অন্তিম মুহূর্তের উত্তম আলামত
মানুষের মৃত্যুকালীন সময়ে এমন কিছু আলামত প্রকাশ পায়, যা তার জন্য সুসংবাদ বহন করে থাকে। এ বিবরণগুলো উল্লেখ করেছেন শরীয়ত প্রণেতা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। এখানে কিছু আলামাত তুলে ধরা হলো-
১. কালিমা শাহাদাত শেষ কথা হওয়া- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যার শেষ কথা হবে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ সে জান্নাতে পবেশ করবে।
২. কপালে ঘামের সহিত মৃত্যু- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, মুমিনের মৃত্যুতে কপালে ঘাম বের হয়।
৩. জুমআর রাতে বা দিনে মৃত্যু বরণ- যে মুসলিম ব্যক্তি জুমআর দিনে বা রাত্রে মৃত্যুবরণ করে, আল্লাহ তাআলা তাঁকে কবরে বিপদ হতে রক্ষা করেন।
৪. জিহাদের ময়দানে শহীদ- যারা শহীদ হয়েছে কুরআনে তাদেরকে মৃত বলতে নিষেধ করা হয়েছে এবং কবরে তারা রিযিকপ্রাপ্ত হয় তাও বলা হয়েছে। এছাড়াও আরও কিছু মৃত্যু রয়েছে যা শহিদী মৃত্যু হিসেবে পরিগণিত-
ক. আল্লাহর পথে যুদ্ধে বিজয় অর্জিত গাজীর মৃত্যু-
খ. প্লেগ রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু
গ. পেটের অসুখে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু
ঘ. পানিতে ডুবে মৃত্যু
ঙ. প্রাচীর বা ধ্বংসস্তুপের নিচে পড়ে মৃত্যু
চ. মহিলাদের সন্তান প্রসবকালীন মৃত্যু
ছ. অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু
জ. পাশ্বদেশের ব্যথায় মৃত্যু
ঝ. যক্ষ্মা রোগে মৃত্যু
ঞ. সম্পদ জবর দখল থেকে রক্ষা করতে গিয়ে মৃত্যু
ট. ইসলামী জীবন ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে মৃত্যু
ঠ. নিজের জীবন বাঁচাতে গিয়ে মৃত্যু- উপরোক্ত মৃত্যুকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শহিদী মৃত্যু হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
৫. জিহাদে সীমান্ত প্রহরায় মৃত্যু- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, একদিন বা একরাত্রি সীমান্ত পাহারা দেয়া এক মাস রোজা রাখা এবং এক মাস দাঁড়িয়ে ইবাদাত করা থেকে উত্তম।
৬. ভালো কাজের উপর মৃত্যু বরণ করা- মানুষের যে কোনো ভালো কাজ। অর্থাৎ মৃত্যুর পূর্ব মূহূর্তে কালিমার তিলাওয়াত, রোজা পালন, সাদকা করা ইত্যাদি।
৭. যে ব্যক্তিকে অত্যাচারী নেতা হত্যা করে- যেমন শহীদ হয়েছিলেন হজরত হামজা ইবনে আবদুল মুত্তালিব। তাকে অত্যাচারী নেতা হত্যা করেছিল। এটাও শহিদী মৃত্যু।
সুতরাং আখিরাতে নাজাতের ফয়সালা হিসেবে আল্লাহ তাআলা উম্মাতে মুসলিমাকে মৃত্যুকালীন সময়ে উল্লেখিত মর্যাদা লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/পিআর