বিশ্বনবীকে নিয়ে ইয়াহুদিদের অপপ্রচার
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যুগেই নয় বরং পূর্ববর্তী যুগ থেকেই ইয়াহুদিদের কাজ ছিল ইসলাম ও মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নবুয়ত ও রিসালাতের দুশমনি করা। যা কুরআনে আল্লাহ তাআলা স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন।
যার ফলশ্রুতিতে তারা তাওরাত থেকে বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নাম মুছে দিতো। এক পর্যায়ে অবস্থা এমন হয়েছে যে, তাওরাত থেকে যতেই বিশ্বনবীর নাম মুছে দিতে থাকে, ততই বিশ্বনবীর নাম তাওরাতে বৃদ্ধি পেতে থাকে। যার কারণে তাওরাতের ধর্মগুরুরা বিশ্বনবীর নাম মুছে দেয়ার কার্যক্রম বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছিলেন এ আশংকায় যে, সমগ্র তাওরাতে বিশ্বনবীর নাম ছাড়া আর কিছুই থাকবে না। (সুবহানাল্লাহ)
তাওরাতে বিশ্বনবীর বর্ণনা-
আল্লাহ তাআলা তাওরাতে বিশ্বনবীর শারীরিক বর্ণনা প্রদান করেন এভাবে যে, ‘শেষ নবী হবেন সুদর্শন, তাঁর চুল মোবারাক হবে কোঁকড়ানো, কালো চোখ, মাঝারি গড়ন এবং গৌরবর্ণের অধিকারী।
ইয়াহুদিরা এর পরিবর্তন করে লিখেছিল-
তিনি হবেন দীর্ঘ দেহী, নীল চোখ ও খাড়া চুল বিশিষ্ট। যাতে তাদের খুবই খারাপ উদ্দেশ্য নিহিত ছিল।
বিকৃতির উদ্দেশ্য-
>> তাদের ধারনা ছিল, যখন বিশ্বনবীর আবির্ভাব হবে তখন যাতে তৎকালীন লোকেরা তাওরাতের বর্ণনা মতে বিশ্বনবীর শারীরিক মিল খুঁজে না পায়। তাই তারা তাওরাতে বিশ্বনবীর বর্ণনা বিকৃত করেছিল। এ জন্য আল্লাহ তাআলা কুরআনের ইয়াহুদিদের সকল চক্রান্ত তুলে ধরেছেন।
>> তাওরাতে বিশ্বনবী যে সকল গুণ ও চারিত্রিক গুণাবলী বর্ণিত হয়েছে, তারা নিজেদের মতো করে সে সবের বিপরীত রচনা করতো এবং আরবে প্রচার করতো কিন্তু তাওরাতের মূল কপি তারা গোপন করে রাখতো। কেউ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সম্পর্কে তাওরাতের বর্ণনা জানতে চাইলে ইয়াহুদিরা সে বিকৃত কপিটি বের করে দিয়ে বলত- ‘হাজা মিন ইংদিলল্লাহ’ (هَذَا مِنْ عِنْدِ اللهِ) অর্থাৎ ইহাই আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে এসেছে।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আদর্শকে বিশ্বব্যাপী পৌঁছে দেয়ার তাওফিক দান করুন। ইসলাম ও মুসলমানদেরকে ইসলাম বিদ্বেষীদের সকল ষড়যন্ত্র থেকে হিফাজত করুন। কুরআন এবং হাদিস অনুযায়ী জীবন গড়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এমএস