আল্লাহর নিয়ামাতের অমর্যাদার পরিণাম
আল্লাহ তাআলা বনি ইসরাইল জাতিকে খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থানসহ যাবতীয় অভাব মিটিয়ে তাদেরকে অফুরন্ত নিয়ামাত দিয়ে ভরপুর করেদিয়েছিলেন। শুধু দুনিয়ার নিয়ামাতই নয় আসমানি নিয়ামাতও এর মধ্যে শামিল ছিল। কিন্তু মুর্খ বনি ইসরাইল জাতি এ সবই অস্বীকার করে। নিয়ামাতের বিপরীতে তাদের চাহিদার কথা আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর জন্য উপমাস্বরূপ কুরআনে উল্লেখ করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন-
এবং যখন তোমরা বলেছিলে- হে মুসা! আমরা একইরূপ খাদ্যে ধৈর্য ধারণ করতে পারছি না, অতএব তুমি আমাদের জন্য তোমার প্রভুর নিকট প্রার্থনা কর- তিনি যেন আমাদের জন্মভূমিতে যা উৎপন্ন হয় তা হতে ওর শাক-শব্জি, ওর কাঁকড়, ওর গম, ওর মসুর, এবং ওর পেঁয়াজ উৎপন্ন করেন। তিনি (মুসা) বলেছিলেন, যা উৎকৃষ্ট তোমরা কি তার সঙ্গে যা নিকৃষ্ট তার বিনিময় করতে চাও? তোমরা কোনো নগরে উপনীত হও, তাহলে তোমাদের চাহিদা মোতাবেক দ্রব্যগুলো প্রাপ্ত হবে। আর তাদের উপর লাঞ্ছনা ও দারিদ্র নিপতিত হলো এবং তারা আল্লাহর রোষানলে পতিত হলো এ কারণ হলো- নিশ্চয় তারা আল্লাহর নির্দশনসমূহে অবিশ্বাস করতো এবং অন্যায়ভাবে নবীগণকে হত্যা করতো; এ কারণে যে, তারা অবাধ্যাচরণ করেছিল ও তারা সীমা অতিক্রম করেছিল। (সুরা বাক্বারা : আয়াত ৬১)
এ আয়াতে আসমান হতে নাজিল হওয়া খাবার মান্না ও সালওয়া খাওয়ার ব্যাপারে তারা বিরক্তি প্রকাশ করে দুনিয়ার খাবার গ্রহণের কথা উল্লেখ করে। পাশাপাশি তারা আল্লাহর কিতাব ও নবিদের অবাধ্যতা করতে থাকে। এমনকি নবি রাসুলদের হত্যা করতেও তারা কুণ্ঠাবোধ করেনি। যা ছিল অন্যায় এবং অতিরিক্ত সীমা লংঘন।
যার ফলশ্রুতিতে আল্লাহ তাআলা তাদের লাঞ্ছনা এবং দারিদ্র্যের মধ্যে নিপতিত করেন এবং তাদের প্রতি আল্লাহ তাআলা রাগান্বিত হন।
আল্লাহ তাআলার নিকট প্রার্থনা, তিনি যেন মুসলিম উম্মাহকে সঠিক পথে পরিচালিত করেন। তাঁর অবাধ্যতা থেকে হিফাজত করেন। তাঁর হুকুম-আহকাম যথাযথ পালনে একনিষ্ঠ থাকার তাওফিক দান করেন। আমিন।
এমএমএস/এমএস