ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ধর্ম

ইসলামে দ্বিমুখী নীতির স্থান নেই

প্রকাশিত: ০৭:৫৯ এএম, ২৩ নভেম্বর ২০১৫

জান-মালের নিরাপত্তা এবং যুদ্ধ লব্দ মালের ভাগ পাওয়ার জন্য মুনাফিকরা মুসলমানদের নিকট এসে ঈমান, বন্ধুত্ব ও মঙ্গল কামণার কথা বলে তাঁদেরকে ধোকায় ফেলতো। আর যখন নিজের (অবিশ্বাসীদের) দলে থাকতো তখন তাদের হয়ে কথা বলতো। এ ধরনের চরিত্র হচ্ছে দ্বিমুখী চরিত্র বা সুবিধাবাদী চরিত্র। মুনাফিকদের এ দ্বিমুখী চরিত্রের ফলে আল্লাহ এ আয়াত নাজিল করেন।

কুরআনে আল্লাহ বলেন,
‘আর তারা যখন ঈমানদারদের সঙ্গে একত্রিত হয়, তখন বলে, আমরা ঈমান এনেছি। আবার যখন তাদের শয়তানদের সঙ্গে একান্তে সাক্ষাৎ করে, তখন বলে, আমরা তোমাদের সঙ্গে রয়েছি। আমরা তো (মুসলমানদের সঙ্গে) উপহাস করি মাত্রা। বরং আল্লাহই তাদের সঙ্গে উপহাস করেন। আর তাদেরকে তিনি (আল্লাহ) ছেড়ে দিয়েছেন যেন তারা নিজেদের অহংকার ও কুমতলবে হয়রান ও পেরেশান থাকে। (সুরা বাক্বারা : আয়াত ১৪-১৫)

আয়াতের শানে নুজুল
হজরত আবু বকর, ওমর, আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুম একবার মুনাফিক আবদুল্লাহ ইবনে সলুল ও তার সহচরদেরকে নসিহত করার জন্য গেলেন। সাক্ষাতে তাঁরা বলরেন, হে উবাই! তুমি এবং তোমরা সঙ্গীরা আমাদের সঙ্গে খাঁটি ঈমান নিয়ে বসবাস কর। তখন ইবনে সলুল তাঁদের প্রত্যেককে আলাদা আলাদাভাবে প্রশংসার সঙ্গে স্বাগতম জানালে হজরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু তাকে বলেন, মুনাফিকী না করে আল্লাহকে ভয় কর। জবাবে ইবনে সলুল বলল, আমার ঈমান তোমাদের ঈমানের মতোই এবং আমি যা বলছি অন্তর থেকেই বলছি। অতপর সে তার গোত্রের লোকদের কাছে ফিরে গিয়ে বলল, যখন তোমরা মুসলমানদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে, তখন আমার মতো বাক্যালাপ করবে। তখন তার সঙ্গীরা বলল, তুমি যতদিন আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবে, ততদিন আমরা কল্যাণের মাঝে থাকবে (নাউজুবিল্লাহ)।

আর এটাই হচ্ছে দ্বিমুখী নীতি। ইসলাম দ্বিমুখী নীতি পছন্দ করে না। যা মারাত্মক অপরাধ। বতর্মানে আমাদের ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে এ ধরনের দ্বিমুখী নীতি অবলম্বনকারীদের অভাব নেই। যা দিনের পর দিন মানুষের মধ্যে অশান্তি, বিবাদ, কলহ ও দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করে পরিবেশ-পরিস্থিতিকে অশান্ত করে তোলে। সুতরাং দ্বিমুখী নীতি অবলম্বন থেকে মুক্ত থাকা প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানি দায়িত্ব ও কর্তব্য।

আয়াতের শিক্ষা
১. দ্বিমুখী নীতি অবলম্বন করা শয়তানের কাজ। আল্লাহ দ্বিমুখী নীতি অবলম্বকারীদের শয়তান হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।

২. আল্লাহ তাদের সঙ্গে উপহাস করবেন অর্থাৎ তারা যাবতীয় কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হবে।

৩. কিয়ামাতের দিন কপট বিশ্বাসী পুরুষ-নারীরা মুমিনদেরকে বলবে, তোমরা আমাদের জন্যে অপেক্ষা কর, আমরাও কিছু আলো নিব তোমাদের জ্যোতি থেকে। বলা হবে, তোমরা পিছনে ফিরে যাও ও আলোর খোঁজ কর। অতপর উভয় দলের মাঝখানে খাড়া করা হবে একটি প্রাচীর, যার একটি দরজা হবে। তার অভ্যন্তরে থাকবে রহমত এবং বাইরে থাকবে আজাব। (সুরা হাদিদ : আয়াত ১৩)

আল্লাহ তাআলা সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে দ্বিমুখী নীতি পরিহার করে দুনিয়ার সুখ-শান্তি লাভ এবং আখিরাতে আল্লাহ আদালতে নাজাত পাওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

ইসলামে লেখা পাঠাতে ই-মেইল : [email protected]

জাগোনিউজ২৪.কমের সঙ্গে থাকুন। কুরআন-হাদিস মোতাবেক আমলি জিন্দেগি যাপন করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করুন। আমিন, ছুম্মা আমিন।

এমএমএস/এমএস

আরও পড়ুন