দোয়ার প্রভাব ও ফজিলত
মানুষ সামাজিক জীব। দুনিয়াতে চলাফেরায় মানুষের পারস্পরিক সম্প্রীতি অত্যাধিক। চলার পথে মানুষ একে অপরের কল্যাণ কামনা করে। একজন আরেকজনের কাছে দোয়া চায়। আবার অনেক মানুষ ইবাদাত-বন্দেগি না করলেও একান্ত মনে আল্লাহ তাআলার নিকট নিজের প্রয়োজন পূরণে উপাসনা-আরাধনা করে থাকে। ইহাই হচ্ছ দোয়া। এ দোয়ার রয়েছে বিশাল প্রভাব এবং ফজিলত। যা তুলে ধরা হলো-
দোয়া মুমিনের অস্ত্র। দোয়ার মাধ্যমে মুমিন ব্যক্তি আসন্ন বিপদ-আপদে উপকৃত হয় আর আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসের দৃঢ়তা, তাঁর নির্দেশনাবলীর উপর অবিচল থাকা এবং তার দ্বীনকে সমুন্নত করার উদ্দেশ্যে প্রচেষ্টা করা সাপেক্ষে দোয়া কবুল হয় এবং উদ্দেশ্যে অর্জিত হয়। আবার এ দোয়ার প্রভাবেই মানুষ আল্লাহর অসন্তুষ্টিতে পড়ে।
সুতরাং আল্লাহ তাআলার শিখানো পদ্ধতিতেই দোয়া করা উত্তম। তাঁর শিখানো নিয়মে দোয়ার রয়েছে অনেক ফজিলত। এ ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা বলেন-
ক. ‘আর যখন আমার বান্দাগণ তোমাকে আমার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে (বলে দাও) নিশ্চয় আমি সন্নিকটে আছি। দোয়াকারী (প্রার্থনাকারী) যখনই আমার নিকট দোয়া করবে (কিছু চাইবে) আমি কবুল করবো। অতএব তারা যেন, আমার নির্দেশাবলী মেনে নেয় ও আমার উপর ঈমান আনে। তাহলে সঠিক পথ লাভ করবে।’ (সুরা বাক্বারা : আয়াত ১৮৫)
খ. ‘আর তোমাদের প্রতিপালক বলেছেন, আমার নিকট দোয়া কর আমি তোমাদের দোয়া কবুল করবো। অবশ্যই যারা আমার ইবাদাত করতে অহংকার পোষণ করে তারা লাঞ্ছিত হয়ে অচিরেই জাহান্নামে প্রবেশ করবে।’ (সুরা মুমিন : আয়াত ৬০)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে পরিপূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাসের সহিত তাঁর হুকুম-আহকাম পালন করে দোয়া করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/আরআইপি