হজরত হাওয়া যেভাবে সৃষ্টি হলেন
হজরত আদম আলাইহিস সালামের জন্য এটা অনন্য মর্যাদা ও সম্মানের বর্ণনা যে, ফেরেশতাদের সেজদার পর আল্লাহ তাআলা আদম আলাইহিস সালামের প্রশান্তির জন্য সঙ্গী হিসেবে আদি মাতা হজরত হাওয়াকে সৃষ্টি করেছেন। এবং স্বামী-স্ত্রী উভয়কে জান্নাত দিয়ে সব জিনিসের উপর অধিকার দিয়েছেন। প্রসঙ্গত আদম আলাইহিস সালামকে মাটি দ্বারা তৈরি করে আল্লাহ ফুৎকার দিয়ে জীবন দান করেন। কিন্তু আদি মাতা হাওয়ার সৃষ্টি কিভাবে হলো তা এখানে তুলে ধরা হলো-
ক. মুহাম্মদ বিন ইসহাক বলেন যে, আহলে কিতাবদের আলেমগণ থেকে হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুর বর্ণনা অনুসারে বর্ণিত আছে যে, ইবলিসকে ধমক ও ভীতি প্রদর্শনের পর আদম আলাইহিস সালামের জ্ঞান প্রকাশ করতঃ তাঁর উপর তন্দ্রা চাপিয়ে দেন। অতপর তার বাঁম পাঁজর হতে হজরত হাওয়া আলাইহিস সালামকে সৃষ্টি করেন। চোখ খোলামাত্র তিনি তাঁকে দেখতে পান এবং রক্ত ও গোস্তের কারণে অন্তরে তার প্রতি প্রেম ও ভালোবাসার সৃষ্টি হয়। অতপর আল্লাহ উভয়কে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করেন এবং বেহেশতে বসবাস করার নির্দেশ দেন।
খ. হজরত ইবনে আব্বাস ও হজরত ইবনে মাসউদসহ কতিপয় সাহাবি থেকে বর্ণিত আছে যে, ইবলিসকে জান্নাত থেকে বের করে দেয়ার পর হজরত আদম আলাইহিস সালামকে সেখানে জায়গা করে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সে সময় তিনি একাকী ছিলেন। সুতরাং তাঁর ঘুমের অবস্থায় হজরত হাওয়া আলাইহিস সালামকে তাঁর পাঁজর হতে সৃষ্টি করা হয়। জেগে ওঠে তাঁকে সামনে দেখতে পেয়ে জিজ্ঞাস করেন, তুমি কে? তুমি কেনইবা সৃষ্টি হলে? হজরত হাওয়া উত্তরে বলেন, ‘আমি একজন নারী, আপনার শান্তির কারণ রূপে আমাকে সৃষ্টি করা হয়েছে।
সুতরাং সকল প্রশংসা ঐ আল্লাহর জন্য যিনি মানুষের যথাযথ প্রয়োজনে রহমত, বরকত ও মাগফিরাত বর্ষণ করেন। আল্লাহ সবাইকে তাঁর দরবারে অবনত মস্তকে সেজদা দানের তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এমএস