বিশ্বনবি সকল আসমানী কিতাবের সত্যয়নকারী
আল্লাহ তাআলা প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সর্বশেষ এবং সর্বশ্রেষ্ঠ নবিরূপে প্রেরণ করেছেন এবং তিনি পূর্ববর্তী সকল আসমানি কিতাবের সত্যতা বর্ণনা করেছেন বিশ্বনবির প্রতি অবতীর্ণ কিতাবে। স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর প্রতি ঈমান গ্রহণ করা ছিল পূর্ববর্তী সকল শরিয়তের লোকদের নৈতিক দায়িত্ব। কিন্তু পূর্ববর্তী সকল কিতাবের অনুসারী যারা তখন উপস্থিত ছিল এবং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের গুণাবলী দেখে তিনি শেষ নবি এ কথা নিশ্চিত হয়েছিল, তারাও বিশ্বনবির প্রতি ঈমান আনেনি। তাদের ব্যাপারে আল্লাহ বলেন-
এবং যখনই তাদের নিকট আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে এমন কোনো রাসুল আগমন করেন, যিনি তাদের নিকট যা আছ তার সত্যতার সাক্ষ্যদাতা, তখনই কিতাব ধারণকারীদের মধ্যে একদল লোক আল্লাহ তাআলার পবিত্র গ্রন্থকে তাদের পশ্চাৎ দিকে ঠেলে দেয়, যেন তারা কিছুই জানে না। (সুরা বাক্বারা : আয়াত ১০১)
এ আয়াতে আল্লাহ তাআলা বিশ্বনবির প্রতি ইঙ্গিত করে বলেছেন, আমি তাঁকে (রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বহু উজ্জ্বল নিদর্শনাবলী দান করেছি। যা দেখে কিতাবি তথা ইয়াহুদিদের ঈমান আনা উচিত ছিল। তাছাড়া তাদের কিতাব তাওরাতে বিশ্বনবির গুণাবলী উল্লেখ এবং তাঁর প্রতি ঈমান আনার অঙ্গীকার নেয়ার কথাও উল্লেখ ছিল। কিন্তু তারা পূর্বেই আল্লাহ সঙ্গে কৃত অঙ্গীকারই তারা পালন করেনি। তবে কি কুরআন এবং রাসুলকে মেনে নিবে? আল্লাহর সঙ্গে কৃত অঙ্গীকার ভঙ্গ করাই ছিল তাদের অভ্যাস।
এ আয়াতে আরও সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে যে, তাদের প্রতি অবতীর্ণ হওয়া কিতাব তাওরাতকেই তারা পিছনে ছুঁড়ে ফেলেছে। অর্থাৎ তাওরাতে বিশ্বনবির সম্পর্কে যত ভবিষৎবাণী করা হয়েছিল, তার সবগুলোকেই তারা বিকৃত করেছে। তাওরাত কিতাব যে আল্লাহর বাণী এটা তারা মূল্যায়নই করতো না। এমনকি কুরআনকে তারা সত্য জেনেও তা প্রত্যাখ্যান করেছে।
সুতরাং মুসলিম উম্মাহর ঈমানের দাবি হচ্ছে, ‘বিশ্বনবির প্রতি শুধু মুখের আনুগত্যের স্বীকারই নয়, বরং কুরআন-সুন্নাহর নির্দেশিত পথে ও মতে নিজেদের পরিচালিত করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা। আল্লাহ তাআলা উম্মাতে মুহাম্মাদিকে ইসলামের মহাত্ম্য ও মর্যাদা উপলব্দি করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এমএস