ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ধর্ম

মাদরাসা করতে জমি দিলেন হিন্দু নারী

ধর্ম ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৫:০০ পিএম, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১

বিষ্ণুমায়া প্রসাইন। নেপালের হিন্দু ধর্মীয় এক নারী সমাজকর্মী। মুসলিম শিশুদের পড়াশোনার সুবির্ধার্থে মাদরাসা নির্মাণে জমি দান করেছেন। হিন্দু নারী সমাজকর্মীর মাদরাসার জন্য জমি দান করায় স্থানীয় মুসলিমসহ সব মানুষই তাকে স্বাগত জানিয়েছে।

খবর হাব ডটকম-এ প্রকাশিত খবরে জানা যায়, মুসলিম শিশুরা যেন তাদের পড়াশোনা করতে পারে সে জন্য নেপালের পূর্বাঞ্চলীয় জাপা অঞ্চলে বসবাসকারী নারী সমাজকর্মী মাদরাসা নির্মাণে এ জমি দান করেন। তার নাম বিষ্ণুমায়া প্রসাইন। ১৫ লাখ রুপি মূল্যের একখণ্ড জমি দান করেন তিনি।

মাদরাসার প্রধান আফারুক খান জানান, ‘মাদরাসা নির্মাণের জন্য ৮ কাঠা জমির প্রয়োজন। প্রয়োজনীয় বাকী জমি অল্প মূল্যে ক্রয় করে দ্রুত মাদরাসা নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে।

বর্তমানে স্থানীয় মসজিদে মাদরাসাটির ৪টি ক্লাস পরিচালিত হচ্ছে। এ মাদরাসাটি দ্বাদশ ক্লাস পর্যন্ত পরিচালনা করতে দ্বীনি দাতাদের কাছে সহযোগিতার আহ্বান জানানো হয়েছে বলে জানান আফারুক খান।

বিষ্ণুমায়া প্রসাইনের এ অনুদান নেপালের হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে মধুর সম্প্রীতির বন্ধনের পরিচয়ই ফুটে ওঠেছে। গত রোবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) মাদরাসা কর্তৃপক্ষ জমিদাত্রী হিন্দু সমাজকর্মীকে এ দানের জন্য অনুষ্ঠান করে তাকে সম্মান জানিয়েছেন।

এই এলাকায় প্রায় ১৫০টি মুসলিম পরিবারের বসবাস কর। জেলার মেয়র বোজরাজ সিতাওয়ালা বলেছেন, এই অঞ্চলে মুসলমানদের কোনও মাদরাসা নেই। আর এজন্য এই এলাকায় বসবাসরত মুসলিম শিশুদের শিক্ষার জন্য এই মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

স্থানীয় সাংবাদিক বিজয়া বড়াল বলেছেন, মাদরাসাটি নির্মাণের ক্ষেত্রে হিন্দুদের অবদানের মাধ্যমে নেপালের হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে সামাজিক সহাবস্থান এবং ধর্মীয় সহনশীলতার পরিচয় ফুটে উঠেছে।

মাদরাসা বোর্ডের প্রধান গতকাল এক অনুষ্ঠানে এই মাদরাসা নির্মাণের জন্য যেসব দাতারা ইতিমধ্যে অনুদান দিয়েছেন তাদের সবার প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, হিন্দু সমাজসেবক বিষ্ণুমায়া প্রসাইন মাদরাসা নির্মাণের জন্য জমি দান করেছেন এবং এর মাধ্যমে মুসলিম শিশুরা শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে না।

উল্লেখ্য, মাদরাসার অনুদান সংগ্রহে ইতোমধ্যে ‘এক টাকায় দৈনিক অনুদান’ নামে একটি অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। স্থানীয় কর্মকর্তারা আশা প্রকাশ করছেন যে, এ পরিকল্পনার আওতায় আগামী ৫ বছরে ১১ কোটি রূপি সংগ্রহ করতে সক্ষম হবেন।

এমএমএস/এমকেএইচ

আরও পড়ুন