জ্ঞান অর্জনের মর্যাদা সম্পর্কে বিশ্বনবি যে ভাষণ দিয়েছিলেন
জ্ঞান অর্জন সম্পর্কে বিশ্বনবির একটি মনোমুগ্ধকর ভাষণ। এ ভাষণ যে কাউকে জ্ঞান অর্জনে আগ্রহী করবে। কেননা এ ভাষণে তিনি তুলে ধরেছিলেন, কেন জ্ঞান অর্জন করতে হবে। জ্ঞান অর্জন করলে কী কী উপকার পাবে মানুষ। হাদিসে এসেছে-
হজরত মুয়াজ ইবনে জাবাল রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের একটি মনোমুগ্ধকর ভাষণে জ্ঞান ও জ্ঞানীদের মর্যাদা এভাবে বর্ণিত হয়েছে যে, এ মর্যাদাগুলো যেন শরতের গভীর রাতে আকাশ ভরা উজ্জ্বল তারকারাজির আলোর মেলা।
জ্ঞানপিপাসু যুবক সাহাবি হজরত মুয়াজ ইবনে জাবাল রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা জ্ঞান অর্জন কর। কারণ-
- জ্ঞান অন্বেষণ একটি ইবাদত।
- জ্ঞানচর্চা একটি তাসবিহ।
- জ্ঞান গবেষণা একটি জেহাদ।
- জ্ঞান অর্জনের ফলে অন্তরে আল্লাহ ভয় সৃষ্টি হয়।
- হালাল-হারামের পার্থক্যের নির্ণয় করে জ্ঞান।
- জ্ঞান শিক্ষা দেয়া একটি দান হিসেব বিবেচিত হয়।
- জ্ঞান নির্জনের বন্ধু।
- জ্ঞান জান্নাত প্রত্যাশীদের পথের আলো।
- জ্ঞান সঠিক পথ চলার সঙ্গী।
- জ্ঞান একাকিত্বের (জ্ঞানীর সঙ্গে) আলোচক।
- জ্ঞান সুসময় ও দুঃসময়ের পথপ্রদর্শক।
- জ্ঞান শত্রুর বিরুদ্ধে অস্ত্র।
- জ্ঞান বন্ধু মহলে অলংকর।
- জ্ঞান অন্তরকে অজ্ঞতার মৃত্যু থেকে জীবন্ত করে তোলে।
- জ্ঞান অন্ধকারে দৃষ্টির আলো।
- জ্ঞান নিয়ে চিন্তা-ভাবনা রোজার সমতুল্য।
- জ্ঞান বিনিময় নামাজের সমতুল্য।
- জ্ঞান সব কাজের পথ প্রদর্শক।
- জ্ঞান অর্জনকারীরাই সৌভাগ্যবান।
- জ্ঞান অর্জনকারীরা কল্যাণের কাজে নেতৃত্ব দেয়।
- জ্ঞানীদের কর্ম অনুসরণ করা হয়।
- জ্ঞানীদের আল্লাহ উচ্চ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেন।
এমনকি জ্ঞানীদের জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করে সব তাজা ও নিরস বস্তু, পানির মাছ, স্থলের হিংস্র প্রাণী এবং নিরিহ পশু-পাখি।’ (জামেউল বয়ান আল-ইলম)
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে নিজেদের আলোকিত করা। জ্ঞানের কল্যাণকর আলো ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে ছড়িয়ে দেয়া। বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মনোমুগ্ধকর এ ভাষণ হোক সবার জন্য এক আলোকবর্তিকা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহসহ সবাইকে জ্ঞান অর্জনের তাওফিক দান করুন। জ্ঞান অর্জনকারীদের আল্লাহ তআলা রহমত বরকত মাগফেরাত ও নাজাত দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এমকেএইচ