যে ঘোষণায় আল্লাহর নৈকট্য অর্জন হয়
আল্লাহর সান্নিধ্য লাভ দুনিয়াতে বান্দার শ্রেষ্ঠ চাওয়া-পাওয়া। মুমিন বান্দার কামনাও তাই। এ জন্য মুমিন বান্দা দুনিয়ার কাজ-কর্মে, ওঠা-বসায়, শয়নে স্বপ্নে সবসময় আল্লাহর স্মরণের পাশাপাশি একান্ত নির্জনে আল্লাহর ইবাদাত-বন্দেগিতে লিপ্ত থাকে। এমনকি প্রতিটি কাজের জবাবদিহিতায় ব্যস্ত থাকে। কারণ আল্লাহ তাআলা কুরআনে বান্দার অবগতির জন্য ইরশাদ করেন-
‘তিনি জানেন তোমাদের (বান্দার) চোখের চুরি এবং তোমাদের অন্তরের গোপনতম প্রকোষ্ঠে যে ভাবনার অবতারণা হয় সে সম্পর্কেও তিনি সম্পূর্ণ অবগত। (সুরা মুমিন : আয়াত ১৯)
এ আয়াতের স্মরণে...
>> বান্দার মনের অবস্থা এমন হবে যে, তার প্রতিটি কর্ম আল্লাহ তাআলা পর্যবেক্ষণ করছেন, তখন বান্দার দ্বারা কোনো অন্যায়, জুলুম, অত্যাচার, চুরি, মিথ্যা, গীবত করা সম্ভব হবে না।
>> গভীর রজনীতে যখন এ ধরনীর কোলাহল বন্ধ হয়ে যায়, বান্দা তখন একান্ত মনে জীবনে ঘটে যাওয়া সকল অন্যায় ও গোনাহের কথা স্মরণ করে আল্লাহর কাছে গোনাহ মাফ চায়।
>> যখন কেউ জাগ্রত থাকে না, তখনও শয়তান মানুষকে আল্লাহর ইবাদাত-বন্দেগি থেকে ফিরিয়ে রাখতে আরাম-আয়েশ ও অলসতার সকল উপকরণ দিয়ে বাধা দিতে থাকে। মুমিন বান্দা শয়তানের সকল ধোঁকায় নিজেদেরকে (আল্লাহর রহমতে) হিফাজত করে গোনাহ থেকে ক্ষমা লাভের প্রচেষ্টায় রাতের নামাজে (তাহাজ্জুদে) আত্মনিয়োগ করে।
যার ফলে বান্দা আল্লাহর নৈকট্য অর্জনে সফলতা লাভ করে। যা বান্দার প্রতি আল্লাহ তাআলার একান্ত অনুগ্রহ।
পরিশেষে…
আল্লাহ তাআলা তাঁর এ বাণীকে (‘তিনি জানেন তোমাদের চোখের চুরি এবং তোমাদের অন্তরের গোপনতম প্রকোষ্ঠে যে ভাবনার অবতারণা হয় সে সম্পর্কেও তিনি সম্পূর্ণ অবগত।’) মুসলিম উম্মাহর মনে সর্বদা জাগ্রত রাখার তাওফিক দান করুন এবং সবাইকে তাঁর প্রিয় বান্দা হিসেবে কবুল করুন। আমিন।
এমএমএস/এমএস