ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ধর্ম

অযোধ্যায় ‘নতুন বাবরি’ মসজিদ নির্মাণ শুরু

ধর্ম ডেস্ক | প্রকাশিত: ১২:৫৯ পিএম, ২৭ জানুয়ারি ২০২১

বহুল প্রতিক্ষীত ঐতিহাসিক ‘শহিদ বাবরি মসজিদ’-এর জন্য নির্ধারিত স্থান ধান্নিপুরে মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) বিশেষ আনুষ্ঠানিকতার মধ্যদিয়ে মসজিদ নির্মাণ শুরু হয়। ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসে তেরঙ্গা (পতাকা) উড়িয়ে ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালনের মধ্যদিয়ে ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট (আইআইসিএফ)-এর সদস্যরা এ নির্মাণ কাজ শুরু করেন। খবর আনন্দ বাজার।

ঐতিহাসিক শহিদ বাবরি মসজিদের স্থান (রাম জন্মভূমি) থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে উত্তর প্রদেশের অযোধ্যার ধান্নিপুর গ্রামে ৫ একর জমির উপর নির্মিত হচ্ছে নতুন ডিজাইনের দৃষ্টিনন্দন এ মসজিদ। মসজিদ নির্মাণের জন্য ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ প্রজাতন্ত্র দিবসকেই বেছে নিয়েছে।

মঙ্গলবার প্রজাতন্ত্র দিবসের সকালেই ধান্নিপুরের নির্ধারিত স্থানে ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট (আইআইসিএফ)-এর সদস্যরা উপস্থিত হন। ট্রাস্টের প্রধান জাফর আহমেদ ফারুকি সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে তেরঙ্গা উড়িয়ে এই কর্মসূচির শুভ সূচনা করেন। নির্মাণস্থলের কাছে বৃক্ষরোপনও করা হয়।

jagonews24

এক সাক্ষাৎকারে ট্রাস্ট প্রধান ফারুকি বলেন, ‘মসজিদ নির্মাণস্থলের (সওল টেস্ট) মাটি পরীক্ষার মধ্য দিয়েই মসজিদ নির্মাণ কাজ শুরু করেছি। সুতরাং বলাই যেতে পারে মসজিদ নির্মাণের প্রথম পর্বের কাজটা আমরা শুরু করে দিলাম।’

তিনি আরও বলেন, ‘মাটি পরীক্ষার রিপোর্ট চলে এলে এবং মসজিদের নতুন নকশাটি অনুমোদন পেলেই পুরোপুরিভাবে নির্মাণ কাজ শুরু করব।’

নির্ধারিত স্থানে দৃষ্টিনন্দন নতুন মসজিদ নির্মাণের জন্য ইতিমধ্যেই অর্থ সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে। মসজিদ নির্মাণের জন্য অর্থ দান করতে সবাইকে আহ্বান করা হয়েছে। ইতিমধ্যে অনেকেই এ নির্মাণ প্রকল্পে অর্থ দান করেছেন বলেও জানান ফারুকি।

jagonews24

শহিদ বাবরি মসজিদের পরিবর্তে নির্মিত নতুন মসজিদের নাম কী হবে? এ বিষয়ে এখনো কোনো কিছু ঠিক হয়নি বলে জানিয়েছে আইআইসিএফ। তবে তারা এটা জানিয়েছে যে, ধান্নিপুরে নির্মিত নতুন মসজিদটি কোনো রাজা বা সম্রাটের নামে হবে না।

নতুন নির্মিত এ মসজিদ প্রকল্পের প্রথম ধাপেই মসজিদ নির্মাণের সঙ্গে সঙ্গে পাশাপাশি অবস্থানে একটি হাসপাতালও নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে বলে আইআইসিএফ সূত্রে জানা যায়।

jagonews24

ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক আথার হুসেন জানিয়েছেন, হাসপাতাল চত্বরে সকলের খাবারের বন্দোবস্তের জন্য তৈরি করা হবে রান্নাঘর। প্রতি দিন এক হাজার ব্যক্তিকে পুষ্টিকর খাবার পরিবেশন করা হবে। পাশাপাশি কীভাবে ওষুধ পরিবেষা দেয়া যায়, সে জন্যও নানা পরিকল্পনা চলছে।

উল্লেখ্য, গত মাসেই মসজিদের একটা নকশা প্রকাশ করেছে আআইসিএফ। গম্বুজটি তৈরি হবে কাচ দিয়ে। থাকবে বিশাল চত্বর জুড়ে বাগান। হাসপাতাল ভবনেরও সুন্দর চেহারা দেয়া হবে।

এমএমএস/এমকেএইচ

আরও পড়ুন