অজু করার সময় পঠিত দোয়া
পবিত্রতা অর্জনের মাধ্যম হচ্ছে অজু। নামাজের জন্য অজুকে আল্লাহ তা’আলা ফরজ করেছেন। অজুর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রয়েছে চারটি গুরুত্বপূর্ণ দোয়া। যা তুলে ধরা হলো-
ক. শুরুতেই বিসমিল্লাহ বলে অজু শুরু করা।
উচ্চারণ : বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
অর্থ : পরম করুনাময় ও দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
খ. অজু করার সময় এ দোয়াটি বেশি বেশি পড়া-
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মাগফিরলি জামবি, ওয়া ওয়াসসি` লি ফি দারি, বারিক লি রিযক্বি। (নাসাঈ)
অর্থ : হে আল্লাহ! আমার গোনাহ মাফ করে দাও। আমার জন্য আমার বাসস্থান প্রশস্ত করে দাও। এবং আমার রিযিক্বে বরকত দিয়ে দাও।
গ. অজুর শেষে কালিমা শাহাদাত পড়া- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি উত্তমরূপে অজু করে কালেমায়ে শাহাদাত পাঠ করবে তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজা খুলে দেয়া হবে, যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা সে প্রবেশ করবে। (মুসলিম, মিশকাত)
উচ্চারণ: আশহাদু আল্লাইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহ, ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আ’বদুহু ওয়া রাসুলুহু।
অর্থ : ‘আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন মা’বুদ নেই। তিনি একক, তাঁর কোন শরিক নেই। আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসুল।’ (মুসলিম মিশকাত)
ঘ. তারপর এ দোয়াটি পড়া-
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মাঝআ’লনি মিনাত তাউয়্যাবিনা ওয়াঝআ’লনি মিনাল মুতাত্বাহহিরিন।
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমাকে তওবাকারীদের অন্তর্ভূক্ত করুন এবং পবিত্রতা অবলম্বনকারীদের মধ্যে শামিল করে নিন।’ (তিরমিজি, মিশকাত)
সুতরাং আল্লাহ তাআলা অজুর সময় উক্ত দোয়াগুলো পড়ার মাধ্যমে দুনিয়াতে উত্তম রিযিক, মৃত্যুর পূর্বে গোনাহ মাফ এবং আখিরাতে জান্নাত লাভ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/পিআর