শ্বশুরবাড়ির যাদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন
ইসলামে পর্দার বিধান মেনে চলা ফরজ। নারী-পুরুষের মধ্যে যাদের সঙ্গে দেখা দেয় বৈধ বা যাদের সঙ্গে দেখা সাক্ষাতের অনুমোদন দিয়েছে ইসলাম, তার বিবরণ উঠে এসেছে সুরা নিসার ২৩নং আয়াতে। কিন্তু শ্বশুর বাড়িতে নারী-পুরুষ (স্বামী-স্ত্রী) কি পরিবারের সবার সঙ্গে দেখা করতে পারবে? এ সম্পর্কে ইসলামের নির্দেশনাই বা কী?
যাদেরকে বিয়ে করা হারাম তাদের সঙ্গে দেখা করার অনুমোদন দিয়েছে ইসলাম। শুধুমাত্র স্ত্রীর বোন ছাড়া। আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেন-
'তোমাদের জন্যে হারাম করা হয়েছে-
- তোমাদের মা,
- তোমাদের মেয়ে,
- তোমাদের বোন,
- তোমাদের ফুফু,
- তোমাদের খালা,
- ভাইয়ের মেয়ে,
- বোনের মেয়ে,
- তোমাদের ওই মা- যারা তোমাদের দুধ পান করিয়েছে (দুধ মা),
- তোমাদের দুধ-বোন,
- তোমাদের স্ত্রীদের মা (শাশুড়ি),
- ওই সব কন্যা সন্তান- যাদের মায়ের সঙ্গে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সংসার (সহবাস) করছো আর ওই সন্তান তোমাদের সঙ্গে লালিত-পালিত হচ্ছে। যদি তাদের মায়ের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক না হয়, তবে এ বিবাহে তোমাদের কোনো গোনাহ নেই।
- তোমাদের ঔরসজাত ছেলেদের স্ত্রী।
- আর দুই বোনকে একত্রে বিবাহ করাও হারাম। কিন্তু যা অতীত হয়ে গেছে তা ভিন্ন কথা। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাকারী, দয়ালু।' (সুরা নিসা : আয়াত ২৩)
এ আয়াতে উল্লেখিত নারী-পুরুষ পরস্পরের সঙ্গে যাদের সঙ্গে বিয়ে হারাম তার বর্ণনা উঠে এসেছে। তবে কোনো পুরুষের জন্য যেমন স্ত্রীর বোনের সঙ্গে আর কোনো নারীর জন্য তার স্বামীর ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করার অনুমোদন দেয়নি ইসলাম।
পুরুষের জন্য বৈধ
শ্বশুর বাড়িতে পুরুষের (জামাইর) জন্য যাদের সঙ্গে দেখা করা বৈধ, তারা হলেন-
- শাশুড়ি,
- শাশুড়ির মা (নানি শাশুড়ি),
- শ্বশুরের মা (দাদি শাশুড়ি),
- নাবালেগ (শিশু) মেয়ে সন্তান ও
- এমন বৃদ্ধ নারী, যার দিকে কুদৃষ্টি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
নারীর জন্য বৈধ
শ্বশুর বাড়িতে নারীর (বউয়ের) জন্য যাদের সঙ্গে দেখা করা বৈধ, তারা হলেন-
- শ্বশুর,
- শাশুড়ি বাবা (নানা শ্বশুর),
- শ্বশুরের বাবা (দাদা শ্বশুর),
- নাবালেগ (শিশু) ছেলে সন্তান।
ইসলামের বিধান পর্দার হুকুম পালনে উল্লেখিত মাহরাম ব্যক্তিদের বাইরে কারও সঙ্গে দেখা দেয়ার অনুমোদন দেয় না ইসলাম।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ইসলামের বিধান পালনে কুরআনের নির্দেশনা মেনে চলার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/জেআইএম