ইবাদাত-বন্দেগির সঠিক বুঝ
জমিন মিষ্টি ও তিতা সবধরণের ফলের গাছ রোপণের জন্য উপযুক্ত। যে ব্যক্তি ঈমান ও তাকওয়ার গাছ লাগাবে সে চিরস্থায়ী স্বাদের ফল পাবে। আর যে কুফরি, অজ্ঞতা ও পাপের গাছ লাগাবে সে চিরস্থায়ী দুঃখ ও অনিষ্টের ফল পাবে। যেহেতু আল্লাহ মানুষকে শুধুমাত্র তাঁর ইবাদাতের জন্য সৃষ্টি করেছেন। সুতরাং ইবাদাতে বান্দা যে জিনিসগুলোর প্রতি নজর দিবেন তা তুলে ধরা হলো-
ক. ইবাদাতে প্রতিপালকের পরিচয় এবং তাঁর ওয়াজিব কার্যসমূহ জেনে ইবাদাত করা। অর্থাৎ আল্লাহর ব্যাপারে আপনি জ্ঞানে অজ্ঞতা, কাজে অবহেলা প্রদর্শন, প্রবৃত্তির ত্রুটি, তাঁর হকে শিথিলতা ও লেন-দেনে জুলুম করেন তা স্বীকার করে তার ইবাদাত করা।
খ. বান্দা যদি কোনো নেকির কাজ করে তাহলে এ মনোভাব পোষণ করা যে, ইহা আল্লাহর পক্ষ থেকে অনুগ্রহ। যদি আল্লাহ তা কবুল করে নেন তাহলে দ্বিতীয় অনুগ্রহ। আর যদি দ্বিগুণ বর্ধিত করেন তাহলে তৃতীয় অনুগ্রহ। তাই প্রত্যেক নেক কাজে তাঁর প্রশংসা করা।
গ. বান্দা কোনো পাপ করলে তাকে মনে করতে হবে যে, আল্লাহ তাকে ছেড়ে দিয়েছেন এবং তার হেফাজতের রশি বা বন্ধন কেটে ফেলেছেন। বান্দার পাপের জন্য তাকে পাকড়াও করা আল্লাহর ইনসাফ। পাকড়াও না করা আল্লাহর অনুগ্রহ। এ জন্য তাঁর ইহসান ও অনুকম্পার প্রত্যাশী হওয়া।
ঘ. প্রতিটি মানুষের স্বীকার করা আবশ্যক যে, সৃষ্টিগত ও শরিয়তগতভাবে সবাই আল্লাহর বান্দা। তিনিই সৃষ্টিকর্তা, মালিক, সকল বিষয়ের মহাব্যবস্থাপক। আল্লাহর ইচ্ছাতে বান্দার ধনী-গরিব, হেদায়াত-গোমরাহ তথা সর্বপ্রকার চাওয়া-পাওয়া পরিপূর্ণতা লাভ হয়।
সুতরাং মুসলিম উম্মাহর উচিত, আল্লাহর প্রতি ঈমান রেখে তার বিধিবিধান অনুযায়ী ইবাদত করা। তাঁর নির্দেশসমূহ পালন ও নিষেধসমূহ ত্যাগ করার মাধ্যমে দুনিয়া ও আখেরাতে শান্তি কামনা করা। আল্লাহ তাআলা সবাইকে তাঁর ইবাদাত করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এমএস