ক্ষমা লাভের শ্রেষ্ঠ দোয়া
হজরত আদম যখন লজ্জিত হয়ে দুনিয়ায় আগমন করলেন, তখন তিনি তওবা ইস্তিগফারে লিপ্ত হয়ে গেলেন। সে সময়ও আল্লাহ তাআলা হজরত আদম আলাইহিস সালামকে পথ নির্দেশ দিয়ে ক্ষমা চাওয়ার কিছু বাক্য শিখিয়েছিলেন। যা এখানে তুলে ধরা হলো-
যে কথাগুলো হজরত আদম আলাইহিস সালাম শিখেছিলেন তা কুরআন মাজিদে বিদ্যমান আছে। তা হচ্ছে-
উচ্চারণ : রাব্বানা জালামনা আংফুসানা ওয়া ইল্লাম তাগফিরলানা ওয়া তারহামনা লানাকুনান্না মিনাল খাসিরিন। (সুরা আরাফ : আয়াত ২৩)
অর্থ : তারা দুই জন বলল- হে আমাদের প্রভু! নিশ্চয় আমরা আমাদের নফসের উপর অত্যাচার করেছি, আপনি যদি আমাদেরকে ক্ষমা না করেন, তবে অবশ্যই আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত হয়ে যাবো। এটা বিশুদ্ধ ও অধিকাংশদের অভিমত।
দ্বিতীয় আরেকটি মত পাওয়া যায়। যা তাফসিরে বয়জাবিতে এসেছে-
سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ وَتَبَارَكَ اسْمُكَ وَتَعَالَى جَدُّكَ وَلَا إلَهَ اَلَّا اَنْتَ ظَلَمْتُ نَفْسِيْ فَاغْفِرْلِيْ اِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوْبَ اِلَّا اَنْتَ
উচ্চারণ : সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবারাকাসমুকা ওয়া তাআলা যাদ্দুকা, লা ইলাহা ইল্লা আংতা জালামতু নাফসি ফাগফিরলি ইন্নাহু লা ইয়াগফিরুজ্জুনুবা ইল্লা আংতা।
সুতরাং উপরোক্ত দোয়া দুটি হচ্ছে আল্লাহর দরবারর ক্ষমা লাভে শ্রেষ্ঠ দোয়া। যে দোয়াগুলোর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা হজরত আদম আলাইহিস সালামকে মাফ করে দিয়েছিলেন। উক্ত দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে মাগফিরাত লাভ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/পিআর