড়েছি, কাপড় পরিধান করেছি ইনশাআল্লাহ।
সুতরাং আল্লাহ তাআলা ভবিষ্যতের প্রত্যেক উত্তম কাজ সম্পাদনের নিয়তে ইনশাআল্লাহ বলার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এমএস