মানবজাতির আবাসস্থল দুনিয়া
আল্লাহ তাআলা পৃথিবীতে তার ইবাদাত-বন্দেগি জারি করবেন। বান্দা তার প্রশংসা করবে। জমিনকে তিনি আবাদ করবেন। ভালো-মন্দের সংমিশ্রণ ঘটাবেন। যুগে যুগে নবি-রাসুল প্রেরণ করে বান্দাকে হুশিয়ারি দিবেন যে, এ সবই তাঁর পক্ষ হতে সৃষ্ট ও প্রেরিত অবশেষে আবার তার কাছেই সবাইকে ফিরে যেতে হবে। সুতরাং আল্লাহর পক্ষ থেকে যে হিদায়াত বা কল্যাণের বাণী আসবে, সে মতে চলার মাধ্যমে পরিপূর্ণ হবে পৃথিবীতে প্রতিনিধি পাঠানোর উদ্দেশ্য। আল্লাহ বলেন-
আমি হুকুম করলাম, তোমরা সবাই নীচে নেমে যাও। অতপর যদি তোমাদের নিকট আমার পক্ষ থেকে কোনো হিদায়াত পৌঁছে, তবে যে ব্যক্তি আমার সে হিদায়াত অনুসারে চলবে, তার উপর না কোনো ভয় আসবে, না (কোনো কারণে) তারা চিন্তাগ্রস্ত ও সন্তপ্ত হবে। (সুরা বাক্বারা : আয়াত ৩৮)
অত্র আয়াতের ব্যাখ্যায় তাফসিরে ওসমানিতে এসেছে, আল্লাহ তাআলা হজরত আদম আলাইহিস সালামের তাওবা কবুল করলেন ঠিকই কিন্তু তখনই জান্নাতে প্রবেশের অনুমতি দিলেন না, বরং দুনিয়াতে বসবাস করার যে নির্দেশ দিয়েছিলেন তা বহাল রাখলেন। কেননা এটাই তার প্রজ্ঞা ও সার্বিক কল্যাণের অনুকূল ছিল। বলাবাহুল্য, হজরত আদম আলাইহিস সালামকে পৃথিবীর জন্য খলিফা বা প্রতিনিধি বানানো হয়েছিল। জান্নাতে বসবাসের জন্য নয়।
হজরত আদম আলাইহিস সালামের মধ্যমে আল্লাহ তাআলা পৃথিবীতে মানব বংশ বিস্তার করে সত্যদ্বীনসহ নবি-রাসুল পাঠানোর আভাস দিয়েছেন। যারা এ সত্যদ্বীন ও নবি-রাসুলদের অনুসরণ ও অনুকরণ করবে তাদের জন্য কোনো ভয় বা শংকা থাকবে না। তারাই হবে নাজাত প্রাপ্ত।
সুতরাং সর্বশেষ পাঠানো আল্লাহ তাআলার কুরআন ও রাসুলের হাদিস অনুযায়ী দুনিয়ার জিন্দেগি সাজাতে পারলেই বান্দা হবে সফলকাম। লাভ করবে আল্লাহর দিদার ও চিরকালীন আবাসস্থল জান্নাত। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে আল্লাহর দিদার ও জান্নাত লাভ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/পিআর