মসজিদে আকসায় নামাজ পড়াকে হারাম ফতোয়া!
মুসলমানদের প্রথম কেবলা মসজিদে আকসা। এ মসজিদে আরব আমিরাতের নামাজ আদায়কে হারাম ঘোষণা করেছেন ফিলিস্তিনের গ্যান্ড মুফতি শায়খ মুহাম্মাদ হুসাইন। খবর মিডলইস্ট মনিটর, আনাদোলু এজেন্সি।
সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইসরাইলের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করার পর থেকে বিশ্বজুড়ে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এরই মধ্যে ইসলাইলের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের চুক্তি সম্পর্কিত ঘটনার পর মসজিদে আকসায় নামাজ পড়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ফিলিস্তিনের গ্র্যান্ড মুফতি শায়খ মুহাম্মাদ হুসাইন।
এক বিবৃতিতে তিনি জানান, '২০১৪ সালে জারি করা এক ফতোয়া অনুযায়ী সংযুক্ত আরব আমিরাতের জন্য মসজিদে আকসায় নামাজ পড়া শরয়ীভাবে পুরোপুরি হারাম।'
ফতোয়া সম্পর্কে শায়খ হুসাইন বলেন, স্বাভাবিকভাবে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে আল-আকসা মসজিদ ও জেরুজালেম পরিদর্শনের অনুমতি রয়েছে। আর মসজিদে আকসায় শুধু ওইসব মুসলমান নামাজ আদায় করতে পারেন যারা ইসলামি শরীয়াহ মান্য করেন।
স্বাভাবিকভাবে আরব আমিরাতের মসজিদে আকসায় নামাজ পড়া আর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তি চুক্তির ঘোষণার পর আমিরাতের লোকদের মসজিদে আকসায় নামাজ পড়া এক কথা নয়। যারা ইসরাইলের সঙ্গে বন্ধুত্ব স্থাপন করে পবিত্র এই মসজিদে নামাজ পড়বে, তাদের নামাজ শুদ্ধ হবে না।
গ্র্যান্ড মুফতি শায়খ মুহাম্মাদ হুসাইন আরও বলেন, মসজিদে আকসায়ন নামাজ পড়া সেসব মুসলমানদের জন্য বৈধ, যারা ফিলিস্তিনি ভুখণ্ড হয়ে মসজিদে আকসায় যাবে। ফিলিস্তিনিদের ভালবাসে এবং আল আকসার স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করে তাদের জন্য মসজিদে আকসা উন্মুক্ত।
তিনি বলেন, তাদের জন্য আল-আকসায় নামাজ পড়া বৈধ নয়, যারা ইসরায়েলের সঙ্গে মিত্রতা তৈরিকারীরা আল কুদস (জেরুসালেম) ও আল আকসাকে শত্রুদের হাতে অর্পণের ষড়যন্ত্র করছে। সুতরাং জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী স্বীকৃতি দানকারীরা কিভাবে পূন্যময়ী এই নগরীর শান্তি ও স্বাধীনতার কথা বলে?
শায়খ মুহাম্মাদ হুসাইনের দাবি, মসজিদুল আকসার একমাত্র পৃষ্ঠপোষক ও অবিভাবক মুসলমানরা; অবৈধ ইহুদিদের প্রথম কিবলার ওপর দখলদারি করার কোনো অধিকার নেই।
এমএমএস/এমএস