ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ধর্ম

ইয়াহুদিদের প্রতি বিশ্বনবির চ্যালেঞ্জ

প্রকাশিত: ০৪:২৩ এএম, ১৯ এপ্রিল ২০১৬

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আগমনের পর ইয়াহুদিরা বিভিন্ন বিষয়ে নিজেদেরকে শ্রেষ্ঠত্বের দাবি করে আসছে। যার প্রত্যেকটি আল্লাহ তাআলা কুরআনের আয়াত নাজিল করে খণ্ডন করেছেন। অতপর আল্লাহর সঙ্গে তাদের আলাদা সম্পর্ক রয়েছে বলে দাবি করে যে, তারা ব্যতিত অন্য কেউ পরকালে আল্লাহর কাছে বিশেষ সুবিধা পাবে না। আবার মৃত্যুকেও ভয় করে। এমনকি দুনিয়াতে হাজার বছর বেঁচে থাকার স্বপ্নও দেখে। বিশ্বনবি তাদেরকে মৃত্যু কামনায় চ্যালেঞ্জ করেন, যা তারা গ্রহণ করেনি। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের চ্যালেঞ্জ এবং ইয়াহুদিদের বেঁচে থাকার বিষয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন-

Quran

হে রাসুল! আপনি বলুন, যদি অপর ব্যক্তিগণ অপেক্ষা তোমাদের জন্য আল্লাহর নিকট বিশেষ পরলৌকিক আলয় থাকে, তবে তোমরা মৃত্যু কামনা কর, যদি তোমরা সত্যবাদী হও। এবং তাদের হস্তসমূহ পূর্বে যা প্রেরণ করেছে তার জন্যে তারা কখনোই তা কামনা করবে না এবং আল্লাহ অত্যাচারীদের সম্বন্ধে সবিশেষ অবগত আছেন। এবং নিশ্চয়ই তুমি তাদেরকে অন্যান্য লোক এবং অংশীবাদীদের অপেক্ষাও অধিকতর আয়ু আকাংখী পাবে; তাদের মধ্যে প্রত্যেকে কামনা করে সে যেন হাজার বছর আয়ু প্রাপ্ত হয়; এবং ঐ রূপ আয়ু প্রাপ্তিও তাকে শাস্তি হতে মুক্ত করতে পারবে না এবং তারা যা করছে আল্লাহ তার পরিদর্শক। (সুরা বাক্বারা : আয়াত ৯৪-৯৬)

এ আয়াত ইয়াহুদিদের ভ্রান্ত বিশ্বাস ও দাবির বিপরীতে নাজিল হয়েছে। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু  আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঐ সব ইয়াহুদিদেরকে বলেন, ‘তোমরা যদি সত্যবাদী হও তবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এসো, আমরা ও তোমরা মিলিত হয়ে আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করি যে, তিনি যেন আমাদের দুই দলের মধ্যে যারা মিথ্যাবাদী, তাদেরকে ধ্বংস করে দিন।

এ প্রস্তাবের সঙ্গে সঙ্গেই বিশ্বনবি ভবিষৎবাণী করেন যে, তারা কখনো এ প্রস্তাবে রাজি হবে না। বাস্তবে হলোও তাই। তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আসেনি। কারণ তারা প্রকাশ্যে বিরোধিতা করলেও অন্তরে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও কুরআনকে সত্য বলে বিশ্বাস করতো। এবং তারা এ কথাও বিশ্বাস করতো যে, তারা যদি ঘোষণা অনুযায়ী ময়দানে একত্রিত হয়, তবে তারা ধ্বংস হয়ে যাবে।

তাছাড়া পরকালে জান্নাত যদি শুধুমাত্র ইয়াহুদি ও নাসারাদের জন্যই হবে, তবে তারা মৃত্যুর ভয়ে দীর্ঘায়ু (হাজার বছর বেঁচে থাকার) কামনা করবে কেন? কারণ হলো, কাফের অবিস্বাসীরা পরকালকে বিশ্বাসই করতো না; কাজেই তাদের মরনের ভয় কম। কিন্তু ইয়াহুদি ও খ্রিস্টানদের পরকালের প্রতি বিশ্বাস ছিল, আবার তারা খারাপ কাজও করতো। এ জন্য তারা মৃত্যুকে অত্যন্ত ভয় করতো।

বান্দার ভালো ও মন্দ কাজের হিসাব আল্লাহ তাআলা নিকট স্পষ্ট। যারা ইয়াহুদি ও খ্রিস্টানদের মতো নিজেদের বিষয়কে চিন্তা-ভাবনা করে তারা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত। সুতরাং দুনিয়ার সকল ভ্রান্ত ও মনগোড়া কথা ও বিশ্বাসকে বর্জন করে কুরআন ও সুন্নাহ মোতাবেক জীবন-যাপনই ঈমানদারের একান্ত কর্তব্য। আল।রাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সঠিক পথে চলার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/পিআর

আরও পড়ুন