আল্লাহর ব্যাপারে ভিত্তিহীন উক্তি!
ইয়াহুদিরা বলতো, দুনিয়ার বয়স হলো সাত হাজার বছর। প্রত্যেক হাজার বছরের পরিবর্তে আমরা একদিন জাহান্নামে থাকবো। অতএব এ হিসাবে আমরা (ইয়াহুদি) কেবল সাতদিন জাহান্নামে থাকবো। তাদের মধ্য থেকে আবার কেউ কেউ বলতো, যে চল্লিশ দিন গো-বাছুরের পূজা করেছি, এ চল্লিশ দিন জাহান্নামে থাকবো। তাদের কথায় বুঝা যায়, আল্লাহ তাআলা তাদের সঙ্গে ওয়াদাবদ্ধ যে, উল্লেখিত দিনগুলো ছাড়া তারা তাদের অন্যায় কৃতকর্মের জন্য শাস্তি ভোগ করবে না। আল্লাহ তাআলা ইয়াহুদিদের অন্যায় আবদারের প্রতিবাদে বলেন-
এবং ইয়াহুদিরা বলেছিল যে, নির্দিষ্ট কয়েক দিন ব্যতিত অগ্নি আমাদেরকে স্পর্শ করবে না। আপনি তাদেরকে বলুন যে, তোমরা কি আল্লাহ পাকের নিকট থেকে এমন কোনো অঙ্গীকারপ্রাপ্ত হয়েছ, যার খেলাপ তিনি করবেন না অথবা আল্লাহ তাআলা সম্বন্ধে এমন ভিত্তিহীন উক্তি করছো, যা তোমরা জান না। (সুরা বাক্বারা : আয়াত ৮০)
ইয়াহুদিরা যাই বলুক না কেন, এ কথা সন্দেহাতীতভাবে বলা চলে যে, এ সবই তাদের সুখ স্বপ্ন, কল্পনা প্রসূত অন্যায় আবদার। কেননা বেহেশত ও দোজখে প্রবেশের ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা যে রীতি-নীতি ঘোষণা করেছেন তাই বাস্তবায়ন হবে। আল্লাহর কর্ম-নীতিতে এক চুলও বেশি-কম করা হবে না।
ইয়াহুদিরা যখন বিশ্বনবীকে ৭ দিন বা ৪০ দিন দোজখে অবস্থানের বিষয় জানিয়ে বলল যে, আমাদের পর আপনার উম্মত আমাদের স্থলাভিষিক্ত হবে। তখন আল্লাহ তাআলা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সম্বোধন করে বলেন, ‘হে মুহাম্মাদ! (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আপনি বলে দিন, তোমরা কি আল্লাহ তাআলার সাথে এ সম্পর্কে কোনো চুক্তি সম্পাদন করেছ? যে, তিনি সে চুক্তির খেলাফ করবেন না, অথবা তোমরা আল্লাহ তাআলার সম্পর্কে এমন কথা বলছো যার কোনো দলিল-প্রমাণ তোমাদের নিকট নেই।
পরিশেষে...
ইয়াহুদিদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে বর্তমান সময়ের এক শ্রেণির ধর্ম ব্যবসায়ীরাও তাদের অনুসারীদের বিনা হিসেবে জান্নাত দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। যা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের পথ ও মতের বিপরীত এবং জঘন্য অপরাধের শামিল।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম জাতিকে তাঁর ব্যাপারে সকল প্রকার অন্যায় অবদার ও ভিত্তি উক্তি করা থেকে হিফাজত করুন। কুরআন ও সুন্নাহর সঠিক পথে চলার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এমএস