ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ধর্ম

ইলমে হাদিসের খাদেম ইমাম আশ-শাফেঈ

প্রকাশিত: ১১:৩৩ এএম, ১২ এপ্রিল ২০১৬

কুরআনের ধারক ছিলেন হজরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। সাহাবায়ে কিরামগণ ছিলেন কুরআনের ব্যখ্যা বিশ্লেষণ এবং বাস্তবায়নের ধারক ও বাহক। পরবর্তীতে ইসলামি ব্যক্তিত্বগণ ছিলেন কুরআন-সুন্নাহর অতন্দ্র প্রহরী। ইমাম শাফেঈ রহমাতুল্লাহি আলাইহি ছিলেন তাদের একজন। কুরআন এবং হাদিসের খাদেম ইমাম শায়েঈ রহমাতুল্লাহি আলাইহি সম্পর্কে সংক্ষেপে কিছু তথ্য তুলে ধরা হলো-

জন্ম ও পরিচয়
ইমাম শাফেঈ রহমাতুল্লাহি আলাইহি ১৫০ হিজরিতে সিরিয়ার গাযা প্রদেশে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর নাম আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মাদ ইবনে ইদরিস ইবনে আব্বাস ইবনে শাফেঈ। তাঁর বংশ পরম্পরা শেষ হয় কুসাই পর্যন্ত গিয়ে এবং সর্বশেষ আবদ মানাফ-এর সাথে মিলে তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বংশের অন্তর্ভুক্ত হন।

বাল্যকাল
শিশুকালেই তিনি বাবাকে হারান। দুই বছর বয়সে তিনি মায়ের সঙ্গে মক্কায় চলে আসেন। সেখানেই তিনি প্রতিপালিত হন এবং প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন।

ইলমে হাদিসের শিক্ষা লাভ
তিনি হাদিসের বিখ্যাত মুহাদ্দিস মুহাম্মাদ ইবনে আলী, আবদুল আযীয ইবনে মাজিশূন, ইমাম মালিক এবং ইসমাঈল ইবনে জাফর রাহমাতুল্লাহি আলাইহিম প্রমুখের নিকট হতে হাদিস শ্রবণ করেন।

হাদিস বর্ণনা
ইমাম শাফেঈ রাহমাতুল্লাহি আলাইহি থেকে হাদিস রিওয়ায়াত করেছেন, ইমাম আহমদ, ইমাম হুমাইদি, ইমাম আবু উবাইদ, ইমাম আবু সাওর এবং ইমাম যাআফারানি রাহমাতুল্লাহি আলহিম প্রমুখ যুগ শ্রেষ্ঠ হাদিস বিশারদগণ।

সহিহ হাদিসের নীতিমালা প্রণয়ন
ফিকহি ও ইজতাহিদের ন্যায় ইলমে হাদিসেও তাঁর গভীর পাণ্ডিত্যের পরিচয় পাওয়া যায়। তিনিই সর্ব প্রথম সহিহ হাদিস রিওয়ায়েতের নীতিমালা প্রণয়ন করে নির্ভেজালভাবে হাদিসসমূহকে সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। এ জন্য তাঁর মতে, কোনোরূপ শর্তারোপ ছাড়াই মারফু হাদিসের উপর আমল করা ওয়াজিব।

নাসিরুস সুন্নাহ উপাধি লাভ
এ কারণে তাঁরা তাকে ‘নাসিরুস সুন্নাহ’ বা ‘সুন্নাহর সাহায্যকারী’ উপাধিতে ভূষিত করেন। পরবর্তী সময়ে যাঁরা ইলমে হাদিসের উপর গ্রন্থ সম্পাদনা করেছেন, তাঁরা মূলত ইমাম আশ-শাফেঈ এর নীতিমালাকেই অনুসরণ করেছেন।

ইমাম শাফেঈ সম্পর্কে মতামত
এ প্রসঙ্গে ইমাম মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, ‘মুহাদ্দিসগণকে হাদিস সম্পর্কে কিছু বলতে হলেই ইমাম আশ-শাফেঈর ভাষায় কথা বলতে হবে।’

এ প্রসঙ্গে ইমাম যাআফরানী বলেন, ‘মুহাদ্দিসগণ আলস্যের ঘুমে অচেতন ছিলেন, ইমাম আশ-শাফেঈ রাহমাতুল্লাহি আলাইহি তাঁদেরকে জাগ্রত করেছেন।

ওফাত
এ জগত শ্রেষ্ঠ কুরআন, হাদিস, ফিকহের গবেষক ইমাম শাফেঈ রাহমাতুল্লাহি আলাইহি ২০৪ হিজরির ৪ রজব মহান আল্লাহ তাআলার ডাকে সাড়া দিয়ে পরকালের শান্তির জীবনে চলে যান। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কুরআন-হাদিসের উপর আমল করে জগত শ্রেষ্ঠ আলেম ইমাম শাফেঈ রাহমাতুল্লাহির জীবন ও কর্মের সকল ভালো গুণ গ্রহণ করে পরকালের কামিয়াবী লাভ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/এবিএস

আরও পড়ুন